Jio Subscriber Loss – রিচার্জের দাম বৃদ্ধিতে মুখ ফেরাচ্ছেন গ্রাহকেরা।
Jio Subscriber Loss – অতিমারী পরিস্থিতে যেখানে মানুষের রোজগার কমেছে, সেখানে রিচার্জের খরচ বাড়িয়ে চলেছে টেলিকম কোম্পানী। যার ফলে কোটি কোটি মানুষ রিচার্জ করেনি। আর হু হু করে নামছে গ্রাহকের সংখ্যা। আর সেই লিস্টের প্রথমেই আছে, আম্বানী গ্রুপের রিলায়েন্স জিও।
সংবাদ সুত্রে জানা গেছে, পাল্লা দিয়ে কমছে (Jio Subscriber Loss) ইউজারের গ্রাফ। বেশ কিছু টেলিকম সংস্থার মাথায় হাত। কিন্তু কেনো এই অবনতি? বর্তমানে সবাই যখন হাই স্পীড ইন্টারনেটের দৌড়ে রয়েছে, সেখানে কেনই বা মানুষ রিচার্জ করছেন না। কারন জেনে নিন।
গ্রাহক হারাচ্ছে ভারতীয় টেলিকম সংস্থাগুলি (Jio Subscriber Loss)।
আপনারা সকলেই জানেন যে, গত বছরের শেষের দিকে প্রায় সকল টেলিকম কোম্পানি গুলি নিজেদের প্ল্যানের দাম পাল্লা দিয়ে বাড়িয়েছে। তাতে নিঃসন্দেহে গ্রাহকেরা চিন্তায় পড়েছেন। প্রতিটি প্ল্যানের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গ্রাহকরা (Jio Subscriber Loss)।
যেখানে আগে ৩৬ টাকা রিচার্জ করলে ২৮ দিনের ভ্যালিডিটি এবং ২৮ টাকা টকটাইম পাওয়া যেত, এরপর সেটা বেড়ে গিয়ে হয় ৪৯ টাকা। আর এখন ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা। যদিও টকটাইম বেশী পাওয়া যায়, কিন্তু নুন্যতম খরচ বেড়েছে। আর সেখানেই আপত্তি গ্রাহকদের। যার জেরে একাধিক সিম থাকলেও তা বন্ধ করে একটি মাত্র সিম চালু রাখছেন অনেকেই। তাই গ্রাহক সংখ্যা কমছে বলে মনে করা হচ্ছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, এবারে গ্রাহক হারানোর তালিকায় প্রথমেই আছে জিও এবং ভি আই। Telephone Regulator Authority of India (TRAI) এর তরফে প্রকাশিত একটি রিপোর্টের দ্বারা জানা যাচ্ছে বিগত বছরের ডিসেম্বর মাসের প্রায় 12.8 মিলিয়ন মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমেছে (Jio Subscriber Loss)। তথ্যানুসারে, ২০২১ সালের শেষের দিকে Jio-র প্রায় 1.29 কোটি গ্রাহক কমেছে।
এর ফলে তাদের সাবস্ক্রাইবার বা গ্রাহক সংখ্যা 41.57 কোটিতে এসে দাঁড়িয়েছে। একই অবস্থা হয়েছে Vi-এর। ওই মাসেই Vi প্রায় 16.14 লাখ গ্রাহক হারিয়েছে। যার ফলস্বরূপ, তাদের গ্রাহক সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে 26.55 কোটি। বিপরীত দিকে আবার Airtel 4.75 লাখ গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সমর্থ হয়েছে তারা। এবং তাদের বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে 3.5 কোটি। যদিও 2021 সালের নভেম্বরে Airtel এবং Jio দুটি সংস্থাই তাদের গ্রাহক সংখ্যা বাড়াতে সক্ষম হয়েছিল। (Jio Subscriber Loss)
২০২১ সালের নভেম্বর মাসে 23 তারিখ সর্বপ্রথম Airtel ঘোষণা করে প্রতিটি ট্যারিফ প্ল্যানের খরচ বৃদ্ধির কথা। তারপর একই পথ অবলম্বন করে বাকি সংস্থাগুলিও। প্রতিটি প্ল্যানের ক্ষেত্রে 20 থেকে ২৫ শতাংশ করে দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে শুধু গ্রাহকরা মোবাইল ব্যবহার কমিয়েছেন তাই নয়, যে সকল গ্রাহকরা একসঙ্গে দুই বা ততোধিক কানেকশন ব্যবহার করতেন তাঁরাও বাধ্য হয়েছেন একাধিক সিম বন্ধ করে দিতে। গ্রাহক হারানোর জন্য ট্যারিফ প্ল্যানের মূল্য বৃদ্ধিকে মূল কারণ হিসেবে মনে করেছে বেশিরভাগ মানুষ। (Jio Subscriber Loss)
আর গ্রাহকের সংখ্যা কমায়, স্বভাবতই আয় কমেছে, আর তার সাথে কমেছে লাভের পরিমান। যদিও বিগত কয়েক মাসে মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা কমলেও জিও ফাইবারের মাধ্যমে সারা ভারত জুড়ে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা দেওয়ার প্রতিজোগিতায় BSNL কে টপকে গিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে রিলায়েন্স জিও। এছাড়াও বিদেশী সংস্থার সাথে হাত মিলিয়ে, ভারতে স্যাটেলাইট পরিষেবার মাধ্যমে দ্রুতগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে জিও। jio user loss
তাই সাময়িক ক্ষতি হলেও, সহজে নিজের জমি ছাড়তে রাজি নয়। জিও নিজের জাগায় পুনরায় ফিরে আসতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। একদিক হারালেও অন্যদিকে সমতা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে জিও। ইতিমধ্যে একটি স্পেস সংস্থার সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করেছে তারা। আপনার কি মনে হয়, জিও কি শীর্ষে থাকতে পারবে, নাকি অন্য কেউ সেই জায়গা দখল করবে। স্টারলিঙ্ক তো পারলো না, আপনার মূল্যবান মতামত নিচের কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানান। ধন্যবাদ।