লকডাউনে বিয়েবাড়ির অর্ডার বন্ধ। লটারির টিকিটের দোকান খুলেও সুবিধে হচ্ছিল না। শেষপর্যন্ত পড়ে থাকা একটি বান্ডিল থেকে মিলল প্রথম পুরস্কার। রাতারাতি ১ কোটি টাকা পেয়ে কোটিপতি শঙ্কু ঋষি। মালদহের ইংরেজবাজারের বাসিন্দা শঙ্কুর পরিবারে রয়েছে বাবা-মা এক ভাই। মা ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী। ভাই বিকলাঙ্গ।পরিবারে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। যার ফলে ১০ বছর বয়স থেকে বাবার হাত ধরে বিয়ে বাড়িতে বাজনা বাজিয়ে সংসারের হাল ধরেন। গত দুই বছর ধরে লকডাউনের কারণে বিয়েবাড়িতে বাজনা বাজানো কার্যত বন্ধ। যেটুকু উপার্জন মজুদ ছিল তাও গত দুবছরে শেষ হয়ে গিয়েছে। সংসারের হাল ধরতে ১৭ দিন আগে বাড়ির সামনে বিএস রোড এলাকায় রাস্তার ধারে একটি লটারির টিকিটের দোকান খুলে বসেন শঙ্কু। সেখান থেকে প্রচুর টিকিট বিক্রি হচ্ছিল। বৃষ্টির কারণে সোমবার তার প্রচুর টাকা ক্ষতি হয়। এরই মধ্যে ডিয়ার লটারির একটি খোলা বান্ডিল থেকে যায়। একবার টিকিটের বান্ডিল খুললে সেই বান্ডিল আর এজেন্সি ফেরত নেয় না। ফলে সেই বান্ডিলটি তার কাছে থেকে যায়। সন্ধ্যা হতেই দেখতে পান সেই বান্ডিলের মধ্যে থেকেই তার ১ কোটি টাকার লটারি লেগেছে। শঙ্কু ঋষি জানান, লকডাউনের কারণে গোটা পরিবারটাই আর্থিক অনটনে ভুগছিল। কোন কাজ না পেয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম লটারি টিকিটের দোকান খুলব। সেই মতো ছেলের লকেট বন্ধক রেখে দোকান খুলি। মাত্র ১৭ দিন হয়েছে। এর মধ্যেই প্রথম পুরস্কার লেগে যায়। সরকারি নিয়ম মেনে সেই টাকা পেলে হাতে পেলে উপকৃত হব।