Krishak Bandhu List – বাংলার কৃষকদের জন্য বড় সুখবর! কৃষক বন্ধুর দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ঢুকছে অ্যাকাউন্টে। নিজের নাম দেখে নিন।

এ রাজ্যের সমস্ত কৃষকদের জন্য বিরাট সুখবর! কৃষক বন্ধু টাকা ঢুকেছে কিনা বা এই প্রকল্পের (Krishak Bandhu List) দ্বিতীয় কিস্তির টাকা কবে ঢুকবে, এই প্রশ্ন যাদের রয়েছে, তাদের জন্য সুখবর। কৃষক বন্ধু প্রকল্পের ঢুকতে শুরু করল কৃষকদের একাউন্টে। পশ্চিমবাংলার অনেক সংখ্যক কৃষকই এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য সরকার মারফত অর্থ সাহায্য পেয়ে থাকেন। সাধারণত বছরে দুবার তাদের টাকা দেওয়া হয় এই প্রকল্পে।

Krishak Bandhu List and Payment Status Check

একটি খারিফ মরসুমের টাকা, যেটি আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে পান কৃষকরা। আরেকটি হলো রবি মরসুমের টাকা, যেটি ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে ঢোকে কৃষকদের একাউন্টে। এবছর খারিফ মরসুমের টাকা ইতিমধ্যেই বিতরণ করা হয়ে গেছে। এবার রবি মরসুমের টাকার পালা, যা ঢুকতে শুরু করে দিয়েছে ইতিমধ্যেই অনেক কৃষকের ব্যাংক একাউন্টে। আর সরকার মারফত জানা যাচ্ছে, ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যেই সকল কৃষকেরা Krishak Bandhu প্রকল্পের টাকা পেয়ে যাবেন সরাসরি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। আপনিও কি টাকা পেয়ে গেছেন? যদি না পান তাহলে কবে পাবেন তা জানতে হলে এখনই নিজের Krishak Bandhu স্ট্যাটাস চেক করুন অনলাইনে এইভাবে।

কৃষক বন্ধু প্রকল্প কি?

দেশের কৃষি ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এখনো পর্যন্ত কেন্দ্রীয় তথা বিভিন্ন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অনেক ধরনের প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে রাজ্যের সমস্ত কৃষক শ্রেণীর মানুষদের জন্য চালু করা কৃষক বন্ধু প্রকল্প (Krishak Bandhu Scheme). এর মাধ্যমে রাজ্যের প্রতিটি কৃষককে সরাসরি রাজ্য সরকার মারফত অর্থ সাহায্য প্রদান করা হয়। যে অর্থ তাদের কৃষিকাজ এবং সাংসারিক জীবন যাপনের ক্ষেত্রে অনেকাংশে সহায়তা করে।

কি যোগ্যতা লাগে?

Krishak Bandhu প্রকল্পে আবেদন করতে গেলে একজন কৃষকের অন্ততপক্ষে ১ একর পরিমাণ জমি থাকা আবশ্যক। তবেই তিনি এই স্কিমের টাকা পান। আর তার বেশি জমি থাকলে তো আরোই ভালো। এই টাকা পেতে হলে নিচের শর্ত পূরণ করতে হবে।

  • নিজ নামে জমি থাকতে হবে
  • সেই জমির পর্চা থাকতে হবে
  • আধার কার্ড থাকতে হবে
  • সেই এলাকার ভোটার হতে হবে

কি কি সুবিধা দেওয়া হয়?

১. কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের মাসিক সর্বনিম্ন ৪ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাতা দেওয়া হয়।
২. কৃষক বন্ধু প্রকল্পে যে সমস্ত কৃষক ১ একর পরিমাণ জমি দিয়ে আবেদন করেন তাদেরকে একটি কিস্তি মারফত নগদ ২০০০ টাকা প্রদান করা হয়। আর যারা ১ একরের বেশি পরিমাণ জমি দেখান তাদেরকে একটি কিস্তিতে নগদ ৫০০০ টাকা ভাতা দেওয়া হয়।
৩. এছাড়াও Krishak Bandhu প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের মৃত্যুর পর তার পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বীমার সুবিধাও প্রদান করে সরকার।

আরও পড়ুন, কৃষক বন্ধুর টাকা এখনও না পেলে কি করবেন, জানতে এখানে ক্লিক করুন।

কিভাবে স্ট্যাটাস চেক করবেন?

কৃষক বন্ধু প্রকল্পে Krishak Bandhu Application Status এখন থেকে চেক করা যাবে এই সহজ কয়েকটি ধাপে। দেখে নিন তাড়াতাড়ি করে।
১. প্রথমে আপনাকে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে চালু করা নির্দিষ্ট অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটিতে যেতে হবে।
২. তারপর Check Application Status অপশানের উপর ক্লিক করতে হবে।
৩. এরপর Select লেখা ড্রপডাউন অ্যারো তে ক্লিক করে নির্দিষ্ট তথ্য বেছে নিতে হবে।
৪. এরপর প্রকল্পে‌ আবেদন করার পর পাওয়া অ্যাপ্লিকেশন নাম্বারটি নিচের টেক্সট বক্সে দিয়ে সার্চ বাটনে ক্লিক করলেই আপনার স্ট্যাটাস দেখানো হবে নিচে।

৫. এখানে যদি দেখেন ‘Approved’ স্ট্যাটাস দেওয়া রয়েছে তাহলে জানবেন আপনার কৃষক বন্ধু প্রকল্পে নাম নথিভুক্তকরণ সম্পন্ন হয়েছে।
৬. এরপর চেক করুন আপনার ট্রানসেকশন স্ট্যাটাস। ‘Transaction Status ‘ লেখার নিচে যদি ‘ADA Upload ‘ লেখা থাকে তাহলে বুঝবেন অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর অফ এগ্রিকালচার আপনার আবেদন ভেরিফাই করেছেন। আর যদি ‘DDA Upload’ লেখা থাকে তাহলে বুঝবেন ডেপুটি ডিরেক্টর আপনার আবেদন ভেরিফাই করেছেন।
৭. এরপর প্রধান ধাপ, টাকা ঢুকেছে নাকি তা চেক করা। যদি Krishak Bandhu ‘Transaction Status’ লেখার নিচে ‘Transaction Success’ লেখা থাকে তবেই জানবেন আপনার টাকা ব্যাংক একাউন্টে চলে গেছে। অন্যথায় আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে টাকা ঢোকার জন্য।

আরও পড়ুন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে এক পরিবারের কতজন মহিলা টাকা পাবে? বিরাট সুখবর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

এই সংক্রান্ত আরও তথ্যের জন্য EK24 News ফলো করুন।
আপনাদের এই বিষয়ে কোনও প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করুন।
সরকারী প্রকল্পের আরও খবর বা তথ্য পেতে এখানে ক্লিক করুন।

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment