বিভিন্ন চিকিৎসকেরা এক সমীক্ষায় প্রমান পেয়েছে যে ৮-১০% গর্ভাবস্থায় থাকা মহিলাদের রক্ত চাপ বৃদ্ধি পায় । আর এই রক্তচাপ বৃদ্ধির জন্য মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে গর্ভস্থ সন্তান ও হবু মায়েদের । যাদের আগে থেকে ব্লাড প্রেসার আছে তাদের ছাড়াও দেখা গেছে যাদের ব্লাড প্রেসার নেই এমনকি তাদের ও রক্তচাপ বৃদ্ধি পেয়ে যায় গর্ভবতী অবস্থায় । যদিও সবার এটা হয়না তাও এটা আশ্চর্যের কিছু নয় বলেই চিকিৎসকদের দাবি । এই রোগের নাম প্রি-এক্ল্যামশিয়া বা এক্ল্যামশিয়া হাইপারটেনশন । এই রোগে মায়ের কিডনি সহ লিভার বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে । তারসাথে বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলার সম্ভাবনাও রয়েছে এই রোগে । সারা বিশ্ব জুড়ে অনেক গর্ভস্থ সন্তান ও গর্ভবতী মায়েদের মৃত্যুর অন্যতম কারন এই এক্ল্যামশিয়া । সাধারনত গর্ভবতী মহিলাদের ব্লাড প্রেসার ১২০-৮০ এর মধ্যেই থাকা উচিত । এর বেশি হলেই সাথে সাথেই ডাক্তারদের পরামর্শ নিন । যে যে বিষয়গুলো করতে পারেন, নিয়মিত চেকআপ, প্রেগন্যান্সির সময়ে নিরাপদ ওষুধ এবং লাইফস্টাইল পরিবর্তন সমর্কে জানতে আগে থেকেই স্ত্রী বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। ওজন স্বাভাবিক মাত্রায় রাখতে কী খাবেন এবং কতটুকু পরিশ্রম করবেন জেনে নিন। প্রয়োজনে পুষ্টিবিদের শরণাপন্ন হোন। খাবারে বাড়তি লবণ এড়িয়ে চলুন। দুশ্চিন্তা রক্তচাপ বৃদ্ধির একটি অন্যতম কারণ। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত মেডিটেশন, যোগাসন বা হালকা ব্যায়াম আপনাকে এ থেকে মুক্তি দিতে পারে। বাড়িতে নিয়মিত প্রেশার মাপার ব্যবস্থা করতে পারলে সবচেয়ে ভাল। আর তা না হলেও নিয়ম মেনে রক্তচাপের ওঠানামা পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। তবেই সুস্থ থাকবেন গর্ভবতী মা, আর জন্ম দেবেন সুস্থ শিশু। গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ, আপনাকে যদি নিয়মিত রক্তচাপ কমানোর ওষুধ খেতে হয় এবং সে অবস্থায় আপনি গর্ভবতী হয়ে পড়েন, তবে অবশ্যই আপনার ডাক্তারকে জানান। ডাক্তার প্রয়োজন অনুযায়ী আপানার ওষুধ বদলে দেবেন। গর্ভবতী মায়েরা ওষুধ খেতে অনেক ভয়ে থাকেন যে ওষুধ গর্ভজাত সন্তানের ক্ষতি করবে কিনা।