PM Poshan Scheme, পড়ুয়াদের স্কুলেই মধ্যাহ্নভোজ করানোর জন্য সর্বশিক্ষা মিশন মিড ডে মিল (Mid Day Meal) স্কীম চালু করে। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণায় এর নতুন নাম হলো পিএম পোষণ স্কিম ( PM Poshan Scheme )। ৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, শুধু নামকরণই নয়, আরো কয়েকটি প্রকল্প যুক্ত হয়েছে এর সাথে। তার সাথে নতুন খাদ্য মেনু, কুক কাম হেল্পারদের নতুন নাম, তাদের দশ মাসের ভাতা, ছাত্র পিছু খরচ, সাধারন মানুষ ও এই প্রকল্পে যুক্ত হচ্ছেন, এরকম নানাবিধ নিয়ম গুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
এই প্রকল্পে নতুন কি যুক্ত হচ্ছে?
কেন্দ্রের ঘোষণা অনুযায়ী, পিএম পোষণ স্কিমে ( PM Poshan Scheme ) প্রাক প্রাথমিক এবং সমস্ত সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের দুপুরে রান্না করা খাবার দেওয়া হবে। তার সঙ্গে স্কুল চত্বরে পুষ্টিকর শাক সবজির বাগান তৈরিতে জোর দেওয়া হবে। আগামী পাঁচ বছরে এই প্রকল্পে কেন্দ্রের আনুমানিক ১,৩০৭৯৫ কোটি টাকা খরচ হবে। রাজ্যগুলির খরচের পরিমাণ ৩১৭৩৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা। সারা দেশে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মোট প্রায় ১১ কোটি ৮০ লাখ ছাত্রছাত্রী এই প্রকল্পের আওতায় আসবে। মোট স্কুলের সংখ্যা ১১ লাখ ২০ হাজার।
নতুন খাদ্য তালিকাঃ
কেন্দ্র ইতিমধ্যেই খাদ্য তালিকা প্রকাশ করেছে। প্রাথমিকের শিশুদের ১০০ গ্রাম করে এবং উচ্চ প্রাথমিকের পড়ুয়াদের ১৫০ গ্রাম ছাত্র পিছু চাল যা দুই টাকা ধার্য করা হয়েছে এবং গমের খেত্রে ৩ টাকা করে। রান্নার খরচ প্রাথমিকে ৪.৯৬ টাকা, উচ্চ প্রাথমিকের ক্ষেত্রে ৭.৪৫ টাকা করে। এবং উপরে উল্লেখিত তালিকা অনুযায়ী প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকের খত্রে আলাদা করে ডাল, সবজি, তেল, নুন, মসলা ও জ্বালানীর খরচ দেওয়া আছে। PM Poshan Scheme
কুক কাম হেল্পারদের ভাতা ও অন্যান্য নিয়মঃ
কুক কাম হেল্পারদের প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে দশ মাসের ভাতা দেওয়া হবে। কুক কাম হেল্পারদের ভোজন মাতা নামে সম্বোধন করা হয়েছে। প্রতি বছর স্থানীয় এলাকায় কুক কাম হেল্পারদের রান্নার কোয়ালিটি উন্নয়নের জন্য প্রতিযোগিতা আয়োজন করার কথা বলা হয়েছে। এবং রান্না এবং স্বাস্থ্যকর বিষয়ে কুক কাম হেল্পারদের ট্রেনিং দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এবং তাদের রান্নার ইউনিফর্ম অবশ্যই ব্যাবহার করতে বলা হয়েছে।
সামাজিক, সুরক্ষা ও বাস্তবায়নঃ
পড়ুয়াদের মিল দেওয়ার আগে শিক্ষক, অভিভাবক কিম্বা সদস্যদের খাবার টেস্ট করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও প্রত্যেক স্কুলে সবজি বাগান করার পরিকাঠামো তৈরী করতে বলা হয়েছে। আঞ্চলিক কৃষকদের উৎসাহ দিতে লোকাল মার্কেট থেকে সমস্ত খাদ্য দ্রব্য কিনতে বলা হয়েছে। এই স্কীমের সাথে আরেকটি স্কীম যুক্ত করা হয়েছে যার নাম তিথি ভোজন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় লোকজন চাইলে বিভিন্ন উৎসব কিম্বা বিশেষ দিনগুলিতে পড়ুয়াদের বিশেষ খাবার পরিবেশন করতে পারবেন। তবে তার জন্য উপযুক্ত অনুমতি সাপেক্ষ এবং রান্না স্কুল প্রাঙ্গনে হতে হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে এই প্রকল্প চালু করতে পড়ুয়া অনুযায়ী সর্বাধিক ১০০০০ থেকে ২৫০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারবেন।
সম্পূর্ণ নির্দেশিকা ডাউনলোড করতে এই লিঙ্কে প্রেস করুন।