মা মাটি মানুষের তৃতীয় ইনিংসের অন্যতম চমক, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ব্যাপক সাড়া। করোনা বিধি নিয়ে যতই বিতর্ক হোক না কেন, মাত্র তিন দিনে ৩০ লক্ষের বেশি আবেদন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ নিয়ে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক উন্মাদনা। ভোর হতে না হতেই দীর্ঘ লাইন। কিন্তু ভিড় যাতে মাত্রা না ছাড়িয়ে যায়, তার জন্য বুধবারও সতর্ক করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করলেন, হুড়োহুড়ি করবেন না। প্রয়োজনে ক্যাম্পের সময়সীমা আরও বাড়াবে রাজ্য সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাসের পর নড়েচড়ে বসেছে নবান্নও। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এদিন রাতেই সব জেলাশাসকের সঙ্গে এ ব্যাপারে বৈঠক করেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য বুথভিত্তিক শিবির করার প্রস্তাব তিনি জেলাশাসকদের দিয়েছেন। রাজ্যে বুথ রয়েছে ৭৮ হাজারেরও বেশি। সর্বত্র শিবির করা সম্ভব হবে কি না, তা খতিয়ে দেখে ডিএমরা রিপোর্ট দেবেন নবান্নে। এই মুহূর্তে ২ হাজার ৬৫০টি ক্যাম্প চলছে। এক মাস ধরে চলবে এই শিবির। তাতেও যদি প্রত্যেক ঘরে এই সুবিধা পৌঁছে না দেওয়া যায়, তাহলে আরও কয়েকদিন ক্যাম্পের সময়সীমা বাড়তে পারে বলে জানা যাচ্ছে। বুধবার পর্যন্তই দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে মোট আবেদন জমা পড়েছে ৪৬ লক্ষের বেশি।শিবির বাড়ানোর ভাবনার পাশাপাশি ক্যাম্পগুলিতে লোকবল বাড়ানোর জন্য ইতিমধ্যেই জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। ১০০ দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের এক্ষেত্রে কাজে লাগানোর জন্য বলেছেন তিনি। তবে এই মুহূর্তে ভিড় সামলানোই প্রধান চ্যালেঞ্জ সরকারের।