RBI Guidelines regarding cancellation of bank license
ভারতের অর্থনৈতিক নীতি ও ব্যাংকিং নিয়ম পর্যবেক্ষণ ও নীতিমালা করে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক বা RBI. আর বর্তমান যুগে মানুষ বিনিয়োগের দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া শুরু করেছেন। সকলেই বিনিয়োগের জন্য চায় বেশি মুনাফার সহজ কোনো ঝুঁকিহীন মাধ্যম। এক্ষেত্রে সবার প্রথমেই মাথায় আসে ব্যাংকের কথা। এবার ধরুন হঠাৎ করে ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল হয়ে গেল অথবা কোনও কারনে ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেল তাহলে গ্রাহকদের বিনিয়োগ করা অর্থের কী হবে? এত কষ্ট করে রোজগার করা টাকা সব কি নষ্ট হয়ে যাবে? এবিষয়ে RBI এর কি গাইডলাইন রয়েছে বিস্তরিত জানতে পারবেন আজকের প্রতিবেদনে।
আজকাল ব্যাংকের তরফ থেকে বিনিয়োগের জন্য বিভিন্ন ধরনের স্কিম বাজারে এসেছে। এগুলির মধ্যে থেকে অন্যতম হলো রেকারিং ডিপোজিট আর ফিক্সড ডিপোজিট। এবার যদি কেউ বিনিয়োগ করতে সাচ্ছন্দ্যবোধ না করেন, তাহলে তাঁদের জন্য রয়েছে সঞ্চয়ের সুযোগ। সেক্ষেত্রে সেভিংস একাউন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
অপরদিকে অনেকেই বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে মূল্যবান গয়না কিনে থাকেন। এটিও একটি ঝুঁকিহীন মাধ্যম। তবে দামি গয়না তো আর বাড়িতে রাখা যায় না, আর সেটি নিরাপদও নয়। এর জন্য ব্যাংকে লকারের ব্যবস্থা রয়েছে। আজকাল ব্যাংকের লকারেই নিজেদের মূল্যবান গয়না রেখে থাকেন গ্রাহকরা।
কোন প্রকল্পে টাকা রাখা নিরাপদ?
সাধারণ মানুষ অর্থ বিনিয়োগ হোক অথবা লকারে গয়না রাখা হোক সব থেকে বেশি বিশ্বাস করে ব্যাংকের ওপর। কিন্তু তা সত্ত্বেও মনে প্রশ্ন আসে হঠাৎ ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেলে বা লাইসেন্স ক্যান্সেল হয়ে গেলে উপায় কী থাকবে? RBI এর মতে, ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল হওয়ার অর্থ উক্ত ব্যাংকের সব কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়া। ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে সমস্ত সম্পদ লিকুইডেট করা হয়। ব্যাংকের অধীনে যদি টাকা থাকে সেই টাকা হয়তো গ্রাহকরা তুলে নিতে পারবেন। এছাড়াও ব্যাংকের ডিপোজিট সরকার দ্বারা বীমা করা থাকে। তাই গ্রাহকরা নিজেদের অর্থ আর গয়না রিকভার করতে পারবেন। তবে বিনিয়োগ করার থেকে সেভিংস একাউন্টে টাকা রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ বলে অনেকে মনে করেন।
আরোও পড়ুন » Bank Interest Rates – এপ্রিলে বদলে গেল সুদের হার, ব্যাংকে টাকা রাখার আগে দেখে নিন কোন ব্যাংকে কত সুদ।
ফিক্সড ডিপোজিট এর নিয়ম
এবার কথা বলব ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল হলে গ্রাহকদের ফিক্সড ডিপোজিটের কী হবে এ নিয়ে RBI-এর কি গাইডলাইন রয়েছে? আপনাদের জানিয়ে রাখি বিনিয়োগ মাধ্যম গুলির মধ্যে থেকে সবথেকে সুরক্ষিত হল ফিক্সড ডিপোজিট। কিন্তু এক্ষেত্রে বিনিয়োগ করার আগে সব রকমের টার্মস এন্ড কন্ডিশন খুঁটিয়ে পড়ে নেবেন। তবে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার(RBI) কার্যকরী নীতি অনুযায়ী, ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল হয়ে গেলেও গ্রাহকদের ডিপোজিট নিরাপদে থাকবে।
কত টাকা ফেরত পাবেন?
ব্যাংক বন্ধ হোক বা ঋণগ্রস্ত হোক গ্রাহকদের অর্থ সুরক্ষিত থাকবে। কো-অপারেটিভ, পাবলিক, প্রাইভেট সহ সমস্ত ভারতীয় ব্যাংকের রেকারিং ডিপোজিট এর জন্য ১ লাখ টাকা পর্যন্ত বীমা করা থাকে। এর মধ্যে সুদ আর আসল অন্তর্ভুক্ত থাকে। ফলে যেসমস্ত গ্রাহকদের কোনও অসুবিধার লাখের কম নিনিয়োগ রয়েছে তাদের কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।
তবে গত ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এই ১ লাখ টাকার ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ৫ লাখ করেছেন। তবে একজন গ্রাহকের একাধিক ব্যাংকে একাউন্ট থাকলেও তিনি মোট ৫ লাখ টাকাই সর্বোচ্চ পেতে পারেন। অর্থাৎ কারো মোট ১০ লাখ টাকা জমা থাকলেঅ ৫ লাখের বেশি পাবেন না। এই টাকা ফেরত পেতে হলে, রিজার্ভ ব্যাংকের নির্দেশে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে আবেদন করলেই কেবলমাত্র এই টাকা ফেরত পাওয়া যাবে।
আরোও পড়ুন » সমস্ত ব্যাংকে সেভিংস একাউন্টের মিনিমাম ব্যালান্স বেড়ে গেল। জরিমানা এড়াতে সব ব্যাংকের তালিকা দেখুন।