সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যার জের এবার বর্ডার পেরিয়ে ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক তথা India Bangladesh Relations এর উপর কার্যত প্রভাব পড়ার উপক্রম। প্রতিবেশী সংঘর্ষ নিয়ে পরিস্থিতি অস্থির দুই দেশেরই। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার একাধিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশীদের প্রবেশ নিষেধ এর পোস্টার সাটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনা যথেষ্ট চিন্তায় ফেলেছে প্রতিবেশী দেশকে।
India Bangladesh Relations – No Entry for Bangladeshi
লালন মেলায় দেখা যাবেনা বাংলাদেশীদের
প্রতিবছর লালন তীর্থ কদমখালীতে অনুষ্ঠিত লালন মেলা শুধুমাত্র সাংস্কৃতিক বিনিময়ের কেন্দ্র নয়, বরং এটি সম্প্রীতি এবং শান্তির প্রতীক হিসেবে পরিচিত। এই মেলায় লালনের গান এবং দর্শনের মাধ্যমে মানুষকে সম্প্রীতির বার্তা দেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় আয়োজিত এই মেলায় প্রতিবারই বাংলাদেশের অনেক শিল্পী এবং দর্শক অংশ নিতেন। তবে, সীমান্তের পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার (Bangladesh News) প্রভাব স্পষ্ট।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এপার এবং ওপারের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ধারা বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। বাংলাদেশের অশান্তি ধীরে ধীরে সীমান্তবর্তী অঞ্চলেও প্রভাব ফেলছে। লালন মেলায় বাংলাদেশি শিল্পীদের অনুপস্থিতি শুধু সাংস্কৃতিক অভাব নয়, বরং দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্প্রীতির সংকটের প্রতিফলন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শুরু হয়ে গেছে এবছরের লালন মেলা
ভীমপুর থানার অন্তর্গত কদমখালীর মেলা এবছর উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জৈব প্রযুক্তি মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। বাউল শিল্পীদের গানের মাধ্যমে মেলার সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত একাধিক অতিথি মেলার গুরুত্ব এবং লালনের সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে আলোচনা করেন। স্থানীয় এবং বাইরের শিল্পীদের পরিবেশনায় লালনের গানে মেতে ওঠে মেলা।
আরও পড়ুন, রাস্তার পাশে বাড়ি হলেই, মাসে লাখ টাকা রোজগার হবে। আজই এই ব্যবসা শুরু করুন।
শান্তির বার্তা
মেলা কর্তৃপক্ষ জানায়, লালনের গান শান্তি এবং মানবিকতার বার্তা বহন করে। সীমান্তের পরিস্থিতি যাই হোক, লালনের দর্শন এবং গান সারা বিশ্বে শান্তি ও সম্প্রীতি ছড়িয়ে দিতে পারে। অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা প্রশমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
সীমান্তের মানুষের উদ্বেগ
সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষজনের মধ্যে একধরনের উদ্বেগ কাজ করছে। ভারতের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে বাংলাদেশি দর্শনার্থীদের উপস্থিতি বন্ধ হওয়ায় অনেকেই হতাশ। একইসঙ্গে স্থানীয়দের আশঙ্কা, পার্শ্ববর্তী দেশের অস্থিরতা এপার বাংলাতেও সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।