Primary TET 2014 এর পুরো প্যানেল বাতিলের হুশিয়ারি আদালতের, মহা টেনশনে ২০১৭-১৮ প্রাথমিক শিক্ষকেরা।

Primary TET 2014 : ডিভিশন বেঞ্চে তুলোধোনা পর্ষদকে, কেন এই ঘটনা, জানতে চায় আদালত।

প্রাথমিকের শিক্ষক (Primary TET 2014) নিয়োগের অভিযোগ নিয়ে রাজ্য সরগরম। আদালতের প্রশ্নবাণে বিদ্ধ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ইতিমধ্যেই পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আদালতের মধ্যেও এই বিষয়ে বিচারপতি আইনজীবীদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের মতামত প্রকাশ্যে এসেছে।

সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একের পর এক নির্দেশ দিয়েছেন। 269 জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। Primary TET 2014 এর CBI তদন্ত চলছে। অনেকেই ডিভিশন বেঞ্চে, সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন। তবে ডিভিশন বেঞ্চেও এই মামলায় পর্ষদকে একের পর এক প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হতে হয়েছে।

বিচারপতি পর্ষদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন, 273 জনকে শুধুমাত্র 1 নম্বর করে বাড়ানো হলো কেন? যদি প্রশ্নপত্রে ভুল থাকার জন্য পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী 1 নম্বর করে বাড়ানোর প্রয়োজন থাকে, তাহলে সে ক্ষেত্রে চাকরির সমস্ত পরীক্ষার্থীর জন্য হলো না কেন?

23 লক্ষ চাকরি প্রার্থীর মধ্যে মাত্র 273 জনের 1 নম্বর বাড়ানো হয়েছিল। সেই বিষয়ে এর আগেও আদালত পর্ষদের কাছে কারণ জানতে চেয়েছিল। এরপর ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলা যাওয়ার পরেও সেখানেও বিচারপতি পর্ষদের কাছে জানতে চান। শুধুমাত্র 273 জনের 1 নম্বর কেন বাড়ানো হয়েছে? কিসের ভিত্তিতে পর্ষদ শুধুমাত্র এই 273
জনের 1 নম্বর বাড়িয়েছে?

ডিভিশন বেঞ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের (Primary TET 2014) এই মামলায় পর্ষদকে রীতিমতো তুলোধোনা করে। এর আগেও কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ যেভাবে পর্ষদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেছিল, ঠিক সেভাবে ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি প্রশ্ন করেন, যদি প্রশ্নপত্রে ভুল থাকার কারণে 1 নম্বর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাহলে কৃতকার্য এবং অকৃতকার্য সমস্ত পরীক্ষার্থীদেরকে 1 নম্বর বাড়ানো কি উচিত ছিল না? সেক্ষেত্রে এই বৈষম্য কেন করা হয়েছে? যদিও পর্ষদের তরফে এর কোনো যথাযথ উত্তর দেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন, সুপারিশে কাদের চাকরী, প্রথম লিস্ট ধরা পড়লো।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের (Primary TET 2014) দুর্নীতির অভিযোগে এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি পর্ষদের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ। এর আগের শুনানিতে সমস্ত পক্ষকে লিখিত আকারে বক্তব্যে জানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার। কিন্তু তারপরেও পর্ষদের তরফে লিখিত বক্তব্য না পেশ করায় ক্ষুব্ধ হন বিচারপতিরা।

কি কারনে শুধুমাত্র কয়েকজনকে বাড়তি 1 নম্বর দেওয়া হয়েছে, সেটা জানতে চায় আদালত।
আদালতের পর্যবেক্ষণে এটাও জানানো হয়েছে, পর্ষদ কোনো ক্লাস টিচার নয়। এটা কোনো ক্লাস টেস্ট হচ্ছে না। যেখানে বেছে বেছে শুধুমাত্র কয়েকজনকে বাড়তি 1 নম্বর করে দেওয়া হয়েছে। পরে পর্ষদের (Primary TET 2014) মনে হয়েছে সকলকেই 1 নম্বর বাড়ানো দরকার।

এটা ভেবে পরে নম্বর দিয়ে দেওয়া হবে। এটা নিয়োগের পরীক্ষা। লক্ষ লক্ষ চাকরি প্রার্থীরা পরীক্ষা দিয়েছেন। পর্ষদের এই ভূমিকা আদালতের (Primary TET 2014) কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। পর্ষদের কি মনে হয় না এই ধরনের ঘটনার জন্য অনুসন্ধানের প্রয়োজন রয়েছে? প্রশ্ন করেন বিচারপতি।

এছাড়াও, হাতে গোনা কয়েকজন ধড়া পড়েছে, কিন্তু যেগুলোর অভিযোগ আসেনি, তাদের কত নম্বর বাড়িয়েছেন? এবার তো পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর চিরুনি তল্লাশি করতে হয়! এটা কোনও নিয়োগ প্রক্রিয়া হলো? এইভাবে নিয়োগ করে?
সংবাদসুত্র – আজকের প্রতিদিন পত্রিকা, হিন্দুস্থান টাইমস বাংলা, TV9 Bangla.
Written by Rajib Ghosh.

আরও পড়ুন, মাসে লাখ টাকা আয়ের নতুন ফন্দি, শুরু করুন স্বল্প পুঁজিতে এই ব্যবসা।

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment