অতিমারী আবহ কাটিয়ে সবে চালু হয়েছে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ক্লাস, এবার প্রাথমিক (Primary School Reopen) থেকে অষ্টম শ্রেণীর ক্লাস চালু নিয়ে কি ভাবছে সরকার সেই নিয়ে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী (Bratya Basu) যা জানালেন সেই নিয়ে রইলো বিস্তারিত তথ্য।
দীর্ঘ কুড়ি মাস পর, পুরনো ছন্দে ফিরল স্কুল। রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশে কোথাও ফুল, কোথাও পেন, কোথাও চকোলেট দিয়ে অভ্যর্থনা জানান হল পড়ুয়াদের। এতদিন পর স্কুলে আসতে পেরে খুশি পড়ুয়ারাও। সংক্রমণ যাতে না ছড়ায়, সে জন্য প্রায় সব স্কুলই বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে (Primary School Reopen)। এদিন সাংবাদিকদের এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে শিক্ষামন্ত্রী Bratya Basu জানালেন,
ব্রাত্য বসুঃ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে করেছি (Primary School Reopen)। সেই অনুসারে ব্যবস্থাও নিয়েছি। স্বাস্থ্য দফতরের মাথার উপর বসে আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সেই অনুসারে ভাবনা-চিন্তাও করেছেন। দিনক্ষণ বলা তো সম্ভব নয়। আমরা প্রথম ধাপে সব ব্যবস্থা নিয়ে একটা বড় ঝুঁকি নিয়েছি। অনেক রাজ্যও স্কুল খুলে দিয়েছে।
এরপর এবিপি আনন্দের দেওয়া সাক্ষাতকার, সরাসরি কোট আনকোট তুলে ধরা হলো,
সুমন দে : সিনেমা হল, মল থেকে মিটিং-মিছিল, সবই হচ্ছে, তাহলে স্কুল নয় কেন?
ব্রাত্য বসু: এই বছরের মধ্যে সম্ভাবনা আছে। সঠিক ভাবে দিন বলা যাচ্ছে না। তবে বাচ্চারা তো শহর থেকে গ্রামগঞ্জ সব জায়গায় ছড়িয়ে আছে। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। জানতে হবে দিদি কী চাইছেন।
সুমন দে : মফস্বলের বাচ্চারা তো অনলাইন ক্লাস তেমনভাবে পায়নি, এই যে একটা অফলাইন ক্লাসের ব্যবধান তৈরি হল. তাতে তো পড়াশোনার ক্ষতি হল …
ব্রাত্য বসু: হ্যাঁ। তবে অফলাইন ক্লাস শুরু মানে তো অনলাইন ক্লাস বন্ধ হয়ে যাওয়া নয় !সমান্তরালে চলবেই। আর এই ২ বছরে বাচ্চারা স্কুল না গেলেও পড়াশোনা থেকে তো সম্পর্ক ছিন্ন করেনি। গ্রাম বা শহরের কয়েকটি পরিবারের শিশুদের ক্ষেত্রে যদি তেমন ঘটেও থাকে, সবার ক্ষেত্রে তা ঘটেনি। পড়াশোনার সঙ্গে যোগাযোগ তো ছিলই ।
সুমন দে : কিছু বেসরকারি পরিসংখ্যান বলছে গোটা দেশে গ্রামীণ এলাকায় বহু পড়ুয়া স্কুলছুট হয়েছে যা প্রায় ৩৭ শতাংশ। বহু পড়ুয়ার পড়াশোনা চিরতরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ব্যাহত হয়েছে ভাষা শিক্ষা ও অঙ্ক করার দক্ষতা
ব্রাত্য বসু: এটা একটা সার্বিক স্থবিরতা। যতক্ষ না তারা সুস্থ অক্সিজেন পাচ্ছে ততক্ষণ তারা ছন্দে ফিরবে না। কিছু সময়কাল পরে আবার এই সমীক্ষা করলে নিশ্চিত ভাবেই পরিসংখ্যান পরিবর্তিত হবে।
সুমন দে : করোনাকালে অর্থনৈতিক ভাবেও তে বহু পরিবার মারাত্মক ধাক্কা খেয়েছে। নিঃসন্দেহে শিশু শ্রমিকের সংখ্যাও বেড়েছে
ব্রাত্য বসু:আমাদের রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী চাল-ডাল-আটা পৌঁছে দিয়েছেন প্রতি পরিবারে। মিড ডে মিলেও ছেদ পড়েনি।
সুমন দে : ২৪ সেপ্টেম্বর ‘দ্য গার্ডিয়ান’ পত্রিকায় একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়, যাতে বলা হয়েছে, ইংল্যান্ডে স্কুল খোলার পর থেকেই বাচ্চাদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। আমরা নিশ্চয়ই চাই না, এমনকিছু এখানে ঘটুক । আমাদের রাজ্যে যদি এরকম কোনও সমস্যা দেখা যায়, তাহলে তা মোকাবিলা করার জন্য আমাদের কোনও বিকল্প পরিকল্পনা রয়েছে কি?
ব্রাত্য বসু: ডাটা কালেকশন হবে। প্রতি স্কুলে আইসোলেশন রুম রেখেছি। জ্বর এলে সেই বাচ্চাকে ওই রুমে রাখা হবে। আমরা শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও সেভাবে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আর এখন যেহেতু চারটি ক্লাস খুলেছে, তাই ক্লাসরুমে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়েও অসুবিধে হবে না ।
সৌজন্যে আনন্দবাজার পত্রিকা, নিউজ লিঙ্ক
আরও পড়ুন, প্রথম থেকে নবম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষা এবং মূল্যায়ন কিভাবে হবে, নির্দেশিকা