যারা অল্প সময়ে বেশি সুদ ও সাথে নিরাপত্তার সাথে টাকা জমাতে চান, তাদের জন্য Post Office Time Deposit Scheme বা পোস্ট অফিসের টাইম ডিপোজিট স্কীম টি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। যদিও পোস্ট অফিসে Kisan Vikas Patra, Sukanya Smriddhi Yojana, Post Office Senior Citizen Savings Scheme, National Savings Certificate, Post Office MIS Scheme, Post Office Term Deposit সহ প্রভৃতি জনপ্রিয় প্রকল্প রয়েছে। তবে এর মধ্যে Post office TD সঞ্চয় প্রকল্প বেশি সুদ ও সাথে আয়কর সুবিধা দিয়ে থাকে।
বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিরাপদ ও লাভজনক বিকল্প খুঁজছেন? পোস্ট অফিসের টাইম ডিপোজিট স্কিম (Post Office Time Deposit Scheme) হতে পারে আপনার সঠিক পছন্দ। বিভিন্ন ধরনের স্কিমের মধ্যে ফিক্সড ডিপোজিট (Fixed Deposit) এবং টাইম ডিপোজিট স্কিম (TD) বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয়। অনেকেই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে টাইম ডিপোজিট স্কিমকে বেছে নেন।
কারণ এই স্কিমের বিশেষত্ব হল এতে উচ্চ সুদ হারের সাথে সুরক্ষিত রিটার্ন পাওয়া যায়। আপনিও যদি নিজের অর্থের পরিপূর্ণ লাভ ওঠাতে চান, তবে একবার পরীক্ষা করে দেখতেই পারেন এখানে বিনিয়োগ করে। তার আগে জেনে নেওয়া দরকার এখন এই স্কিমে কত করে সুদ দিচ্ছে, ম্যাচিওরিটির পর রিটার্ন কেমন পাবেন, এসব কিছু।
Post Office Time Deposit Scheme Rules 1981
Post Office Time Deposit Interest Rate
১. সুদের হারঃ
পোস্ট অফিসের টাইম ডিপোজিটে ১, ২, ৩ এবং ৫ বছর মেয়াদে বিনিয়োগ করা যায়। বিভিন্ন মেয়াদের জন্য সুদের হারও ভিন্ন ভিন্ন হয়। বর্তমানে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার পাঁচ বছর মেয়াদি ফিক্সড ডিপোজিটে ৬.৫০ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়। কিন্তু পোস্ট অফিসের টাইম ডিপোজিটে একই মেয়াদে ৭.৫ শতাংশ সুদ মেলে।
বিভিন্ন মেয়াদের সুদের তালিকাঃ
Post Office Time Deposit Calculator
- এক বছর মেয়াদে: ৬.৯ শতাংশ
- দুই বছর মেয়াদে: ৭ শতাংশ
- তিন বছর মেয়াদে: ৭.১ শতাংশ
- পাঁচ বছর মেয়াদে: ৭.৫ শতাংশ
২. বিনিয়োগের পরিমাণঃ
টাইম ডিপোজিটে ন্যূনতম বিনিয়োগের পরিমাণ মাত্র ১০০০ টাকা, যা সাধারণ মানুষের জন্য খুবই সুবিধাজনক।
৩. দ্বিগুণ রিটার্নঃ
টাইম ডিপোজিট স্কিমে ৭.৫ শতাংশ সুদ হারে টাকা দ্বিগুণ হতে সময় লাগে প্রায় ৯ বছর ৬ মাস। অর্থাৎ ১১৪ মাসে আপনার বিনিয়োগের পরিমাণ দ্বিগুণ হবে।
আরও পড়ুন, ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন জমা করলেই, একাউন্টে টাকা ঢুকবে। সঠিক নিয়ম জেনে নিন
৪. বিনিয়োগের সুবিধাঃ
পোস্ট অফিসের টাইম ডিপোজিট স্কিমে যে কোনও ভারতীয় নাগরিক বিনিয়োগ করতে পারেন। জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খোলারও সুযোগ আছে, যা সর্বাধিক তিনজন ব্যক্তির নামে হতে পারে। এমনকি, ১০ বছর বা তার বেশি বয়সী সন্তানের নামে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন অভিভাবকরা।
৫. করছাড় সুবিধাঃ
টাইম ডিপোজিট স্কিমে বিনিয়োগ করে আয়কর আইন ১৯৬১-এর ধারা ৮০সি এর অধীনে (Post Office Time Deposit 80C) করছাড় (Post Office Time Deposit income tax exemption) পাওয়া যায়। এছাড়াও, অ্যাকাউন্ট খোলার সময় নমিনির নাম দেওয়ার সুবিধাও রয়েছে, যা ভবিষ্যতে সুরক্ষার দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৬. অকাল প্রত্যাহারের শর্তঃ
মেয়াদ শেষের আগে টাকা তুলতে চাইলে বা অকাল প্রত্যাহারে কিছু জরিমানা দিতে হতে পারে। তাই বিনিয়োগের আগে শর্তাবলী ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন, দ্রুত ও নিরাপদে টাকা দ্বিগুন করার সেরা ৫ টি বিনিয়োগ প্রকল্প। কয়েক মাসেই টাকা ডবল।
পাঁচ বছর ধরে ৫ লাখ টাকা টাইম ডিপোজিটে কত রিটার্ন?
একটা সহজ উদাহরণ দিয়ে পোস্ট অফিসের টাইম ডিপোজিটের রিটার্নটি বুঝে নেব। মনে করুন, আপনি পাঁচ বছরের জন্য টাইম ডিপোজিটে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলেন। তাহলে মেয়াদ শেষে কত টাকা পাবেন? পোস্ট অফিস ক্যালকুলেটর অনুযায়ী, এক্ষেত্রে আপনি ২,৪৭,৪৭১ টাকা সুদ হিসেবে লাভ করবেন। সুদ আসল মিলিয়ে মোট ৭,৯৭,৪৭১ টাকা পাবেন।
Written by Nabadip Saha.