বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠকে চারটি সমঝোতা স্মারক (মেমোরেন্ডাম অব আন্ডার্সট্যান্ডিং) স্বাক্ষরিত হবে বলে জানিয়েছে ঢাকার বিদেশমন্ত্রক। এ মউ গুলো হল- হাতি সংরক্ষণ, বরিশালে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণ, কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প ও জ্বালানি সহযোগিতা (হাইড্রোকার্বন)। দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের আগে দুই দেশের স্ব স্ব মন্ত্রকের সংশ্লিষ্ট আধিকারিক ও ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী চুক্তিগুলো সই করবেন। এ বিষয়ে ঢাকার বিদেশ মন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠক বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হবে। বৈঠকের শুরুতে ভারতের পোস্টাল বিভাগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর ওপর স্ট্যাম্প উদ্বোধন করা হবে। বঙ্গবন্ধু-বাপু (মহাত্মা গান্ধী) ডিজিটাল মিউজিয়ামের ওপর একটি প্রমো প্রদর্শন করা হবে। এছাড়া ৫৫ বছর পরে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেললাইন সংযোগ একটি ট্রেন ফ্ল্যাগ অফের মাধ্যমে পুনরায় চালু হবে। এবারের বৈঠকে নতুন কী আছে জানতে চাইলে ওই আধিকারিক বলেন, ‘প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এর মধ্যে রয়েছে ইনফরমেশন টেকনোলজি, স্পেস, আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সসহ অন্যান্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিষয়। বিদেশ মন্ত্রকের আরেক আধিকারিক জানান, প্রতিবারের মতো এবারও বৈঠকে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যেমন-শান্তিপূর্ণ সীমান্তসহ অন্যান্য নিরাপত্তা সহযোগিতা, বাণিজ্য সহযোগিতা, জল সহযোগিতা, কানেকটিভিটি, কোভিড-১৯ সহযোগিতা, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি বিদেশে যৌথভাবে উদযাপনসহ অন্যান্য বিষয় তোলা হবে। দুই প্রধানমন্ত্রীর এই বৈঠকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিটি হবে হাতি সংরক্ষণ। এই চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে হাতির বাসস্থান টেকসই পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হবে। সীমান্তবর্তী এলাকায় আন্তঃদেশীয় হাতির জরুরি ব্যবস্থাপনার জন্য বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত করে এটা ম্যানেজ করা যাবে। উভয় দেশ যৌথভাবে গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ কাজ পরিচালনা করবে। সুত্র এএনআই