বাংলা শস্য বীমা নিয়ে আজকের আপডেট।
কৃষকদের সুরক্ষার খাতিরে রাজ্য সরকার বাংলা শস্য বীমা (Bangla Shasya Bima) নিয়ে নতুন ঘোষণা করলো। আরও 7 দিন শস্য বীমার আবেদনের জন্য মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়েছে। যারা এখনো আবেদন করেননি তাদের জন্য জেলা জুড়ে প্রচার করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত অফিস, সমবায় ব্যাংক এবং কৃষি দফতরে যেভাবে শিবির করা হচ্ছিল, সেরকমই চলবে। জানালেন জেলা পর্যায়ের উপকৃষি অধিকর্তা।
জানা যাচ্ছে, বাঁকুড়া জেলায় প্রায় 4 লক্ষ চাষী এখন বীমার আওতায় আসার জন্য আবেদন করেছেন। তবে এর বাইরে আরো 60 হাজার চাষি রয়েছেন যারা আবেদন জানাতে পারেননি। শুধু বাকুড়াই নিয়, এখন ও বিভিন্ন জেলার সকলে আবেদন করতে পারেন নি।
পুরুলিয়ার কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, 3 লক্ষ 39 হাজার 427 জন চাষী বাংলা শস্য বীমা (Bangla Shasya Bima)র সুবিধার জন্য 31 আগস্ট পর্যন্ত আবেদন করেছেন। তবে এই জেলাতেও যারা এখনো পর্যন্ত নাম নথিভুক্ত করেননি তাদেরও বীমা প্রকল্পে নাম নথিভূক্ত করার জন্য জানানো হয়েছে। ফর্মের সঙ্গে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের প্রথম পৃষ্ঠা এবং জমির পর্চার জেরক্স জমা দিতে হবে। জানিয়েছেন জেলার উপকৃষি অধিকর্তা।
এছাড়াও অন্যের জমি ভাগে যারা চাষ করেন তাদের ফর্ম সেভেন পূরণ করে জমা দিতে হবে। যে সমস্ত চাষিরা বাংলা শস্য বীমা যোজনা (Bangla Shasya Bima) তে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন তারা একর প্রতি 69 হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন।
আগস্টে বৃষ্টির ঘাটতির জন্য আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা যে ছোঁয়া যাবেনা সেটা আগেই জেনেছিল কৃষি দপ্তর।
যেখানে জেলায় 66 হাজার হেক্টর জমিতে আগস্টের শুরুতে ধান রোপন হয়েছিল, সেখানে মাসের শেষে 2 লক্ষ 93 হাজার হেক্টরে সেটা পৌঁছেছে। স্বাভাবিক গড় বৃষ্টিপাত আগস্ট মাসে 296.3 মিলিমিটার। সেখানে এবারে সেটা হয়েছে 334 মিলিমিটার। তবে বৃষ্টির ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি ধান চাষ করা সম্ভব হয়েছে। এখন সেই ধান বাঁচানোই মূল লক্ষ্য চাষীদের। এই ব্যাপারে সচেতন করার চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়েছেন উপকৃষি অধিকর্তা।
পুরুলিয়া জেলাতেও একইভাবে লক্ষ্যমাত্রার 69 শতাংশ জমিতে ধান চাষ করা গিয়েছে। তবে কতটা ফলন শেষ পর্যন্ত পাওয়া যাবে সেই বিষয়ে কৃষি দপ্তর থেকে কৃষকেরা সকলেই সন্দিহান রয়েছেন।
জেলায় মোট আমন চাষের জমি কমবেশি 57 শতাংশই বাইদ (উঁচু) জমি হওয়ায় আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়েছে।
Ration Card থাকলে এবার বিনামূল্যে মিলবে 5 কেজি করে ডাল, কবে থেকে শুরু হচ্ছে জেনে নিন।
কিছুদিন আগেই জোড়া নিম্নচাপের বৃষ্টিতে জেলার ব্লকগুলি জলে থৈ থৈ করেছে। এই বিষয়ে কৃষিকর্তাকেও শুনতে হয়েছিল, অঝোর বৃষ্টি হলেও বাইদ জমিতে ধান রোপণ করা যাবে না। কারণ বৃষ্টি দেরিতে এসেছে। তবুও অনেকেই বাইদ জমিতে ধান রোপন করছেন। যদি বীজটুকু অন্তত ঘরে তোলা যায়।
তাই এখনও পর্যন্ত প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী 7 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলা শস্য বীমায় আবেদন করা যাবে। বৃষ্টির ঘাটতিতে বহু চাষী ধান রোপন করতে পারেননি। তারাও এই বিমার সুবিধা পাবেন।
Witten By Rajib Ghosh.
এবারের পুজোয় বেশি বিক্রি হচ্ছে এই 5 টি পোশাক, পুজোয় সাজিয়ে তুলুন ট্রেন্ডিং নতুন স্টাইলে।