কাজ নেই? বেকার আছেন? আবেদন করুন বেকার ভাতা প্রকল্পে। প্রতি মাসে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ২৫০০ টাকা কিভাবে, কবে থেকে চালু হচ্ছে, দেখুন।
বেকারদের আর্থিক সহায়তা করার জন্য প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। দেশজুড়ে কর্মসংস্থানের অভাব প্রকট। কাজের বাজার এতটাই খারাপ যে উচ্চ শিক্ষিত যুবক যুবতীরাও কোনো জায়গাতে গিয়ে একটি কাজ জোটাতে পারছেন না। পাশাপাশি, স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে কোনো ছোটখাটো ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নিলেও মূলধন জোগাড় করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
শুধু তাই নয়, দেশের সামগ্রিক আর্থিক পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে সাধারণ মানুষের প্রতিদিন জীবন ধারণ করাও যথেষ্ট কষ্টকর পরিস্থিতির মুখোমুখি। একেই কাজের বাজার খারাপ, তার উপরে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের লাগাম ছাড়া মূল্যবৃদ্ধি, মানুষের একেবারে নাজেহাল অবস্থা। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বহুবার বিভিন্ন ধরনের কথা বলা হয়ে থাকলেও আজ পর্যন্ত কোনো সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। তবে এরকম একটা পরিস্থিতির মধ্যে এই রাজ্য সরকার রাজ্যের বেকারদের জন্য একটি নির্দিষ্ট প্রকল্প চালু করতে চলেছে।
কোন রাজ্যের বেকার ভাতা প্রকল্প?
এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীরা প্রতিমাসে ২৫০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা পাবেন। ছত্তিশগড় রাজ্য সরকারের তরফে বেকার ভাতা প্রকল্প (Unemployment Allowance) চালু করা হচ্ছে। সেই রাজ্যের সমস্ত বেকারদের প্রতি মাসে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২৫০০ টাকা করে বেকার ভাতা দেবে ছত্তিশগড় সরকার। বর্তমান সময়ে ছত্তিশগড় সরকারের এই পদক্ষেপ সেই রাজ্যের বেকার মানুষদের মুখে হাসি ফোটাতে পারে। তবে সেই রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের এই বেকার ভাতা প্রকল্পের অধীনে নাম নথিভুক্ত করতে গেলে বেশ কিছু নিয়মকানুন ঘোষণা করা হয়েছে। এবার দেখে নেওয়া যাক, বেকার ভাতা প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে গেলে কি কি নিয়ম ঘোষণা করা হয়েছে ছত্তিশগড় সরকারের তরফে:
বিনামূল্যে রেশনের মাধ্যমে অতিরিক্ত সুবিধা পাবেন রাজ্যবাসী, চিনি, ময়দা সহ আর কি কি পাবেন জেনে নিন।
কিভাবে নাম লেখাবেন?
বেকার ভাতা প্রকল্পে (Unemployment Allowance) নাম নথিভুক্ত করতে গেলে ছত্তিশগড় রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
পারিবারিক বার্ষিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকার নিচে হতে হবে।
আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সের মধ্যে হতে হবে।
আবেদনকারীকে ন্যূনতম উচ্চ মাধ্যমিক পাস বা দ্বাদশ শ্রেণী পাস করতে হবে।
50 টাকার এই পুরনো নোটটি ঘরে থাকলেই পাবেন লাখ টাকা, কিভাবে বিক্রয় করবেন জেনে নিন।
এছাড়াও, ছত্তিশগড় রাজ্যের জেলা কর্মসংস্থান কেন্দ্র বা স্ব কর্মসংস্থান নির্দেশিকা কেন্দ্রে নাম নথিভুক্ত থাকতে হবে।
পারিবারিক বার্ষিক আয়ের শংসাপত্র তহশিলদার বা উচ্চতর রাজস্ব কর্মকর্তার দ্বারা দাখিল করতে হবে।
বেকার ভাতার আবেদনের তারিখ থেকে ১ বছরের মধ্যে দাখিল করতে হবে।
কত টাকা করে পাবেন?
ছত্তিশগড় সরকারের এই বেকার ভাতা প্রকল্পে প্রতিমাসে বেকার যুবক যুবতীরা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২৫০০ টাকা করে পাবেন। সেই রাজ্যের যে সমস্ত যুবক যুবতীদের আয়ের কোনো অন্য উৎস নেই এবং পারিবারিক আয় আড়াই লক্ষ টাকার নিচে, একমাত্র তারাই আবেদনের যোগ্য।
এক দিক দিয়ে দেখতে গেলে, টিএমসি সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের জনগনের জন্য একাধিক জনমুখী প্রকল্প ও ভাতা চালু করেন। এবার পশ্চিমবঙ্গের অনুকরণে অনেক রাজ্যই এই ধরনের প্রকল্প চালু করছে।
Written by Rajib Ghosh.