সাধারণ মানুষের রেশন নিয়ে কারচুপির অভিযোগ এর আগে একাধিকবার উঠেছে। Ration Card ও রেশন বন্টন নিয়ে রাজ্য সরকার এব্যাপারে নানা পদক্ষেপ নিলেও রেশন ডিলাররা পুরোপুরি শোধরাননি। আর তাই এবার রেশন পরিষেবা ব্যবস্থায় দুর্নীতি রুখতে এক নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্যের খাদ্য দফতর তথা WBPDS.
New Biomatric Verification for Ration Card Holders
রেশন কারচুপি রোধে এবার প্রতিটি রেশন দোকানে বাধ্যতামূলকভাবে বৈদ্যুতিন ওজন যন্ত্র বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রাথমিকভাবে একটি পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে এই যন্ত্র ব্যবহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং সফলতা প্রমাণিত হলে ধাপে ধাপে সব রেশন দোকানে এই ব্যবস্থা চালু করা হবে।
নতুন যন্ত্রটি কীভাবে কাজ করবে?
এতদিন রেশন কার্ড গ্রাহকেরা ই-পস (e-POS) বা বুড়ো আঙুলের ছাপ দিয়ে রেশন তুলতেন, কিন্তু এবার এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে বৈদ্যুতিন ওজন যন্ত্র।
- গ্রাহকরা এখন ই-পস বা আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে রেশন পাবেন।
- এই যন্ত্রটি ই-পসের সাথে সংযুক্ত থাকবে।
- রেশন দেওয়ার সময়, যন্ত্রটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে খাদ্যশস্যের ওজন করবে।
- ওজন রেশন কার্ডে বরাদ্দের পরিমাণের সাথে মানানসই না হলে, মেশিন কাজ করবে না এবং কোনো বিল তৈরি হবে না।
- এছাড়াও, রেশন দোকানদার কতটা রেশন বিতরণ করছে তার হিসাব রাখা যাবে, যা মজুত কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে।
কি সুবিধা হবে?
বিগত সময়ে ই-পস (e-POS) ব্যবস্থা চালু থাকা সত্ত্বেও অনেক জায়গায় রেশন গ্রাহকেরা কম রেশন পাওয়ার অভিযোগ জানাচ্ছিলেন। এই অভিযোগ দূর করতেই Ration Card এর ই-পসের সঙ্গে বৈদ্যুতিন ওজন যন্ত্রটি যুক্ত করা হচ্ছে। এতে জালিয়াতির হার কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন, লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো, ছেলেদের প্রতি মাসে ৬০০০ টাকা ভাতা দেবে। কারা ও কিভাবে আবেদন করবেন?
খাদ্য দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সমস্ত পদ্ধতি অনলাইন করা হবে যাতে কোনও অভিযোগ না ওঠে এবং রেশন দোকানের উপর কড়া নজর রাখা যায়। ইতিমধ্যেই এই ব্যবস্থায় ২০ লক্ষ মানুষ যুক্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
রেশন দুর্নীতি কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতারও হয়েছেন। সব মিলিয়ে, রাজ্য সরকার এবার রেশন ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ করতে চায় এবং এর জন্য নানা ধরনের ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে খাদ্য দফতরে।
যদিও রেশনে দুর্নীতি আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে বলে সমীক্ষা রিপোর্টে উঠে এসেছে। তবুও গ্রামীন এলাকায় এখনও বিক্ষিপ্তভাবে অভিযোগ মিলছে। আর এই ব্যাবস্থার পর সেই দুর্নীতি আরও নিয়ন্ত্রনে আসবে বলে মনে করছেন, বিশেষজ্ঞ মহল। আরও আপডেট পেতে EK24 News ফলো করুন।
Written by Nabadip Saha.