আপনার কি টাকার দরকার? কোনো কারণে ব্যাংক থেকে Personal Loan নেওয়ার কথা ভাবছেন? তবে আগে জেনে নিন বিশেষ কিছু কথা। নাহলে ঠকতে হবে চরম!! জরুরী টাকার দরকারে মাঝে মধ্যে আমাদের ব্যাংক থেকে লোন নিতে হয়। তবে অনেকেই ব্যাংক লোন (Bank Loan) নেওয়াকে মনে করেন ঝক্কি। লোন নেওয়ার পরে নানান অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। এই কারণে অনেকে ব্যাংক লোন নিতে অনিচ্ছুক থাকেন।
Know this before Taking Personal Loan.
কিন্তু আমরা আপনাকে বলি, লোনের বিন্দু বিসর্গ জেনে যদি ব্যাংক ঋণ (Bank Loan), ব্যাক্তিগত লোন তথা Personal Loan নিতে যান আর কোন অসুবিধায় পড়তে হবে না, আর লোন পাবেন সহজেই। লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে কোন বিষয় গুলি মাথায় রাখা জরুরী সেই নিয়ে কথা বলব আজ। জেনে রাখলে উপকার পাবেন। আর যে কোন ধরণের ঋণ নেওয়ার আগে আপনাদের সেই সম্পর্কে সকল তথ্য আগের থেকে জেনে নিয়ে তবেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
ব্যাংক থেকে সহজ এবং সুবিধাজনক শর্তে Personal Loan পান গ্রাহকরা। বাড়ি তৈরি, গাড়ি কেনা, পড়াশোনা, চিকিৎসা, বিবাহ, ব্যবসা আরো যে কোনো ধরণের দরকারে এই পার্সোনাল লোন (Loan) নিতে পারি আমরা। কিন্তু তার জন্য নির্দিষ্ট যোগ্যতা থাকতে হবে। নচেৎ ব্যাংক কিছুতেই লোন দেবে না আপনাকে। পার্সোনাল লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংক।
Personal Loan Taking Criteria
১. প্রথমে চেক করবে আপনার ইনকাম।
২. যদি আপনার মাসিক ইনকাম ৩০ হাজার টাকা হয় তাহলে ব্যাংক জানবে যে আপনি সময় মতো Personal Loan পরিশোধ করে দিতে পারবেন।
৩. সে ক্ষেত্রে সহজেই লোন দিয়ে দেবে তারা আপনাকে।
৪. তারপরে চেক করা হবে আপনার বয়স।
৫. যে কোনো গ্রাহক যদি ২১ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে হয়ে থাকেন তবেই ব্যাংক তাকে লোন দেবে।
৬. শেষ কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো সিবিল স্কোর।
৭. Personal Loan নেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস হল এটি।
৮. যদি আপনার সিভিল স্কোর (CIBIL Score) ৭৫০ এর বেশি হয় তা চিহ্নিত করে যে আপনি একজন বিশ্বাসযোগ্য ঋণ গ্রাহক।
৯. ঋণ খেলাপি করেননি কোন দিন।
১০. এক্ষেত্রে সহজেই লোন পেয়ে যাবেন আপনি।
১১. ভালো সিভিল স্কোর থাকা ব্যক্তিদের ব্যাংক নিজে Personal Loan বা অন্য কোন ঋণ অফার করে।
Keep This In Mind Before Apply Instant Personal Loan
১. বর্তমানে ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া সহজ বলে অনেকেই তেমন কোনো কারণ ছাড়াই মাঝেমধ্যে ঋণ নেন।
২. কিন্তু এমনটা করলে ঋণের বোঝা আপনার ওপরই এসে পড়বে। পরে ঋণ পরিশোধের সময়ে পড়বেন বিপদে।
৩. তাই ঋণ নেওয়ার আগে ভালোভাবে তার কারণ যাচাই করে নিন।
৪. যদি ছোটো খাটো দরকার থাকে সেক্ষেত্রে কারোর কাছে ধার নিন, পরে শোধ করে দেবেন। অযথা ঋণের বোঝা বাড়াবেন না।
৫. ঋণ নেওয়ার আগে ভেবে দেখুন আপনার ঠিক কত টাকা দরকার এই মুহূর্তে।
৬. অনেকেই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ঋণ নিয়ে নেন। কিন্তু পরে আর তা শোধ দিতে পারে না।
৭. এই পরিস্থিতিতে ব্যাংক থেকে চাপ আসতে থাকে। আর আপনি পড়েন বিপদে।
৮. তাই যতটুকু নাহলে চলবেনা ঠিক ততটুকু লোন নিন।
৯. Personal Loan নেওয়ার আগে ঠিক করে নিন যে আপনার লোন শোধ করতে কতদিন লাগবে।
১০. যদি কম সময়ের মধ্যে তা শোধ দিতে পারেন তাহলে ইএমআই বেশি হবে ঠিকই, কিন্তু সুদের হার কম।
১১. আর বেশিদিন ঋণের বোঝাও টানতে হবেনা আপনাকে।
১২. অন্যদিকে বেশি মেয়াদে শোধ করতে চাইলে Personal Loan EMI কমবে, কিন্তু মনে রাখবেন সুদের হার বাড়বে এবং ঋণের বোঝাও বাড়বে।
১৩. বিভিন্ন ব্যাংকে লোনের জন্য সুদের হার এবং প্রসেসিং চার্জ ভিন্ন ভিন্ন হয়।
১৪. যেখানে সুদ এবং চার্জ কম সেখানে লোন নেওয়াই সুবিধাজনক।
১৫. Personal Loan এর ক্ষেত্রে সুদ জমা দিতে দেরি হলে ব্যাংক একটি পেনাল্টি চার্জ কাটে।
১৬. এই পেনাল্টি চার্জ বিভিন্ন ব্যাংকে বিভিন্ন রকম হয়।
5 লাখ টাকা দিচ্ছে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক। সঠিক আবেদন করলেই একাউন্টে টাকা ঢুকবে?
১৭. এটি বকেয়া পরিমাণের 1% থেকে 5% পর্যন্ত হয়, তবে কিছু ক্ষেত্রে, এটি ফ্ল্যাট ফি হতে পারে।
১৮. জরিমানা আগে থেকেই চেক করে নিলে আশঙ্কা থাকে কম।
১৯. লোন দেওয়ার আগে ব্যাংক আপনার সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তিতে কোনো শর্ত থাকতে পারে।
২০. যেমন প্রিপেমেন্ট পেনাল্টি চার্জ কেবল হয়তো প্রথম বছরেই প্রযোজ্য হতে পারে। বাকি বছর গুলোতে নয়। এই জিনিসটা চেক করে নিলে জরিমানা নিয়ে আর কোন চাপ থাকবে না।
Written by Nabadip Saha.
বাড়ি বানানোর জন্য 20 লাখ টাকার Home Loan নিলে, প্রতিমাসে কত টাকা EMI দিতে হবে আপনাকে?