চাকরির চিন্তা না করে এখনই সিজনাল ব্যবসা শুরু করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ। ছোট হোক বা বড়, বাড়িতে বেকার বসে না থেকে যেকোনো কাজ শুরু করলেই সময়ের সাথে বুঝে যাবেন কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে হয়। কোনও কাজই ছোট নয়, শুধু কাজগুলো মন দিয়ে করুন, সময়ের উপযোগী সিদ্ধান্ত নিন, নিচের এই ব্যাবসা গুলই একদিন আপনার জীবন বদলে দেবে।
পুঁথিগত শিক্ষার দরকার আছে সবারই। তবে বর্তমানের এই প্রতিযোগীতার ভিড়ে চাকরির বেহাল দশা। এই পরিস্থিতিতে ঘরে বসে না থেকে উৎসবের মধ্যে শুরু করে দিতে পারেন নতুন সিজনাল ব্যবসা। শুধু সঠিক পথ মেনে এগিয়ে যেতে পারলেই মিলবে বিপুল লাভ।
পুজোর মরশুমে স্বল্প পুঁজির সিজনাল ব্যবসা।
সিজনাল ব্যবসা ক্ষেত্রে প্রধান যেই বিষয়ে নজর দিতে হয় তা হল পুঁজি। স্বল্প পুঁজির ব্যবসা শুরু করাই সব থেকে ভালো। এতে ঝুঁকি অনেক কম থাকে। এছাড়া সরকারি নানা প্রকল্প আছে যার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের তথা ছোট হোক বা বড় অংকের ঋণও দেওয়া হয়ে থাকে। আসুন আজ জেনে নেই, কয়েকটি সময়োপযোগী সিজনাল ব্যবসা নতুন আইডিয়া।
ঘরে বসেই নতুন পোশাক বিক্রি করে আয় করা যেতে পারে মোটা অংকের টাকা। একবার এক লট এনে টেস্ট করে দেখুন, এই ব্যাবসা এক সময় সারাবছরের ব্যাবসায় রূপান্তরিত হতে পারে। এক্ষেত্রে 10-15 হাজার টাকার পুঁজি হলেই ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। পাইকারি মার্কেট থেকে হাঁটের দিন মাল আনলেই বেশ সস্তায় পোশাকগুলি কেনা সম্ভব। কলকাতা, হাওড়া ইত্যাদি জায়গাতে প্রচুর পাইকারি মার্কেট আছে। একটু খোঁজ নিলেই সব জেনে যাবেন।
এরপরে এখন যেই ব্যবসা লাভজনক তা হলো বাড়ি রং করার ব্যবসা। এই সময়ে অর্থাৎ দীপাবলির ঠিক আগে আগেই অনেকেই নিজের বাড়িঘর রং করে থাকে। সেক্ষেত্রে এই ধরণের কাজের কন্ট্রাক্ট নিয়ে কাজ করলে বেশ লাভ হয়ে থাকে। আর একবার দুই একটি বাড়ির কন্টাক্ট পেলে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলুন, দেখবেন আপনার আর কাজের খোজ করতে হবে না। লোকেরাই খোজ করবে।
সামনেই দীপাবলি উৎসব। আবার ইলেকট্রিক লাইট বা মাটির প্রদীপ বা হোক মোমবাতি – এদের কদর থাকে বেশ। এর মধ্যে যেকোন একটি বেছে নিয়ে তার ব্যবসা করেও বেশ লাভ হবে যায়। কাঁচামাল কিনে খুব সহজেই বানিয়ে ফেলা যায় ঘরে বসে। পরে তা পাইকারি বা লোকাল মার্কেটে বিক্রি করলে বেশ লাভ পাওয়া সম্ভব।
পুজোর সময় এই লাভজনক ব্যবসা আপনাকে মালামাল করে দেবে, বিনা পয়সায় ব্যবসা করুন।
এছাড়াও ফার্স্ট ফুড এর ব্যবসা বেশ লাভজনক একটি ব্যবসা। পুজোর মরশুমে অধিকাংশ মানুষই বাইরে খেতে পছন্দ করেন। সেক্ষেত্রে অল্প পুঁজিতে শুরু করা যায় এই ব্যবসা। এছাড়াও অনেক শহর বা তার আশেপাশে যোম্যাটো বা সুইগি নামক খাবার পৌঁছে দেবার সুবিধা আছে মোবাইলের মাধ্যমে। এই ব্যবসাও বেশ লাভজনক।
পুজোর সময়ে বাজির ব্যবসা করা যেতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দপ্তরের লাইসেন্স প্রয়োজন। তবে 100 কেজি ওজন পর্যন্ত লাইসেন্সের দরকার হয় না। এই ব্যবসা করা যায় ঘরে বসেই। এতেও প্রচুর লাভের মুখ দেখা সম্ভব। তবে সব্দ বাজির ব্যাবসা না করাই ভালো।
রাজ্যের বেকার ভাতা প্রকল্পে এই কাজটি না করলে, 1 টাকাও পাবেন না।
প্রত্যেকটি ব্যবসার ক্ষেত্রেই লাইসেন্স করে নেওয়া বাধ্যতামূলক। প্রথমে এই সব সরকারি কাজ মিটিয়ে নিলে পরে আর কোন ঝামেলাতে পড়তে হয় না। এবং যে কাজই করুন মন দিয়ে করুন, উপরোক্ত কোনও কাজে নিজের দক্ষতা না থাকলেও ভালো দক্ষ লোক কে সাথে নিয়ে সিজনাল ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এমন আরো ব্যবসার খোঁজ পেতে আমাদের সাথে থাকার আহ্বান জানিয়ে আজকের প্রতিবেদন শেষ করছি। ধন্যবাদ।
Written by Mukta Barai.