তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত কর্মচারী ফেডারেশনকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলতে হবে। সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে জেলায় কোনও মাতব্বরি বরদাস্ত করবে না দলের নেতৃত্ব। সেই কারণে এবার সংগঠনের জেলা সভাপতিদের নাম প্রশাসনিক স্তরে জানিয়ে দেওয়া হবে স্বীকৃতির প্রশ্নে। জেলাশাসকদের কাছে তাঁদের নাম শীঘ্রই পাঠানো হবে বলে মঙ্গলবার ঘোষণা করলেন সংগঠনের চেয়ারম্যান শিল্পমন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তার মতে, বর্তমানে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে সিংহভাগই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আস্থাশীল। বিগত বিধানসভা ভোটে পোস্টাল ব্যালটের ফলেও তা স্পষ্ট প্রমাণিত হয়েছে। সংগঠনের নেতৃত্বের দাবি মোতাবেক সাড়ে ন’লক্ষ সরকারি কর্মচারীর মধ্যে প্রায় সাত লক্ষই তাদের সংগঠনের সদস্য। যদিও এই দাবির বিষয়ে বিরোধী সংগঠনগুলির তীব্র আপত্তি রয়েছে। তবে এখানেই ফেডারেশন থেমে থাকতে চায় না। মঙ্গলবার বিধানসভা ভবনের নৌসার আলি কক্ষে পার্থবাবুর সঙ্গে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা সংগঠনের ৩২ জন নেতার অনুষ্ঠিত বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী সাত দিনের মধ্যে ফেডারেশন নতুন করে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করবে। এখন থেকে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদেরও সংগঠনের সহযোগী সদস্য হিসেবে স্থান দেওয়া হবে। আর নতুন সদস্য হওয়ার জন্য ফর্ম বাবদ একটি পয়সাও নেবে না সংগঠন। স্বাধীনতার পর এব্যাপারে প্রথম নজির ফেডারেশনই গড়তে চলেছে বলে পার্থবাবু দাবি করেন। তাঁর কথায়, দুয়ারে সরকার বা পাড়ায় সমাধান সহ মুখ্যমন্ত্রীর জনমুখী যাবতীয় কর্মসূচিকে সর্বাত্মক সফল করতে সরকারি কর্মচারীরা বদ্ধপরিকর। তাই সদস্য সংগ্রহ অভিযান সফল হবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। তবে কিছু দিন আগে যারা সরকারের বিরুদ্ধাচারণ বা মুখ্যমন্ত্রীর নিন্দামন্দ করেছে তাদের সংগঠনে নেওয়া হবে না। সাংবাদিক বৈঠকে পার্থবাবু এবং সংগঠনের রাজ্য আহ্বায়ক দিব্যেন্দু রায় আরও জানান, এদিনের আলোচনায় ঠিক হয়েছে যে-সব জেলা থেকে দু’জন করে প্রতিনিধি নিয়ে শীঘ্রই অ্যাড হক রাজ্য কমিটি গঠন করা হবে। নামগুলি হাতে এলেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। এছাড়া কর্মচারীদের বদলি নীতি নিয়ে কিছু সমস্যার কথা ওঠে বৈঠকে। সেটা খতিয়ে দেখা হবে।