লোকসভা ভোটের আগে বেকার ছেলে মেয়েদের মন পেতে Esharm Card এ জোর দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। ই-শ্রম কার্ডের মাধ্যমে দেশের সকল অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মচারীদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) তরফে। এই অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করা মানুষগুলোর সংখ্যা প্রায় ৪০ কেটিরও বেশি। এই সমস্ত মানুষেরা দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ। একদিন তারা কাজে না যেতে পারলে তাদের পরিবারের মুখে অন্ন যোগানো খুবই সমস্যা হয়ে যায়।
Esharm Card Online Apply Process.
অল্প বয়সে এই সমস্ত মানুষরা খাটতে পারলেও বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাদের রুজি রোজগার বন্ধ হয়ে যাবে এবং সংসার চালানো খুবই কষ্টদায়ক হয়ে দাঁড়াবে। এই সমস্ত সমস্যার কথা মাথায় রাখে কেন্দ্র সরকার এই অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করা কর্মীদের জন্য ই-শ্রম কার্ডের (Esharm Card) ব্যবস্থা করেছে। এখনও পর্যন্ত দেশের ২০ কোটি মানুষের এই Esharm Card নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ কোটি মানুষ এই কার্ডের পরিষেবা গুলি পেতে শুরু করেছেন।
Esharm Card এর গুরুত্ব বৃদ্ধি
Esharm Card কে কেন এত গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্র? আধার কার্ড (Aadhaar Card) ছাড়া যেমন ভারতবাসীর কোনো পরিচয় পত্র নেই। আবার আধার কার্ড ছাড়া ব্যাংক বা পোস্ট অফিসের কোনো পরিষেবা চলবে না ঠিক তেমনি কেন্দ্র সরকার অসংগঠিত ক্ষেত্রে যে সমস্ত কর্মীরা কাজ করেন সেই সমস্ত কর্মীদের জন্য যে প্রকল্প গুলি বরাদ্দ রয়েছে ওই প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে এই ই-শ্রম কার্ডে নাম লেখানো বাধ্যতামূলক করেছে।
Esharm Card এর সুবিধা
ই-শ্রম কার্ডে নাম নথিভুক্ত থাকলে তবেই PMAY, PMJAY, PM Kisan সহ একাধিক কেন্দ্রীয় সরকারের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের সুবিধা উপভোগ করতে পারবে ওই কর্মীরা। আবার এই কার্ডের নাম নথিভুক্ত থাকলে অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করা শ্রমিকরা ৬০ বছর বয়সের পর থেকে ৩০০০ টাকা করে মাসে পেনশন পেতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের বিমা, আয়ুষ্মান ভারত, কৃষকদের সাহায্য ইত্যাদি পেতে গেলেও ই শ্রম কার্ডে নাম নথিভুক্ত করতে হবে।
Esharm Card বিশেষ সুবিধা গুলো কী?
- অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করা ই-শ্রমকার্ড থাকা কর্মীরা, ষাট বছর বয়সের পর প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা করে পেনশন পেতে পারেন।
- কর্মরত অবস্থায় কোনো অ্যাক্সিডেন্ট এর ফলে যদি ব্যক্তিটির অঙ্গহানি হয় বা পঙ্গু হয়ে যান সে ক্ষেত্রে তার পরিবার এক লক্ষ টাকার আর্থিক অনুদান পেতে পারবেন।
- যদি ই-শ্রম কার্ডে নাম নথিভুক্ত থাকা ব্যক্তিটি হঠাৎ মারা যান তবে তার পরিবার দু লক্ষ টাকার বীমার সাহায্য পাবে।
কারা ই-শ্রম কার্ডে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন?
Who Will Get Esharm Card
১) যে সমস্ত ব্যক্তিরা অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করেন তারা এই কার্ডে নাম লেখাতে পারবেন।
২) ই-শ্রমকার্ডে নাম লেখাতে গেলে ব্যক্তিটির বয়স হতে হবে ১৬ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে।
৩) যে সকল কর্মীরা ভবিষ্যৎ নীধি (EPF) ও ESI এর সুবিধা উপভোগ করছেন তাঁরা এই কার্ডে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন না।
ই-শ্রম কার্ড করার জন্য যে সমস্ত কাগজপত্র লাগবে
- শ্রমিকটির আধার কার্ড
- শ্রমিকের নিজস্ব নামে থাকা ব্যাংক একাউন্টের কপি
- শ্রমিককের নিজস্ব মোবাইল নম্বর
Esharm Card Apply
ই-শ্রম কার্ডের আবেদন করার জন্য অন্য কোথাও যেতে হবে না। বাড়িতে বসেই কাজটি করা যাবে। ঘরে বসে এই Esharm Card আবেদন করার জন্য প্রথমে এই পোর্টালে যেতে হবে। এর পর কয়েকটি পদ্ধতি মেনে চললেই এই কার্ড করে নিতে পারবেন।
ওই Esharm Card পোর্টালে গিয়ে নিজের সমস্ত তথ্য দিয়ে ফর্ম ফিলাপ করে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস গুলি জমা দিয়ে আপলোড করলেই এই কার্ডটির সুবিধা উপভোগ করতে পারা যাবে। আর আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে এই সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন। এছাড়াও আপনারা যত তাড়াতাড়ি পারেন এই Esharm Card বানিয়ে নিতে পারেন, এর ফলে আপনাদের আরও অনেক সুবিধা হতে পারে সরকারের তরফে।
Written by Nupur Chattopadhyay.
জনগনের সুবিধার্থে MyScheme Portal চালু করলো সরকার। কোন সরকারী প্রকল্পটি আপনার?