Madhyamik Result : নম্বর প্রদান করতে গিয়ে চিন্তায় পড়েছেন খোদ পরীক্ষকরাই, কেন? জানুন বিস্তারিত।
অতিমারী আবহের মধ্যেই এ বছর ৬ মার্চ থেকে অফলাইনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Result) শুরু হয়েছিল। তবে পরীক্ষার আগে পড়ুয়ারা পড়ার জন্য পায়নি যথাযথ সময়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর খাতা দেখতে গিয়ে পরীক্ষকদের চোখ কপালে উঠেছে। কি এমন লেখা ছিল পরীক্ষার খাতায়?
এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ১২ লক্ষ। পরীক্ষার জন্য প্রধান কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৪৩৫ টি এবং উপকেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৭৫৯ টি। করোনা বিধি মেনে পরীক্ষা হলেও সেই পরীক্ষার ফলাফল (Madhyamik Result) সব পরীক্ষার্থীদের জন্য ভালো নাও হতে পারে এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে পরীক্ষকদের কথায়।
মাধ্যমিকের পর পরীক্ষার্থীদের খাতা দেখার জন্য পরীক্ষকদের ভাগ করে দেওয়া হয়। কিন্তু পরীক্ষকেরা খাতা দেখার সময় দেখেন যে, কেউ এমন উত্তর লিখেছে যার সাথে প্রশ্নের কোনও মিল নেই। আবার অনেকে পুরো খাতা জুড়ে হুবহু প্রশ্নটাই টুকে দিয়েছে।
পরীক্ষার খাতা দেখে একজন শিক্ষক আফসোস করে বলেছেন, তিনি বহু বছর ধরে মাধ্যমিকের খাতা দেখেছেন। কিন্তু এমন দুর্দশা কখনও দেখেননি। সংক্রমণ যেন সব লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে। Madhyamik Result
প্রসঙ্গত, মাধ্যমিকের প্রায় সব বিষয়ের ক্ষেত্রেই একই ঘটনা ঘটেছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ইতিহাসের একজন শিক্ষক খাতা দেখার সময় নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, একজন পরীক্ষার্থী প্রশ্নের সঠিক উত্তর না লিখে প্রশ্নপত্রে লেখা সম্ভাব্য উত্তরগুলি খাতায় লিখে রেখেছে।
বাংলার একজন শিক্ষিকাও জানান, “খাতা খুলে দেখি, অধিকাংশই একটি অক্ষরও লেখেনি। ফাঁকা খাতা জমা দিয়েছে। কেউবা হুবহু টুকে দিয়েছে বাংলা প্রশ্নপত্রটি! নম্বর কোথায় বসাবো ভেবে পাচ্ছিনা”। Madhyamik Result
অতিমারীর ফলে বহু মানুষ হারিয়েছেন নিজেদের চাকরি। কারও বা কমেছে বেতন, কেউ রোজগার করতে বেছে নিয়েছেন অন্য পেশা। অন্যদিকে দীর্ঘ সময় পড়াশোনা অফলাইনে না হওয়ার কারণে পড়ুয়ারাও পড়াশোনার ক্ষেত্রে সম্পর্কহীন থেকেছেন। Madhyamik Result
পরীক্ষার খাতা দেখতে গিয়ে ইংরেজির একজন শিক্ষক জানান, “নিজের নামের বানান ইংরেজিতে লিখতে গিয়ে কেউ ‘ডি’, ‘এল’ ও ‘বি’ অ্যালফাবেট উল্টো লিখেছে” । মনবিজ্ঞানের ভাষায় এগুলিকে বলা হয় ‘টেম্পোরারি ডিসলেক্সসিয়া’।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর এ প্রসঙ্গে নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুকুমার পাইন জানান, “এই পরিস্থিতির জন্য কিন্তু পরীক্ষার্থীদের দিকে আঙ্গুল তোলা যাবে না। স্কুল গুলো পঠন-পাঠনের জন্য একটু আগে খুলতে পারত। মাধ্যমিক পরীক্ষা এক মাস পিছিয়ে দেওয়া যেতে পারত। তা হলে এমন হাল হত না। পরীক্ষার্থীরা কিছুটা সময় পেত”।
উল্লেখ্য, ভূগোলের একজন শিক্ষক বলেন, “একটি খাতা পেলাম, খুব মর্মান্তিক, এক পরীক্ষার্থী কোনও উত্তর না লিখে করোনা পরিস্থিতিতে সে কি প্রবল অসুবিধার মধ্যে ছিল তার সেই অসহায়তার কথা লিখে পাস করিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছে, ভাবতে পারেন”!
এক পরীক্ষক নম্বর প্রদান সংক্রান্ত বিষয় জানাতে গিয়ে বলেন, পর্ষদের নির্দেশ অনুযায়ী কাউকেই শূন্য দেওয়া যাবে না। অন্তত ১ বা ২ নম্বর দিতে হবে। তবে খালি খাতায় কত নম্বর দেওয়া যায় সেটাই পরীক্ষকদের এখন ভাবার বিষয়। Madhyamik Result
আপনার কি মনে হয়, এই পরিস্থিতির জন্য দায় কার? পরীক্ষার্থীদের কিছুদিন ক্লাস করিয়ে পরিক্ষাটা নিলে কি ভালো হতো না? নিচে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। এই সম্পর্কিত অন্যান্য আরও খবর পেতে হলে এই ওয়েবসাইট ফলো করতে ভুলবেন না। Madhyamik Result
Written By Manika Basak
আর WiFi লাগবেনা, প্রতিদিন 5 জিবি নেট মাত্র 6 টাকায়, মাসে 189 টাকা,
পুরাতন ১ টাকার কয়েন থাকলেই মালামাল, অনলাইনে লাখ টাকায় বেচুন।