ছুটির মরশুম শেষ হতেই ফের হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ, লকডাউনের সিদ্ধান্ত সরকারের, বন্ধ হচ্ছে স্কুল কলেজ।

উৎসবের মরশুম চলছে। আর তার মধ্যেই ফের হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ, লকডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন। সমস্ত ক্ষেত্রেই প্রায় ছুটির আবহ থাকায় মানুষ রীতিমতো আনন্দ করে উপভোগ করছেন। কিন্তু প্রথম ধাপে সেই ছুটির মরশুম শেষ হতেই দেখা যাচ্ছে গ্রাফ যথেষ্ট ঊর্ধ্বমুখী। এইভাবে সংক্রমণের হার বাড়ায় রীতিমত চিন্তায় প্রশাসন।

সরকারের পক্ষ থেকে সংক্রমণ বৃদ্ধিতে লাগাম পরানোর জন্য একাধিক পদক্ষেপের (Restriction) কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই লকডাউন (Lockdown) করার ঘোষণা করা হয়েছে।
ছুটির মরশুম একটু শেষ হতেই দেখা যাচ্ছে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার এক লাফে প্রায় তিনগুণ বেড়ে গিয়েছে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা যেখানে ছিল ৬০০ সেখানে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে দৈনিক আক্রান্ত প্রায় ১৮০০ যার ফলে দেশের সরকারের পক্ষ থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

লকডাউন ও জরুরী অবস্থা

একেবারেই জরুরী কাজ ছাড়া বাইরে বের হওয়া নিষিদ্ধ। স্কুল, কলেজ, অফিস, দোকান, বাজার সমস্ত কিছুই বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অথচ ১০০% মানুষের তিনটি ডোজের টিকা নেওয়া হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তারপরেও সংক্রমণ বৃদ্ধির এই পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে ড্রাগনের দেশ চীনে। আর চীনে আবার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় চিন্তায় গোটা বিশ্ব।

চীনের সাংহাই প্রদেশে সরকারের পক্ষ থেকে সংক্রমণ বৃদ্ধিতে লাগাম পরানোর জন্য ইতিমধ্যেই লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানকার মঙ্গোলিয়া প্রদেশের রাজধানী হোহটে বাইরে থেকে যাওয়া গাড়ির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এমনকি শহরে ঢোকাতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে শুধু সাংহাই নয়, চীনের রাজধানী বেজিংয়েও সংকরমনের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী।

স্কুল খোলার আগেই মিড ডে মিল এর বরাদ্দ বাড়লো, আগামীকাল থেকে খাবারের মান বাড়ানোর নির্দেশ।

বছরের গোড়ায় সাংহাইতে হু হু করে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু কয়েক মাস আগে সেই লকডাউন তুলে নেওয়া হয়। তারপর থেকেই সংক্রমণের বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। সামনেই রয়েছে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সম্মেলন। ফলে এই মুহূর্তে যেভাবে চিনে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে রীতিমত চিন্তায় চীনা প্রশাসন।
চীনের এই পরিস্থিতিতে ফের নতুন করে আতঙ্ক শুরু হয়েছে।

সুদ বাড়লো প্রভিডেন্ট ফান্ডে, PF, CPF, GPF নিয়ে অর্থদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি দেখুন।

সাম্প্রতিক সময়ে সেই অর্থে সংক্রমণের প্রকোপ নেই ভারতে। যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। দেশের অধিকাংশ মানুষের টিকা (Vaccine) নেওয়া হয়ে গিয়েছে। তার ফলে সংক্রমণ বৃদ্ধিতে বেশ কিছুটা হলেও লাগাম পরানো সম্ভব হয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রা আগের মতো স্বাভাবিক হয়েছে। স্কুল-কলেজ, অফিস, আদালত সমস্ত কিছুই স্বাভাবিক চলছে। কিন্তু চীনের সাম্প্রতিক এই পরিস্থিতির পরে ফের নতুন করে আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করেছে।
Written by Rajib Ghosh.

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment