মিড ডে মিল নিয়ে নয়া নির্দেশ, কাল থেকে কেন্দ্রের ভিজিট হবে, শিক্ষকদের যে যে বিষয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে।

পড়ুয়াদের জন্য চালু মিড ডে মিল প্রকল্পের বিস্তারিত খোঁজখবর নিতে এবার রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। বাংলার স্কুলগুলিতে কিভাবে চলছে মিড ডে মিল (Mid Day Meal) পড়ুয়ারা মিড ডে মিল নিয়ম মেনে পাচ্ছে কিনা, Mid Day Meal এর জন্য বরাদ্দ টাকা কিভাবে খরচ হচ্ছে, স্কুলগুলিতে পিএম পোষণ এর পরিকাঠামো কিরকম, সেই সমস্ত বিষয়ে সরেজমিনে খতিয়ে দেখার জন্য কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আগামী সপ্তাহেই রাজ্যে আসতে চলেছে।

মিড ডে মিল এর স্পেশাল ভিজিটঃ

তাই কেন্দ্রীয় টিম আসার আগেই রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের তরফে মিড ডে মিল নিয়ে এক জরুরী বৈঠক করে নেওয়া হয়েছে। সেই বৈঠক থেকে সমস্ত স্কুলে মিড ডে মিল প্রকল্পের জন্য বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের নেতৃত্বে রাজ্য এবং জেলা স্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে বিভিন্ন স্কুলের বিরুদ্ধে Mid Day Meal নিয়ে যে সমস্ত অভিযোগ উঠেছে, সেই বিষয়ে সম্পূর্ণ আলোচনা করা হয়।

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একটা অভিযোগ বারে বারে গুরুত্ব দিয়ে করা হয়ে থাকে, সেটি হলো, কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ টাকায় চালু প্রকল্পে রাজ্য সরকারের ভূমিকা তুলে ধরা হয়। সেখানে কেন্দ্রের লোগোর বদলে রাজ্যের লোগো ব্যবহার করা হয়। আর তাই কেন্দ্রের তরফে এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঠিক করা হয়েছে, ২৩ জানুয়ারি থেকে Mid Day Meal প্রকল্পে PM Poshan Logo লাগানো হবে। সমস্ত স্কুলকে PM Poshan এর খাদ্য তালিকা জানাতে হবে।

মিড ডে মিল কেন্দ্রে রান্না করার সময় যারা রান্না করবেন, তাদের টুপি এবং অ্যাপ্রন পরতে হবে। Mid Day Meal রান্নার জন্য যে সমস্ত বাসনপত্র ব্যবহার করা হবে, তা যেন সঠিকভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়। কোনোভাবেই কোনো ভাঙা বাসনপত্র ব্যবহার করা যাবে না। পাশাপাশি মিড ডে মিলের খাবারের মান পরীক্ষার সঙ্গে হাত স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। স্কুলে নিয়মিত স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করতে হবে।

কোনো প্রয়োজনে যদি অন্য কোনো জায়গা থেকে খাবার আনতে হয়, বা ক্লাস্টার কিচেন ব্যবহার হয়, তাহলে সেই খাবার যাতে সঠিকভাবে সুরক্ষিত থাকে সেই বিষয়টিকেও নিশ্চিত করতে হবে। Mid Day Meal খরচ সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়ে ব্লকের অতিরিক্ত হিসাবরক্ষক, ব্লক পর্যায়ের ক্লার্ককে দিয়ে করাতে হবে। স্কুলের প্রধান শিক্ষককে এই কাজ করানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর প্রাথমিক স্কুলের ক্ষেত্রে হেড টিচার এই কাজ করবেন।

এই বিষয়ে বঙ্গীয় শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মী সমিতির নেতা স্বপন মন্ডল জানান, বিশেষ কোনো পরিস্থিতিতে সরকার মাঝেমধ্যে এরকম নির্দেশ দেয়। তারপরে আর সেসব খেয়াল থাকে না। Mid Day Meal বা PM Poshan প্রকল্প খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রের টিম আসবে বলেই এই সব হচ্ছে।

মাত্র একবার টাকা জমিয়ে মাসে 20000 টাকা সারাজীবন পেনশন পান।

পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অশোক রুদ্র বলেন, কেন্দ্র যখন Mid Day Meal এর টাকা বন্ধ করে রেখেছিল, রাজ্য তখন নিজেই উদ্যোগ নিয়ে মিড ডে মিলের খাবার দিয়েছিল। রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে লাভ নেই। আমাদের প্রাপ্য টাকা রাজ্যকে দিতে হবে। কেন্দ্রীয় টিম আসছে, আসুক। তাতে কোনো আপত্তি নেই।

বদলে গেল ট্রেনে চড়ার নিয়ম, না মানলে বেফালতু ফাইন দিতে হবে।

রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের তরফে গুরুত্ব দিয়ে এই মিড ডে মিল সংক্রান্ত সমস্ত অভিযোগের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যাতে কেন্দ্রীয় টিম এসে রাজ্যের মিড ডে মিল পরিস্থিতি নিয়ে কোনো প্রশ্ন না তুলতে পারে। আর সেই নিয়ে প্রত্যেক স্কুলে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে, যেন সকলের খাতাপত্র বা হিসাব রেডি থাকে, রান্না ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হয়, রান্না ঘরে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র মৌজুদ থাকে।
Written by Rajib Ghosh.

স্টেট ব্যাংক একাউন্ট থেকে এই সপ্তাহে প্রায় 400 টাকা কেটে নেবে, কি কারনে কাটবে জেনে নিন।

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment