Primary TET 2014 – প্রাথমিকের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত, সমস্ত শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

Primary TET 2014 : টেট মামলায় ২০১৪ এর শিক্ষকদের জন্য জারী এই নিষেধাজ্ঞা।

পশ্চিমবঙ্গে স্কুল শিক্ষক নিয়োগ (Primary TET 2014) নিয়ে দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক নয়া তথ্য সামনে আসছে। তদন্তের স্বার্থেও বিভিন্ন দিক নির্দেশ করা হচ্ছে আদালতের তরফ থেকে। এবার তদন্তের জন্য নয়া সিদ্ধান্ত নিলো আদালত। প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই সিবিআই এর সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর এদিন CBI ২০১৭ – ২০১৮ সালে যোগদান করা সকল শিক্ষকদের জন্য নতুন বিধিনিষেধ জারি করলো।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে প্রাইমারি টেট (Primary TET 2014) পরীক্ষার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। প্রায় ২৩ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। যার মধ্যে ৪২ হাজার প্রার্থীকে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়।

২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বরের প্রকাশিত দ্বিতীয় লিস্টের মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়েছিল ২৬৯ জনকে। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে আগেই বরখাস্ত করা হয়েছে ২৬৯ জন শিক্ষককে। তবে প্রাইমারি টেট নিয়োগ (Primary TET 2014) দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তে সন্তুষ্ট নয় কলকাতা হাইকোর্ট।

সিট সম্পর্কে কি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে?
উল্লেখ্য, ১৫ জুন এই মামলার শুনানিতে প্রাইমারি দুর্নীতির তদন্তে একটি স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট) গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, সিটের ওই টিমে মোট ১০-১২ জন অফিসার থাকবেন। থাকবেন একজন জয়েন্ট ডিরেক্টর। নিয়োগ দুর্নীতি ছাড়া অন্য কোনো মামলার তদন্ত করবে না সিট। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বদলি করা যাবে না সিটের সদস্যদের।

আদালতের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সিট কলকাতা শাখার এসিবির নেতৃত্বে তদন্ত করবে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, তিনি চান না এই তদন্ত সারদার মতন হোক। যদিও সিবিআই কি করবেন তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি। তাই কোর্ট মনিটরিং ইনভেস্টিগেশনের অর্থাৎ আদালতের পর্যবেক্ষণে মামলা তদন্ত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন,  তবে কি এবার প্রাথমিক শিক্ষকদের সব কাজেই জমা দিতে হবে টেট পাশের নথি!

প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসকে আদালতের তরফ থেকে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়। যদিও এরপর তিনি আর্জি করেন যাতে সিবিআই আধিকারিকদের নিয়ে সিট গঠন করা হয়। এ প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের উদ্দেশ্যে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আদালত চাইছে দুর্নীতির জন্য যারা চাকরি পাননি, তারা চাকরি পাক। কিং পিনদের শাস্তি দিতে হবে। এখনও পর্যন্ত কিছুই হয়নি। উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। (Primary TET 2014)

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, আদালতের তরফ থেকে প্রাথমিকের দুটি মামলার (Primary TET 2014, 2017) ক্ষেত্রে সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। একটি বাগদার রঞ্জন মন্ডল ওরফে যোগেন মন্ডল কে খুঁজে বার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অন্যটি ২৬৯ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু তাদের নিয়োগ কতটা বৈধ, সেটি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে দেশের আইন কানুনের ওপর ভরসা রাখতে হবে, যতক্ষণ না নিয়োগ দুর্নীতির সমস্ত তথ্য উঠে আসছে।

এদিকে এই তদন্ত চলাকালীন ২০১৪ টেট পাশ (Primary TET 2014) করা শিক্ষকেরা, যারা ২০১৭ ও ২০১৮ সালে নিযুক্ত হয়েছেন তাদের জন্যও বিশেষ নির্দেশিকা জারী হয়েছে। ইতিমধ্যেই সমস্ত শিক্ষকদের ১০টি ডকুমেন্ট দিয়ে ভেরিফিকেশন করতে হয়েছে। কোথাও কোথাও অরিজিনাল ডকুমেন্টস চাওয়া হয়েছে। আর এবার টেট ২০১৪ এর নিযুক্ত সকল শিক্ষকদের বদলি প্রক্রিয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারী হলো। বলা হয়েছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে বদলী করা যাবে না।

স্কুল বন্ধ, জমিয়ে টিউশনি করছেন শিক্ষক, চাকরি নিয়ে টানাটানি বহু শিক্ষকের, লিস্ট দেখুন।

অন্যদিকে সংবাদমাধ্যমে টেট ২০১৪ (Primary TET 2014) এর খবর প্রকাশ হতেই, সামাজিক দিক দিয়ে এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতেও ২০১৭ ও ২০১৮ এর শিক্ষকেরা ট্রোলিং এর শিকার হচ্ছেন। এদিকে ব্যাংকের মত প্রতিষ্ঠিত সংস্থা ও নাকি লোনের জন্য টেট এর ডকুমেন্ট দেখতে চাইছেন। একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, সবাই দোষী নন, তাই সামগ্রিক দিক দিয়ে এই ধারনা করা ঠিক নয়। এছাড়া জানা যাচ্ছে, যে সমস্ত শিক্ষকেরা নথি জমা দিয়েছেন, সমস্ত নথি যাচাই হবে।

আরও পড়ুন, এই মামলায়, কোন শিক্ষকদের টেনশন নেই, কারা বিপদে পড়তে পারেন।

এই বিষয়ে (Primary TET 2014) আপনার মুল্যবান মতামত নিচে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এই সংক্রান্ত নতুন খবরের আপডেট সবার আগে পেতে হলে এই ওয়েবসাইটটি ফলো করতে ভুলবেন না।
Written by Manika Basak.

অগ্নিবীর প্রকল্পে সমস্ত পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, নিয়োগ পদ্ধতি, বেতন, নিয়ম

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment