মহিলা সরকারী কর্মীদের Maternity Leave বা মাতৃত্ব কালীন ছুটি বৃদ্ধি। শুধু তাই নয় একাধিক রাজ্যে মহিলা কর্মী ও স্কুল কলেজের ছাত্রীদের Menstrual Leave বা ঋতুকালীন ছুটি চালু হলো। বর্তমান নারী জাগরণের সময়ে যেটি একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
ঋতুকালীন ছুটি চালু ও মাতৃত্বকালীন ছুটি বৃদ্ধি একাধিক রাজ্যেঃ
প্রসঙ্গত তৃণমূল সরকার পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসার পর নারীকল্যানের উদ্দেশ্যে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো মাতৃকালীন ছুটি বৃদ্ধি করা বা মেয়াদ বৃদ্ধি করা। এছাড়া কন্যা সন্তানদের জন্য কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প দেশ তথা সারা বিশ্বে সুনাম অর্জন করেছে। আর দীর্ঘ মেয়াদী মাতৃত্বকালীন ছুটি বৃদ্ধির পথই অনুসরন করলো বর্তমানে আরেক রাজ্য। মাতৃত্বকালীন ছুটির মেয়াদ আরো একমাস ছুটি বৃদ্ধি করলো সিকিম রাজ্য সরকার।
বদলে গেল ট্রেনে চড়ার নিয়ম, না মানলে বেফালতু ফাইন দিতে হবে।
নারী কল্যানের উদ্দেশ্যে সরকারের নেওয়া এই সিদ্ধান্ত এক কথায় অনবদ্য। একজন নারীর “মা” হয়ে ওঠার সময়কাল তার জন্য তার জীবনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত গুলোর মধ্যে একটি। তার কেরিয়ার যেন তার এই গুরুত্বপূর্ণ সংবেদনশীল মুহূর্তের মাঝখানে বাঁধা সৃষ্টি করতে না পারে সেই জন্য এবং একজন নারীর মাতৃসত্তা এবং কর্মসত্ত্বা ও কর্মস্পৃহা উভয়কেই সমান গুরুত্ব দিয়ে সরকার ম্যাটারনাল লিভ বা মাতৃকালীন ছুটি বৃদ্ধি বা সময় সীমা এক মাস ছুটি বৃদ্ধি করেছেন তিনি। শুধু ম্যাটারনাল লিভ বা মাতৃকালীন ছুটির সময় সীমা এক মাস বৃদ্ধি-ই নয়, সাথে আয়াদের মাসে ১০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমসিং তামাং.
আগামী 27 জানুয়ারী কি পশ্চিমবঙ্গে ছুটি ঘোষণা? সরকারী কর্মী ও শিক্ষকেরা সঠিক তথ্য জেনে নিন।
এদিকে বিহার সরকারের পর, মহিলাদের জন্য চালু হয়ে গেল প্রতিমাসে পিরিয়ড কালীন সর্বোচ্চ ৩ দিন ছুটি।
“ঋতুস্রাব” মেয়েদের জীবনে অনিবার্য ঘটনা। অনেক মেয়ে কিশোরী নারী বা মধ্য বয়স্কারই এই সময় পেটে যন্ত্রণা থেকে শুরু করে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে মানসিক ও শারীরিক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েই যেতে হয়। তাদের সেই নির্দিষ্ট সময়ে কিছুটা স্বস্তি দিতে এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেরল রাজ্য সরকার। আর সেই পথেই হাটতে পারে একাধিক রাজ্য। যদিও এই ছুটি বাধ্যতামুলক বা এনলিস্টেড নয়।
অর্থাৎ কোনও মহিলা কর্মী বা ছাত্রীর অসহ্য যন্ত্রনা কিম্বা অতিরিক্ত রক্তস্রাব হলে উচ্চ পদস্থ কর্তা কিম্বা ছাত্রীদের ক্ষেত্রে টিচার বা বিদ্যালয় কতৃপক্ষ মনে করলে ছুটি দিতে পারেন, এই ছুটি কাউন্ট হবে না। এই বিষয় নিয়ে কেরালা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, “বিদ্যালয় ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অধীনে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ঋতুস্রাবের সময়ে মেয়েদের মাসিক ছুটি দেওয়া যায় কি না, সেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে”।
কেরালায় এই ছুটি ঘোষণার পর, পশ্চিমবঙ্গের একাধিক শিক্ষক সংগঠন পশ্চিমবঙ্গে এই ছুটি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। কেরালার পর আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গেও কি মেয়েদের “ঋতুকালীন ছুটি” ঘোষণা করা উচিত? এবিষয়ে আপনাদের কি মতামত? আমাদের কমেন্ট বক্সে জানান। আর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে EK24 News ফলো করুন।