নতুন ব্যবসা, বিরাট লাভ। ছোট্ট মেশিন কিনে এই ব্যাবসা শুরু করলে কাস্টোমার হামলে পড়বে।

নতুন ব্যবসা করার কথা তো ভাবেন অনেকেই, কিন্তু কতজন সাফল্যের সাথে নতুন ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন? সংখ্যাটা নিতান্তই হাতেগোনা। নতুন ব্যবসায় সফল না হবার প্রধান কারণ হলো মূলত সঠিক পরামর্শের অভাব এবং অভিজ্ঞতা না থাকা। এই প্রতিবেদনে আমরা রাবার ব্যান্ডের ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করব এবং কীভাবে ব্যবসাটি করে লাভ করবেন তা আলোচনা করব।

রাবারের ব্যবসাটি করা বেশ সহজ এবং কম পুঁজিতেই হয়। কারণ এখানে হাজার রকমের কাঁচামালের কোন ব্যাপার নেই। কেবল একটি মেশিন এবং কাঁচামাল হিসেবে রাবার টিউব লাগে এই ব্যবসাতে। আর এরপর ডিজাইন ঠিক করে সিজন অনুযায়ী যেমন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আগে অর্ডার পেলে আপনার ব্যবসা ফুলে ফেপে উঠবে।

নতুন ব্যবসায় কি কি লাগবে?

রাবার টিউব
এই রাবার টিউব মূলত তিন ধরণের হয়ে থাকে।
যেগুলো হলো-

ডি সি রাবার টিউব
নাইলন রাবার টিউব
এবং সেমি নাইলন টিউব
বাজারে মূলত ডিসি এবং নাইলন রাবার টিউব বেশি প্রচলিত। এই রাবার টিউবগুলি কেজি দরে বিক্রি হয়। কোয়ালিটি অনুসারে দাম কম বেশি হয়ে থাকে। মোটামুটিভাবে কেজি প্রতি ১৩০ টাকা থেকে শুরু হয়৷

মেশিনের আকার
রাবার ব্যান্ড তৈরির মেশিনটি বেশ ছোট আকারের হয়, সাধারণত ৫ ফুট / ৫ ফুটের সাইজের হয়ে থাকে। অর্থাৎ মেশিনটি খুব সহজেই বাড়িতে ইন্সটল করা যাবে। বাড়ির যে ২২০ ভোল্টের ইলেক্ট্রিসিটি সেই বিদ্যুতেই এই মেশিন চলবে। অতএব আলাদা করে বিদ্যুতের কানেকশন নেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।

মার্কেটে এলো নতুন ব্যবসা, ব্লাক গোল্ড এর Business একবার দাড়িয়ে গেলে টাকা ঢুকবে হুড়মুড়িয়ে।

এবার প্রশ্ন হচ্ছে বিক্রি কোথায় করবেন?
বর্তমানে রাবার ব্যান্ডের চাহিদা সর্বত্র রয়েছে। গৃহস্থালি, দোকান, অফিস, কাছারি, আদালত এমন কোন জায়গা নেই, যেখানে এই রাবার ব্যান্ডের চাহিদা নেই। চাহিদা বিশাল হওয়ার জন্য লোকাল মার্কেটে যেখানেই যাবেন এর বাজার পেয়ে যাবেন। কেবল খেয়াল রাখবেন আপনার রাবার ব্যান্ডের বা গাডারের কোয়ালিটি যেন ভালো থাকে, তাহলে বিক্রি করতে কখনই সমস্যায় পড়তে হবে না।

এছাড়া, আপনি নিজের কারখানা থেকে খুচরা হিসেবেও বিক্রি করতে পারবেন।
অন্যদিকে, নতুন ব্যবসা একটু বড়ো হলে নিজের এলাকার বাইরেও কয়েকজন সেলসম্যান নিয়োগ করে দূরের এলাকায় রাবার ব্যান্ড বিক্রি করতে পারবেন।

পাশাপাশি বিভিন্ন ডিস্ট্রিবিউটরদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে আপনার উৎপাদিত রাবার ব্যান্ড বিক্রি করতে পারেন।
তবে উপরের পদ্ধতিগুলো ছাড়াও, বর্তমানে ইন্টারনেট হচ্ছে বিক্রির সহজতম জায়গা। আপনি চাইলে ফেসবুক, ইউটিউব প্রভৃতি জায়গায় অনালাইন বিজ্ঞাপন দিয়েও আপনার নতুন ব্যবসার প্রচার করতে পারেন।

কম খরচে শুরু করুন এই ব‍্যবসা, দিনদিন বাড়ছে চাহিদা, দুর্দান্ত লাভ, নিজের পায়ে

লাভের পরিমাণ
প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা করে লাভ ধরে নিলে, মেশিনের মাধ্যমে আপনি প্রতি ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কেজি রাবার ব্যান্ড তৈরি করতে পারবেন। অর্থাৎ এই ব্যবসায় প্রতি ঘণ্টায় আপনার লাভ কম করে হলেও ৩০ x ৫০ = ১৫০০ টাকা।
এখন, যদি আপনি ৬ ঘণ্টা প্রতিদিন মেশিন চালান তাহলে আপনার প্রতি দিন পিছু লাভ হল ১৫০০ x ৬ = ৯০০০ টাকা। অর্থাৎ এই হিসেবে প্রতি মাসে আপনার লাভের অঙ্ক গিয়ে দাঁড়াচ্ছে ৯ x ৩০ = ২ লাখ ৭০ হাজার টাকাতে।

তবে এ কথা সত্যি, যে প্রথমেই আপনার এত পরিমাণ লাভ হবে না। কিন্তু এই নতুন ব্যবসাতে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা প্রতিমাসে লাভ করা অবশ্যই সম্ভব। লাগবে খালি একটি ধৈর্য্য আর একটু সাহস। তাহলে আর দেরী না করে আজই শুরু করে ফেলুন রাবার ব্যান্ড তৈরীর নতুন ব্যবসা।
Written by Antara Banerjee.

মাত্র ৫ বছর টাকা জমিয়ে হয়ে যান ২২ লাখ টাকার মালিক।

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment