মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের জন্য লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প (Lakshmir Bhandar Scheme) চালু করেন। সংবাদ সূত্রে জানা যায় লক্ষীর ভান্ডারে ১ কোটি ৭৯ লাখ ২৬ হাজার ৩৬৮ টি আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে প্রায় দেড় কোটি উপভোক্তাকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। পুজোর আগেই লক্ষীর ভান্ডারের (Lakshmir Bhandar Scheme) আর্থিক সাহায্য বিপুলসংখ্যক মহিলাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট হয়েছিল। প্রায় ৮০ লক্ষ মহিলার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে । আর যাদের টাকা ঢোকেনি তাদের দ্রুত টাকা দেওয়ার জন্য মুখ্যসচিব কে নির্দেশ দিলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যেই টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, চার জেলা বাদে রাজ্যের সমস্ত জেলার মহিলাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে যাবে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদীয়া ও কোচবিহার এই চার জেলায় ভোট থাকার কারনে টাকা এখনই ঢুকবে না। তবে পুজোর পর ইতিমধ্যেই দক্ষিন ২৪ পরগনায় ভোট হয়ে যাওয়ায় সেই জেলায় টাকা ঢুকতে শুরু করেছে, এবং গতকাল থেকে অনেকের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতে শুরু করেছে। আর যাদের টাকা এখনো ঢোকেনি হয় তাদের ব্যাঙ্ক এর নাম্বার ভুল আছে কিম্বা নিচের কয়েকটি কারনের একটি হতে পারে।
তবে ১ কোটি ৭৯ লক্ষ আবেদনের মধ্যে প্রায় দেড় কোটি আবেদন মঞ্জুর হয়েছে, বাকি প্রায় ৩০ লক্ষ আবেদন কি বাতিল হলো? সংবাদ সূত্রে জানা যাচ্ছে সবার ফর্ম বাতিল হয়নি। অনেকেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড এখনো পাননি, তাদের টা এখনো প্রসেস রয়েছে। তবে বহু ফর্ম বাতিল হয়েছে, এই ফরম বাতিল এর প্রধান কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে দুইটি। প্রথম, ফর্মে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর নম্বর ভুল। আর দ্বিতীয় কাস্ট সার্টিফিকেট এর নম্বর ভুল।
আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক ঠিক কি ভুলের জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লক্ষীর ভান্ডার এর ফর্ম বাতিল হচ্ছে। অনেকেই আবেদন করার সময় আবেদনপত্রের চাওয়া স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের পূর্ণ নম্বর দিতে ভুল করছেন। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ক্ষেত্রে একেবারে শেষের দিকে আলাদাভাবে একটি নম্বর রয়েছে, যেটি অনেকেই তাদের আবেদনপত্রে উল্লেখ করছেন না। যে কারণে অনেকের আবেদনপত্র বাতিল হয়েছে। অর্থাৎ স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর পিন নম্বরটি অনেকেই দিচ্ছেন না আর সেই কারণেই বাতিল হচ্ছে তাদের লক্ষীর ভান্ডার এর ফর্ম। অপর কারণটিও মোটামুটি একই তবে এটি কাস্ট সার্টিফিকেট এর সমস্যা।অনেকের ক্ষেত্রেই আবেদন করার সময় তাদের কাস্ট সার্টিফিকেট নম্বর আবেদনপত্রে দেননি। অনেকে হয় নম্বরটি দিতেই ভুলে গিয়েছেন, আবার অনেকে ভুল নম্বর দিয়েছেন। আবার অনেক সময় কিছু আবেদনকারী অনলাইনে কাস্ট সার্টিফিকেট আবেদন করার সময় যে অ্যাপ্লিকেশন নম্বরটি পেয়েছিলেন সেটিই দিয়ে দিয়েছেন।
তবে চিন্তার কারন নেই, খুব শীঘ্রই পুনরায় আবেদন করার সুযোগ পাবেন। আমাদের নিয়মিত খবর পেতে সঙ্গে থাকুন। আর আমাদের নিউজ অ্যাপ্লিকেশন ইন্সটল করতে এখানে ক্লিক করুন।
আরো পড়ুন, ভাইফোঁটার পর স্কুল খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরী হলো, কারন কি?