বিশেষ বিমানে গুজরাত থেকে ফুসফুস এনে রাজ্য তথা পূর্ব ভারতের প্রথম ফুসফুস প্রতিস্থাপন হয়েছে কলকাতায়। সোমবার গভীর রাতে হয় এই প্রতিস্থাপন। ই এম বাইপাস লাগোয়া একটি বেসরকারি হাসপাতালে শহরেরই এক মাঝবয়সি ব্যক্তি পেলেন সুরাতের এক ব্যক্তির ফুসফুস। ফুসফুস প্রতিস্থাপনের (Lungs Transplant) পর আপাতত স্থিতিশীল গ্রহীতার শারীরিক অবস্থা। অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে এখন আইটিইউ (ITU) তে রাখা হয়েছে। কলকাতার বাসিন্দা বছর ৪৬ এর ওই রোগীকে পাঁচ চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। রোগীর চিকিৎসা প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবগত এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানিয়েছেন, তাঁর (রোগীর) অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। প্রথম তিনদিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারপরে আমরা কতটা এগোতে পারলাম, তা বুঝতে পারব। এখনই কিছু বলা ঠিক হবে না। এখনও পর্যন্ত সবকিছুই ঠিকভাবে এগোচ্ছে।
সুরাটের বাসিন্দা ৫২ বছরের মনীশ শাহর মস্তিস্কে টিউমার ধরা পড়ে। গুজরাটেই চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হয়। পরদিন চিকিৎসকরা মনীশ শাহকে ব্রেন ডেথ ঘোষণা করেন। পরিবারের তরফে মনীশের অঙ্গদানের অঙ্গীকার করা হয়। তখনই গোটা দেশের মধ্যে ফুসফুস গ্রহীতা হিসেবে মেডিকাতে চিকিৎসাধীন ৪৬ বছরের ওই ব্যক্তিকে বেছে নেওয়া হয়। তারপরই সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা সুরাট পৌঁছে যান। দাতার শরীর থেকে সংগ্রহ করেন ফুসফুস। বিমানে আনা হয় কলকাতায়। বাংলায় ফুসফুস প্রতিস্থাপনের নজির এর আগে ছিল না। সোমবার মহানগরে তৈরি হল সেই রেকর্ড। প্রথমবার ফুসফুস প্রতিস্থাপন হল কলকাতায়। মুকুন্দপুরের মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এই অস্ত্রোপচার হয়। রাত ১০টার কিছু পরে সুরাট থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় ফুসফুস। গ্রীন করিডর করে তা নিয়ে যাওয়া হয় মুকুন্দপুরে। সেখানে রাতেই হয় ফুসফুস প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচার।