Income Tax – বার্ষিক আয় ১২ লক্ষ টাকা হলেও ১ টাকাও কর দিতে দেওয়ার দরকার নেই, দেখে নিন কীভাবে সম্ভব
শেষ হতে চলেছে আরেকটি অর্থ বছর। আর এখনই আয় এবং আয়করের (Income Tax) হিসাব নিকাশের পালা। নতুন বছরে কর যাতে না দিতে হয় সেটা নিয়ে অনেক মানুষই চিন্তা-ভাবনা করে থাকেন। কষ্ট করে রোজগার করা টাকা যেন পরিবার এবং সন্তানের ভবিষ্যতে কাজে আসে।
অনেকেই ভেবে থাকেন নিজের সন্তানদের যেন টাকার অভাবে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কোনোরকম বাঁধার সম্মুখীন না হতে হয়। তবে আয়কর বিভাগ (Income Tax) এর নিয়ম অনুসারে যাদের বার্ষিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত তাদের কোনও কর দিতে হবে না।
তবে ২.৫ লক্ষ-৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ে দিতে হবে ৫% কর। এছাড়া যাদের আয় ৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা তাদের বছরে ২০% কর দিতে হবে। ১০ লক্ষ টাকার বেশি বার্ষিক আয় হলে সেক্ষেত্রে বছরে ৩০% কর দিতে হবে।
তবে একটু চেষ্টা করলেই বছরে কোনও ব্যক্তি ১২ লক্ষ টাকা আয় করলেও ২০২২ সালের ৩১ মার্চ কর দেওয়া থেকে টাকা বাঁচাতে পারবেন। সেটা কীভাবে সম্ভব আসুন দেখে নেওয়া যাক।
এরজন্য ১২ লক্ষ টাকা আয় করেন সেই ব্যক্তিকে খরচ এবং সেভিংসের দিতে নজর রাখতে হবে। অর্থাৎ আপনি যদি বছরে ১২ লক্ষ টাকা আয় করে থাকেন তাহলে আপনাকে কর (Income Tax) দেওয়া আটকাতে অন্য কোনও স্থানে বিনিয়োগ করতে হবে।
আপনি যদি বছরে ১২ লক্ষ টাকা আয় করেন তাহলে ১১.৫০ লক্ষ টাকার ওপর কর (Income Tax) দিতে হবে, এটাই নিয়ম। কারণ আগে থেকেই ৫০ হাজার টাকা সঞ্চয় বা বিনিয়োগের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ছাড় পাওয়া যায় যার মধ্যে NPS রয়েছে।
তবে ৮০ সি-এর অন্তর্গত নির্ধারিত টাকার ওপর আরও ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড় দাবি করা যেতে পারে। এর মধ্যে পিপিএফ (Public Provident Fund), ইপিএফ (EPF), এলআইসি (LIC), সন্তানের পড়াশোনার ফি, হোমলোনের প্রিন্সিপ্যাল ইত্যাদি বিষয় পড়ে।
তাহলে করযোগ্য আয় দাঁড়ালো ৯.৫ লক্ষ টাকা। এই ক্ষেত্রেও ৮০ ইইএ আয়কর আইন অনুসারে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড় পেতে পারেন। আয়কর আইন (Income Tax) ২৪ বি অনুসারেও অতিরিক্ত ১.৫ লক্ষ টাকা ছাড় পাওয়া যাবে।
আয়কর আইন ৮০ ডি অনুসারে পরিবারের সদস্য অর্থাৎ স্ত্রী এবং সন্তানদের জন্য স্বাস্থ্য বীমার প্রিমিয়াম হিসেবে ২৫ হাজার টাকা দাবি করা যাবে।
প্রবীণ নাগরিক হিসেবে মা-বাবার জন্য অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকার প্রিমিয়াম দাবি করা যাবে। ৭৫ হাজার টাকার হেলথ ইন্সুরেন্স প্রিমিয়াম এবং ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য অনুমতি পাওয়া যাবে।
হোমলোনের সুদের ওপরে ৩.৫ লক্ষ টাকা ছাড় পাওয়া সম্ভব। কারণ ২০১৯ সালে ১.৫ লক্ষ টাকা ছাড়ের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে আপনি যদি এই সুযোগ- সুবিধা উপভোগ করতে চান তবে ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল- ২০২২ সালের ৩১ মার্চ, এই সময়ের মধ্যে গৃহঋণ NFBC -এর সমর্থিত হতে হবে এবং মোট সম্পত্তির স্ট্যাম্পের প্রাইজ কোনও মতেই ৪৫ লক্ষের বেশি হওয়া চলবে না।
কিংবা যিনি বাড়ী কিনছেন তার কাছে অতিরিক্ত সম্পত্তি থাকা চলবে না। এইক্ষেত্রে দাবি করার পরে মোট করযোগ্য আয় দাঁড়াবে ৫.২৫ লক্ষ টাকা। এরপর মোট আয় ৫ লক্ষ দেখানোর জন্য কোনও সংস্থা বা ট্রাস্টিকে ২৫ হাজার টাকা অনুদান দিয়ে আয়কর (Income Tax) আইন ৮০ জি অনুসারে দাবি করা যাবে।
তাহলে আয় হবে ৫ লক্ষ টাকা। আগেই বলা হয়েছে ২.৫ লক্ষ-৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ে দিতে হবে ৫% কর। এই ক্ষেত্রেও ছাড় রয়েছে। কারণ এই সীমার মধ্যে আয় হলে সরকারের পক্ষ থেকে ১২,৫০০ টাকা ছাড় পাওয়া সম্ভব। অর্থাৎ আপনার করযোগ্য (Income Tax) আয় ৫ লাখ টাকা হলে নতুন নিয়ম অনুযায়ী পুরো ১২৫০০ টাকা যে ট্যাক্স হবে, পুরোটাই ছাড় পাবেন।
উল্লেখ্য, এইভাবে সেভিংস এবং খরচ হিসেবে রেখে করলে বাঁচানো যাবে বছরের মোট আয় হিসেবে পুরো ১২ লক্ষ টাকাই। দিতে হবে না ১ টাকাও কর। অর্থাৎ আপনি যদি উপরোক্ত সমস্ত ধারায় বিনিয়োগ করে থাকেন তবে আপনাকে একটি টাকাও ট্যাক্স (Income Tax) দিতে হবে না। বিনিয়োগ সম্পর্কে আরও তথ্য পেতে নিচের লিংক গুলো ক্লিক করুন।
স্বল্প বিনিয়োগে সবচেয়ে বেশি রিটার্ন। একবার শুরু করলে কাটবে চিন্তা মুক্ত অবসর জীবন।
আরও পড়ুন, NPS না PPF? বিনিয়োগ এবং ট্যাক্স এর জন্য কোনটি বেশী ভালো?