মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য একটি দুঃসংবাদ! কারণ SIM Card বা মোবাইল সিম কার্ড নিয়ে সম্প্রতি দেশের কেন্দ্র সরকারের তরফে এক বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর কেন্দ্রীয় সরকারের একটি নির্দেশের পর Reliance Jio, Bharti Airtel এবং VI সহ বিখ্যাত কয়েকটি নেটওয়ার্কে থাকা গ্রাহকদের মাথায় হাত। এক নিমেষে লক্ষ লক্ষ চলতি SIM Card বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই অনেকের কানেকশন বাতিল করে দিয়েছে কোম্পানি গুলো। ফলে গ্রাহকরা পড়েছেন মহা বিপদে।
18 Lakh SIM Card will be Disconnected by Government of India.
তারা আর নিজেদের ফোন থেকে না কলিং, না ইন্টারনেট ব্যবহার, না মেসেজ কিছুই করতে পারছেন না। খুব শীঘ্রই এই রকম ১৮ লক্ষ গ্রাহককে চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে সংস্থা গুলোর মারফত। কিন্তু হঠাৎ কেন এই সাজা? কি দোষ করেছেন সেই সব গ্রাহকরা? অন্য কোন সাধারণ ব্যক্তিও কি এই শাস্তি পেতে পারে? দেখে নেওয়া যাক কি বলছে টেলিকম সংস্থা গুলো।
১৮ লক্ষ সিম কার্ড সত্যিই বন্ধ হবে?
জানা যাচ্ছে দেশে সাইবার ক্রাইমের প্রকোপ রুখতে কেন্দ্রীয় সরকার মারফত Mobile SIM নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে এর অপব্যবহারও বৃদ্ধি পেয়েছে ক্রমশ। আজকাল সাইবার ক্রাইম বা ইন্টারনেট জালিয়াতি একটি কমন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফাঁদে পড়ছেন কোটি কোটি সাধারণ মানুষ। সাইবার ক্রাইম (Cyber Crime) প্রতিরোধে অনেক প্রচেষ্টা নিয়েছে সরকার।
কেন এই সিম কার্ড বাতিলের সিদ্ধান্ত?
কিন্তু তা সত্ত্বেও সাইবার ক্রাইম ঠেকানো সম্ভব হয়নি। দেখা গেছে বেশিরভাগ দুর্নীতি ঘটে চলেছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। তাই এবার বাধ্য হয়ে মোবাইল কানেকশন বাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল সরকার। যাতে জালিয়াতরা আর তাদের ফোন ব্যবহার করে মানুষকে ঠকাতে না পারে। সাইবার ক্রাইম এড়াতে এর আগে টেলিকম সার্ভিস অপারেটর গুলোকে সরকার নির্দেশ দিয়েছিল নির্দিষ্ট হ্যান্ডসেট শনাক্ত করে ব্লক করার।
২৮২০০ এই রকম হ্যান্ডসেট ব্লক করা হয়েছিল তখন। এছাড়াও ২০ লাখের বেশি SIM Card এর কানেকশন পুনরায় যাচাই করার জন্য বলা হয়েছিল কোম্পানি গুলোকে। কোন বিনা ডকুমেন্টসের সিম বা একই ব্যক্তির নামে অনেক গুলো সিম থাকলে সে গুলোকে বাতিল করতে বলা হয়েছিল। গত বছরই এই রকম প্রায় ২ লাখ SIM Card কোম্পানি গুলো বন্ধ করেছে। যার মধ্যে হরিয়ানার মেওয়াতেই ছিল ৩৭ হাজার সিম।
আমজনতা কতটা প্রভাবিত হবে?
কিন্তু এভাবেও সমস্যার উপযুক্ত মোকাবিলা করা সম্ভব হয়নি। টেলিকম কোম্পানি গুলো জানায় একটি হ্যান্ডসেটে কয়েক হাজার SIM Card ব্যবহার করা হয়। একটি সিম কার্ড ব্যবহার করে সাইবার দুর্নীতি করার পরই সেটিকে বের করে দেওয়া হয় মোবাইল থেকে। ফলে তখন আর কোন কানেকশন থাকে না সেই সিমের সঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে যতবার কোম্পানি মারফত সিম গুলোর কানেকশন যাচাই করা হচ্ছে বেশিরভাগ সিমই ততক্ষণে মোবাইল থেকে বের করে দেওয়ায় সেই গুলো আর ধরা পড়ছে না। কিন্তু আমজনতার ওপরে এর কোন প্রভান পড়বে না।
পরবর্তীকালে জালিয়াতরা সেই SIM Card গুলো ব্যবহার করে আবার দুর্নীতি করছে। তাই এবার টেলিকম কোম্পানি গুলোকে আরো বেশি করে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। নিজেদের সিকিউরিটি সিস্টেম আরো উন্নত করতে বলা হয়েছে। যাতে ২৪ ঘন্টা নজরে রাখা যায় সন্দেহজনক হ্যান্ডসেট গুলোর ওপর। কোন রকম বেগতিক দেখলেই সেই সিম কার্ড গুলো সহ হ্যান্ডসেট টিকেও বাতিল করতে হবে।
এই প্রকল্পে ছেলে মেয়ে সবাই মাসে মাসে ২৫০০ টাকা পাবেন। এইভাবে আবেদন করুন।
সাইবার ক্রাইমের সঙ্গে যুক্ত জালিয়াতদের ধরা এবং সাধারণ মানুষকে প্রতারণার হাত থেকে বাঁচানো এটাই প্রধান উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছে সরকার। আর এই নিয়ে দেশের সাধারণ মানুষদের কোন ধরণের সমস্যা হবে না বলেই মনে করছেন অনেকে। এই সম্পর্কে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। সঙ্গে থাকুন এই ধরণের আরও খবরের আপডেট পাওয়ার জন্য।
Written by Nabadip Saha.
আরও পড়ুন, হটাত টাকার দরকার হলে কেন্দ্রের এই প্রকল্পে আবেদন করুন।