নভেম্বর মাসেই সকল পেনশনভোগীদের লাইফ সার্টিফিকেট (Life Certificate) জমা দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। যার জন্য ব্যাংক থেকে পোষ্ট অফিস, সাইবার ক্যাফে থেকে সহজ মিত্র কেন্দ্র, সব জায়গাতেই Jeevan Praman Patra জমা দেওয়ার লম্বা লাইন। সকল পেনশন প্রাপকদের কাছে এই জীবন প্রমান পত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি। তাই পেনশন চালু রাখতে গেলে বছরে একবার Life Certificate জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।
সাধারণত ১ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর সময়ের মধ্যে পেনশনভোগীদের Life Certificate জমা দিতে হয়। তবে নতুন নিয়ম অনুযায়ী ৮০ বছর বয়স্ক বা তার থেকে বেশি বয়সের পছনশনভোগীরা ১ অক্টোবর থেকে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে পারেন। আর অবসর গ্রহনের পর স্যালারি রিটার্নের মতোই লাইফ সার্টিফিকেট একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি, তাই এই প্রতিবেদনটি গুরুত্ব সহকারে পুরোটা পড়বেন, কারন একটি ভুল অনেক হায়রানি এনে দিতে পারে।
লাইফ সার্টিফিকেট কেন গুরুত্বপূর্ণ:
প্রতিমাসে যাতে নিয়মিত পেনশন চালু রাখা যায়, সেই কারণে পেনশনভোগীদের বছরে একবার লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়। তিনি যে বেঁচে আছেন তার প্রমাণ হিসেবে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া প্রয়োজন। এটি জমা না দিলে পেনশন (Pension) বন্ধ হয়ে যায়। নির্দিষ্ট ব্যাংক বা পোস্ট অফিসে গিয়ে পেনশনভোগীকে উপস্থিত হয়ে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়।
বয়স্ক এবং অসুস্থ পেনশন গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখে ২০১৪ সাল থেকে কেন্দ্র Digital Life Certificate দেওয়ার নিয়ম চালু করে। তবে কোভিড অতিমারির সময় এই ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট (DLC) এর মাধ্যমেই জীবন শংসাপত্র অধিকাংশ পেনশনভোগীরা প্রদান করেছেন। শুধু ব্যাংক বা পোষ্ট অফিসেই নয়, বাড়ি বসেই এখন Life Certificate জমা করতে পারবেন। আর এখানেই অনেকে ভুল করেছেন। তাই সঠিক ভাবে লাইফ সার্টিফিকেট জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী পেনশনভোগীদের বছরে একবার জীবন প্রমান জমা দেওয়া প্রয়োজন। নির্দিষ্ট ব্যাংক বা পোস্ট অফিসে গিয়ে পেনশনভোগীকে উপস্থিত হয়ে এই সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়। তবে অসুস্থ এবং বয়স্ক পেনশনভোগীরা Digital Life Certificate জমা দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ডিজিটাল ব্যবস্থায় কোথাও না গিয়েই জীবন শংসাপত্র জমা দেওয়া যায়। পেনশন দেওয়ার আগে নির্ধারিত সংস্থা এবং বীমা কোম্পানি পেনশনভোগীদের সার্টিফিকেট তৈরি করার জন্য পরামর্শ দেয়।
Department of Pension and Pensioners Welfare এর সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী ৮০ বছর বয়স্ক এবং তার থেকে বেশি বয়সের পেনশনভোগীরা ১ নভেম্বরের পরিবর্তে ১ অক্টোবর থেকে Annual Life Certificate জমা দিতে পারবেন। বয়স্ক মানুষদের বেশি সময় দেওয়ার জন্যই এই নিয়ম চালু হয়েছে। নিচের কয়েকটি সঠিক পদ্ধতিতে সহজেই জীবন প্রমান পত্র জমা করতে পারবেন।
Digital Life Certificate সঠিক ভাবে কিভাবে জমা দেবেন:
এর জন্য https://jeevanpramaan.gov.in এই ওয়েবসাইট বা অ্যাপের মাধ্যমে ডিজিটালি Life Certificate জমা দেওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে পেনশনভোগীর নাম, আধার নম্বর, পিপিও নম্বর, মোবাইল নম্বর এবং পেনশন সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য ডিজিটাল মাধ্যমে জমা দিতে হবে। এই পোর্টালে বায়োমেট্রিক প্রমাণের জন্য আধার কার্ডের মাধ্যমে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং আইরিস স্ক্যানিং করা যাবে।
এছাড়াও ব্যাংক, পোস্ট অফিস, কাছাকাছি নাগরিক পরিষেবা কেন্দ্রে গিয়েও Digital Life Certificate জমা দেওয়া যাবে।
ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় না করতে চাইলে পেনশন বিতরণকারী ব্যাংক বা পোস্ট অফিসে গিয়ে ফরম পূরণ করে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া যাবে। ষ্টেট ব্যাংকের গ্রাহকেরা ভিডিও কলের মাধ্যমে লাইফ সার্টিফিকেট এর ভেরিফিকেসন করিয়ে জামা দিতে পারবেন।
Fixed deposit থাকলে এটি আর করবেন না ! RBI এর নয়া নির্দেশ, না মানলে টাকা কেটে নেওয়া হবে।
Doorstep Banking পদ্ধতির মাধ্যমেও লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া সম্ভব। সেক্ষেত্রে পোস্টম্যান বা কোনো স্বীকৃত আধিকারিক পেনশনভোগীকে এই কাজে সাহায্য করবেন।
এনআরআই পেনশনভোগীরা যেতে অক্ষম হলে চিকিৎসকের সার্টিফিকেট সহ পেনশনের যাবতীয় তথ্য ইমেইল করে পাঠাতে পারবেন। এছাড়াও ব্যাংক অফিসার, ম্যাজিস্ট্রেট, কূটনৈতিক এজেন্টের মাধ্যমেও লাইফ সার্টিফিকেট NRI পেনশনভোগীরা পাঠাতে পারবেন।
Written by Rajib Ghosh.
পেনশন গ্রহীতারা কোথায় টাকা রাখলে বেশি লাভ, জানতে এখানে ক্লিক করুন