Public-Private partnership in School Education (PPP) : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য শিক্ষা দফতর বিদ্যালয় শিক্ষা বিষয়ক নতুন সিদ্ধান্তে উপনীত হলো।
রাজ্য শিক্ষা দফতরের এবার এক নতুন প্রয়াস (Public-Private partnership in School Education)। পশ্চিমবঙ্গ সরকার শিক্ষা বিষয়ক এই প্রথমবার এক নতুন সম্ভাবনার কথা জানালেন। যেখানে রাজ্য শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারি স্কুলে বেসরকারি অংশীদারিত্বের কথা বলা হয়েছে (PPP Mode)।
“রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একটি খসরা দ্বারা জানানো হয়েছে যে সরকার (Public-Private partnership in School Education) PPP মোডে শিক্ষা ব্যবস্থা এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রস্তুত। তবে অন্যান্য বিভাগে খসরাটি বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়েছে। পুনর্বিবেচনার পর বিষয়টি নিয়ে আবারও রাষ্ট্রীয় ক্যাবিনেটে আলোচনার পর খসড়াটি অনুমোদন করা হবে” সূত্রে খবর।
সূত্রের বিশ্লেষণ অনুসারে ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে উন্নতমানের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল (Public-Private partnership in School Education)। কিন্তু সরকারি কাঠামোর অভাবের দরুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ সম্ভব না হওয়ায় বেসরকারি সংস্থাকে যুক্ত করা হয়েছে।
২০১১ সালের তথ্য অনুযায়ী জানা যাচ্ছে মোট 2,900 টি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে। যার ফলস্বরূপ এই দুই পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তুলনামূলক বৃদ্ধি পেয়েছে প্রতি বছর। তবে এর নেতিবাচক ফলস্বরূপ দেখা যাচ্ছে যে অভিভাবকরা বাচ্চাদের বাংলা মিডিয়াম স্কুলে ভর্তি করার আগ্রহ হারিয়েছেন।
তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি একেবারে বেসরকারি করা হবে না বলেই সরকারের সিদ্ধান্ত। “রাজ্য সরকার পঞ্চায়েত এবং কর্পোরেট এলাকার সকল গরীব বাচ্চাদের কথা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বেসরকারি সংস্থা কেবল শহরে এলাকায় আগ্রহী থাকলেও শিক্ষা ব্যবস্থায় যাতে সঠিক ভারসাম্য বজায় থাকে সেই বিষয় নজর রাখা হবে” আধিকারিক সূত্রে খবর (Public-Private partnership in School Education)
রাজ্য শিক্ষা দফতর কিছু নীতির ওপর নির্ভর করে এই প্রস্তাবটি রেখেছে :
সরকারি নীতি :
১) সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় জমি, বিল্ডিং বা কাঠামো দেবে কিছু নির্দিষ্ট শর্তের ওপর ভিত্তি করে।
২) বেসরকারি অংশীদারকে সমস্ত রকম ভাবে সাহায্য করবে সরকার। Public-Private partnership in School Education
৩) সরকার নিজেদের স্কুলের ঘর , ল্যাবরেটরি সব ব্যবহার করতে দেবে বেসরকারি সংস্থা কে।
বেসরকারি নীতি Public-Private partnership in School Education :
১) বেসরকারি সংস্থা কেও প্রয়োজনীয় সকল বিষয়ে ব্যায় করতে হবে।
২) উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।
৩) সমস্ত রকম সুবিধা ছাত্র ছাত্রীরা পাবে। Public-Private partnership in School Education
শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার এ বিষয়ে ভিন্ন মত পোষণ করে বলেছেন, ” এ ক্ষেত্রে হয়তো শিক্ষার্থীদের বেশি ব্যায় করতে হবে। তবে গরীব বাচ্চাদের শিক্ষার সমস্ত দায়িত্ব সরকারের”। Public-Private partnership in School Education
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর মতে “সমতা এবং মঙ্গলের জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” রাজ্যের শিক্ষা দফতরের সেক্রেটারি মণীশ জৈন এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া না দেওয়ায় স্থায়ী ভাবে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। সংবাদসুত্রঃ দৈনিক টেলিগ্রাফ, দেখতে ক্লিক করুন
আরও পড়ুন, রাজ্যে স্কুল খোলা নিয়ে আবার নতুন নিয়ম চালু হলো, মানতে হবে এই নিয়ম।
31শে মার্সের মধ্যে এলআইসি পুরোনো পলিসিতে প্রিমিয়াম দিলে ২০০০ টাকা ছাড়