যারা এটিএম থেকে নিয়মিত ATM Withdrawal করেন বা এটিএম থেকে টাকা তোলেন, তাদের জন্য ATM Fraud এটিএম জালিয়াতি নিয়ে জরুরী বার্তা দিলো স্বয়ং রিজার্ভ ব্যাংক (RBI). একটু সতর্ক না হলে, আপনার এই প্রয়োজনীয় এই কার্ডটিই আপনাকে সর্বস্বান্ত করে দিতে পারে! শোনা যাচ্ছে, গ্রাহকের নিজের কাছেই রয়েছে এটিএম কার্ড। কিন্তু তা সত্ত্বেও টাকা তুলে নিচ্ছে অন্য কেউ। এটিএম (ATM Card) নিয়ে ভয়ংকর দুর্নীতির কথা সামনে এসেছে বর্তমানে। প্রতারণার নতুন জাল পেতেছে কিছু অসাধু ব্যক্তি। আর সেই জালে জড়িয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন কোটি কোটি মানুষ। কিভাবে ঘটছে এই দুর্নীতি? এর থেকে বাঁচার উপায় কি? সব কিছু জানতে হলে শেষ পর্যন্ত অবশ্যই প্রতিবেদনটি পড়ুন।
How to be Safe From ATM Fraud.
প্রযুক্তি উন্নতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা ক্ষেত্রে মানুষের সুবিধা বেড়েছে। যে কোনো কঠিন কাজও প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে কম পরিশ্রমে এবং কম সময়ে হয়ে যাচ্ছে বর্তমানে। কিন্তু কয়েনের দু পিঠের মতো এরও ভালো খারাপ দুই দিক রয়েছে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বেশ কিছু অসাধু মানুষ বিস্তার করছে তাদের প্রতারণার মায়াজাল (ATM Fraud). যার জেরে নাজেহাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
এটিএম কার্ড জালিয়াতি
এটিএম নিয়ে দুর্নীতিটিও বা এটিএম জালিয়াতি খানিকটা এরকম। এতদিন প্রতারকরা কোন মতে গ্রাহকদের এটিএম কার্ড (ATM Fraud) হাতে পেলে তা নিয়ে দুর্নীতি চালাতো। আবার অনেক সময়ে অচেনা নম্বর থেকে ফোন করেও কার্ড নম্বর, পাসওয়ার্ড, সিভিভি, ওটিপি ইত্যাদি নিয়ে প্রতারণা করা হতো। একটু সতর্ক থাকলেই এই জালে পড়তেন না সাধারণ মানুষ। কিন্তু বর্তমানে এমনভাবে এটিএমে দুর্নীতি করা হচ্ছে যা ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
কার্ড ব্যবহারকারী নিজেই কার্ড ঢোকাচ্ছেন এটিএম মেশিনে, পাসওয়ার্ড দিচ্ছেন, তবে টাকা তুলছে অন্য কেউ। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি (ATM Fraud). কিভাবে ঘটছে এই দুর্নীতি? চলুন দেখে নিই। আর এখন আমাদের দেশের কোটি কোটি মানুষদের কাছে এই ATM Card রয়েছে। আর এই সম্পর্কে এখনই সচেতন না হলে সকলের খুবই সমস্যা হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
কিভাবে এটিএম জালিয়াতি হয়?
এটিএম থেকে টাকা তুলতে গেলে সবার প্রথমে কার্ড রিডারে কার্ড ইন্সার্ট করতে হয়। এই কার্ড রিডারটিকেই বাইরে বের করে রাখছে প্রতারকরা। এবার গ্রাহক যখন সেখানে গিয়ে কার্ডটিকে (ATM Fraud) ভেতরে ঢোকাচ্ছেন তা ফেঁসে গিয়ে আটকে যাচ্ছে এবং আর কোন কাজ করছে না। এরপরই জালিয়াতরা গ্রাহকদের সাহায্য করার জন্য ছদ্মবেশে হাজির হচ্ছে ATM Booth এ এসে।
বলছে পাসওয়ার্ড বসিয়ে এন্টার ক্লিক করতে। স্বাভাবিকভাবে তাই করছে মানুষ। কিন্তু তারপরেও কোন কাজ হচ্ছে না। তখন জালিয়াতরা গ্রাহককে বলছে ব্যাংকে গিয়ে অভিযোগ জানাতে। আর সেই সুযোগে নিজে সেই কার্ড ব্যবহার করে সমস্ত টাকা তুলে নিচ্ছে গ্রাহকের একাউন্ট থেকে। আর এই ভাবে ATM Fraud এটিএম কার্ডের জন্য জালিয়াতি করা হচ্ছে।
এটিএম জালিয়াতি থেকে কিভাবে সতর্ক থাকবেন?
১. এটিএম মেশিনে কার্ড ঢুকানোর আগে অবশ্যই দেখে নিন মেশিন ঠিকঠাক আছে কিনা।
২. যদি মেশিনের কোন অংশ খোলা বা মিসিং বা কোন গুপ্তযন্ত্র লাগানো দেখেন অবিলম্বে ব্যাংকে গিয়ে তা জানান।
৩. কোন অচেনা অপরিচিত লোকের থেকে সাহায্য নেবেন না।
৪. এটিএমে কোন সমস্যা হলে তা ব্যাংকে এসে জানান।
পুরনো নাকি নতুন আয়কর ব্যবস্থা। কোনটা বাছলে আপনার বেশি লাভ হবে?
৫. যখন এটিএম এর পিন বসাবেন হাত দিয়ে কিপ্যাড ঢেকে নম্বর এন্টার করুন।
৬. নিরাপত্তার কারণে যেখান সেখানের এটিএম থেকে টাকা তুলবেন না।
৭. সম্ভব হলে ব্যাংকের ভিতরের এটিএম বা বাইরে সিকিউরিটি গার্ড রয়েছে এমন এটিএম থেকেই টাকা তুলুন।
৮. নিয়মিত নিজের একাউন্ট ব্যালেন্স নজরে রাখুন। তাতে জালিয়াতরা আপনার একাউন্ট থেকে কোন টাকা কেটে নিলে সহজেই বুঝবেন। এমন হলে অবিলম্বে ব্যাংকে গিয়ে অভিযোগ করুন।
Written by Nabadip Saha.
টাকার প্রয়োজন হলেই সরকার দেবে। এইভাবে আবেদন করলেই ৫ মিনিটে একাউন্টে টাকা ঢুকবে।