বাচ্চারা কি আর বড়দের মতো জানে স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা না করলে ক্ষতি হবে? আর এই বাচ্চাদের জন্য Anganwadi বা অঙ্গনওয়াড়ি স্কুল চালু করা হয়েছে সরকারের তরফে। কিন্তু স্কুলে গিয়েও তাদের মন খেলা খেলা করে সর্বদা। তবে বাচ্চাদের এই প্রবণতাকে কাজে লাগিয়েই তাদের পড়াশোনায় উন্নতি ঘটানোর চেষ্টা করল এবার কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government). এক অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যা এর আগে কখনোও করা হয়নি (Integrated Child Development Services).
Union Education Ministry Directed To Start Anganwadi Khelna Mela.
কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে এবার থেকে অঙ্গনওয়ারী স্কুল গুলিতে (Anganwadi School) চালু হবে খেলনা মেলা। পড়াশোনার বইপত্রের পাশাপাশি নানা ধরনের খেলনা প্রদান করা হবে স্কুল গুলিতে বাচ্চাদের। বাচ্চারা খেলবে, হাসবে, তাহলে পড়ায় মন আরো বেশি বসবে। ফলে তাদের পড়ানোর জন্য টিচারদের আর বেশি কষ্ট করতে হবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের (Government Of India) এই উদ্যোগের কথা আগেও একবার চিন্তা করেছিল আমাদের রাজ্য।
অঙ্গনওয়াড়ি (Anganwadi) স্কুল গুলিতে বাচ্চাদের পড়াশোনার প্রতি অনাগ্রহ দেখে সরকার ঠিক করেছিল তাদের খেলনা দিয়ে পড়াশোনায় মন বসানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু তখন আর এগোয়িনি সেই কথা। এবার কেন্দ্রের শিক্ষা মন্ত্রক এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে উঠে পড়ে লেগেছে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের ১ লক্ষ ২০ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র (WB ICDS Anganwadi Kendra) রয়েছে।
এর সব গুলিতেই নতুন উদ্যোগ শুরু করার কথা চিন্তা করেছে কেন্দ্র। কি উপকার হবে খেলনা মেলার (Anganwadi Khelna Mela) মাধ্যমে? মূলত তিন থেকে ছয় বছরের বাচ্চাদের জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। এই বয়সের বাচ্চারা একেবারে অবুঝ প্রকৃতির হয়। তাদেরকে শিক্ষক শিক্ষিকারা (School Teacher) হাজার ধমকালে এবং মারলেও পড়াশোনা করতে চায় না অনেকেই। কিন্তু কড়াভাবে শাসন না করে।
যদি তাদের মতো করে এই ব্যাপারটিতে এগোনো যায় তাহলে কাজ হতে পারে বলে মনে করেছে কেন্দ্র। এই কারণেই খেলনা মেলায় দেয়া হবে নানা ধরনের খেলনা। যে গুলি নিয়ে শিশুরা খেলতে পারবে, শিখতে পারবে এবং তাদের বুদ্ধির বিকাশ ঘটাতে পারবে। এই কারণে কোন রকম ফালতু খেলনা মেলায় (Anganwadi) না রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রক, থাকবে শুধুমাত্র শিক্ষনীয় খেলনাই।
যেমন কোনোটির মাধ্যমে তারা গুনতে শিখবে, কোনোটিতে অক্ষর বা সংখ্যা সাজানো যাবে, কোন রং মেলানোর খেলনা ইত্যাদি। তবে শিক্ষা মন্ত্রক শিশুদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী গড়ে তুলতে শুধু খেলনা দেওয়ার কথা বলেনি, তার সঙ্গে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিকে (Anganwadi Kendra) কড়া নির্দেশ দিয়েছে শিশুদের পুষ্টির দিকেও নজর রাখার। এছাড়া শিশুদের সঙ্গে স্কুল গুলিকে তাদের মায়েদের ও নানা সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এই ব্যাপারে নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরের সঙ্গেও কথা বলেছে শিক্ষা মন্ত্রক। গর্ভবতী মহিলা এবং পাঁচ বছরের নিচের শিশুরা এদেশে বেশি অপুষ্টির শিকার হয়। ঠিকঠাক মত খাবার পায় না। তাদের জন্যেও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যদিও কেন্দ্রের এই Anganwadi Khelna Mela প্রচেষ্টাকে নিন্দার চোখে দেখেছে আমাদের রাজ্য। রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, “নির্বাচনের আগে এই সব লোক দেখানো কাজের কোন প্রয়োজন নেই।
পশ্চিমবঙ্গে নতুন সরকারি চাকরিতে নিয়োগের আশা। হাইকোর্টের নির্দেশে খুশি চাকরিপ্রার্থীরা।
আসলে এটা কেন্দ্রের একটা চাল। একেবারে মাটিতে নেমে মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়ে ভোট কিনতে চাইছে তারা। এদিকে রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী (Anganwadi Workers) সমিতির প্রধান রত্না দত্ত জানিয়েছেন, “রাজ্যে ICDS Anganwadi কেন্দ্র গুলির অবস্থা করুণ। সেখানে কর্মীদের কাজ করতে অসুবিধা হয়। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের যা বেতন দেওয়া হয় তাতেও ঠিকভাবে চলে না। আগে সেই দিক গুলো দেখুন। তারপর অন্য কথা ভাববেন।Written by Nabadip Saha.
পশ্চিমবঙ্গ গরমের ছুটি বাড়িয়ে দেওয়া হল। কবে শুরু? আবার কবে স্কুল খুলবে?