Higher Education – মাধ্যমিকের পর যারা সায়েন্স নিতে চাইছো তারা এই বিষয়গুলো জেনে তারপর সিদ্ধান্ত নাও।

Higher Education – মাধ্যমিকের পর বিজ্ঞান বিভাগে পড়তে হলে এই বিষয়গুলো জানা জরুরী।

মাধ্যমিকের পর সায়েন্স আর্টস না কমার্স (Higher Education)। এই বিষয়টি প্রায় সকলের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। অনেকেই পরিবারের চাপে নিজের অনিচ্ছায় কিম্বা নিজের দক্ষতার বিচার না করেই সায়েন্স নেয়। কিম্বা সায়েন্স বিভাগে পড়াটাকে অনেকেই ক্রেডিট মনে করে সায়েন্স বেছে নেয়। অথচ দেখা যায় অন্য বিষয় নিয়ে পড়লে শে বেশী ভালো করতো। তাই এখনই চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়।

মনে রাখতে হবে নবম দশমের অঙ্ক কিম্বা ভৌত বিজ্ঞানের সাথে উচ্চ মাধ্যমিকের অঙ্ক কিম্বা পদার্থ রসায়ন বিজ্ঞানের বিস্তর ফারাক (Higher Education)। এরকম অনেক উদাহরন আছে জোর করে সায়েন্স নিয়ে টেনে টুনে পাশ করেছে কিম্বা মাঝ পথে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছে, অথচ তার চেয়ে কম মেধার পড়ুয়ারা আর্টস বা কমার্স নিয়ে ভালো চাকরী করছে।

আজকের বিষয়টি কোন ছাত্র-ছাত্রী ডিমোটিভেট করার জন্য অবশ্যই নয়, অভিজ্ঞতাকে কেন্দ্র করে ছাত্র-ছাত্রীদের কিছু প্রয়োজনীয় উপদেশ দেওয়া আজকের আলোচ্য বিষয় (Higher Education)। ছাত্র-ছাত্রীদের সফলতার উচ্চ শিখরে পৌঁছানোর জন্য কিছু সার্বিক জ্ঞান অবশ্যই প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তাই একজন পড়ুয়ার সফলতাকে কেন্দ্র করে বিস্তারিত কিছু আলোচনা রইলো।

মাধ্যমিক পরীক্ষার পর সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদেরও মনে নানারকম দ্বন্দ্ব চলতে থাকে কোন বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করলে সফলতা অর্জন করা যাবে (Higher Education)। প্রথম থেকেই আমাদের সবার মনে একটি ধারণা বাসা বাঁধে ভবিষ্যতের সফলতা শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনার দ্বারা সম্ভব। তবে বলা যেতে পারে এই ধারণাটি অত্যন্ত ভুল। একমাত্র অক্লান্ত পরিশ্রম এবং চেষ্টার দ্বারা লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। লক্ষ্যের প্রতি ডেডিকেশন এবং হার্ডওয়ার্ক হল সফলতার চাবিকাঠি। সেখানে সায়েন্স, আর্টস বা কমার্স শুধুমাত্র একটা ফ্রেম বা প্লাটফর্ম।

একজন পড়ুয়া যদি উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক (Higher Education) তাহলে অবশ্যই তাদের জেনে নেওয়া দরকার কেমন ভাষা নির্বাচন পরিকাঠামো রয়েছে শিক্ষা সংসদের। উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র-ছাত্রী দের জন্য প্রথম এবং দ্বিতীয় ভাষা নির্বাচন করা হলো কম্পালসারি এরপরে যদি কেউ বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে এগোতে চায় (Higher Education) তাহলে তাকে প্রথম ভাষা এবং দ্বিতীয় ভাষার সঙ্গে আরো তিনটি বিজ্ঞানভিত্তিক বিষয় বেছে নিতে হবে এবং তার সাথে রাখতে হবে একটি চতুর্থ ভাষা। অর্থাৎ
প্রথম ভাষা + দ্বিতীয় ভাষা + তিনটি বিজ্ঞানের বিষয়+ ফোর্থ সাবজেক্ট

প্রথম ভাষা দ্বিতীয় ভাষা এবং আপনার নির্বাচন করা তিনটি বিজ্ঞানের বিষয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক তবে চতুর্থ বিষয়টি নির্বাচন করা বাধ্যতামূলক নয়। তবে চতুর্থ বিষয়টি বাধ্যতামূলক না হলেও এই বিষয়টি নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। কারণ সর্বমোট ৫০০ নম্বরের ওপর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয় (Higher Education)।

প্রথম ভাষা ১০০ + দ্বিতীয় ভাষা ১০০ + তিনটি বিজ্ঞানকেন্দ্রিক বিষয় ( ১০০+১০০+১০০) = ৩০০+ চতুর্থ বিষয় ১০০

আরও পড়ুন, মাধ্যমিকে জীবন বিজ্ঞানে কেমন নম্বর পাচ্ছে সবাই

কারণ অনেক সময় আপনি প্রথমে নির্বাচন করে যে তিনটি বিজ্ঞানকেন্দ্রিক বিষয় নিয়েছেন পরবর্তী সময়ে আপনার সেই বিষয় গুলির মধ্যে কোন একটিতে পেরে উঠছেন না অথবা আপনার ভালো মার্কস উঠছে না। সেই ক্ষেত্রে চতুর্থ বিষয়টি আপনি আপনার তিনটি মূল নির্বাচন করার বিষয়ে মধ্যে রাখতে পারবেন, যদি চতুর্থ বিষয়টিতে ভালো নাম্বার তুলতে পারেন। যেমন,

একজন পড়ুয়ার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের নমুনা – প্রথম ভাষা ( ৮৫/১০০) + দ্বিতীয় ভাষা ( ৯৫/১০০) তিনটি বিজ্ঞানভিত্তিক বিষয় ( ফিজিকস ৮০/১০০ + কেমিস্ট্রি ৯০/১০০ + ম্যাথ ৯০/১০০ ) = ২০০/৩০০ + চতুর্থ বিষয় ( বায়োলজি ৮৫/১০০)

বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে গণিত বিষয়টির তাৎপর্য :

গণিত বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় বিজ্ঞান বিভাগের ক্ষেত্রে। অনেক ছাত্র ছাত্রীদের ক্ষেত্রে গণিত বিষয়ে অতোটা দক্ষ না হলে তারা গণিত ছাড়াই বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা শুরু করে তবে গণিত বিষয়টি না নিয়ে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করা এটি সঠিক নয় কারণ পরবর্তী সময়ে জটিল সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। কারণ বিজ্ঞান বিভাগের আরো যে দুটি বিষয় রয়েছে পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন বিজ্ঞান সেগুলির ক্ষেত্রে গণিত যথেষ্ট প্রয়োজনীয় কারণ গণিতের উপর ভিত্তি করে এই বিষয়ের কনটেন্ট গঠিত হয়। এবং সম্প্রতি আর্টস ও কমার্স এই বিষয়গুলিতেও গণিতের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিচ্ছে। Higher Education

বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন বিজ্ঞান বিষয়গুলির তাৎপর্য

পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন বিজ্ঞান এ দুটি বিষয় একে অপরের পরিপূরক বলা যেতে পারে কারণ রসায়নের সাথে পদার্থবিজ্ঞানের গুরুতর যোগসুত্র রয়েছে। ফিজিক্যাল কেমিস্ট্রি পড়ার সময় রসায়ন বিষয়টি প্রয়োজনীয়। তাই যদি কোন পড়ুয়া পদার্থবিদ্যা বিষয়টি নিয়ে কম্ফোর্টেবল নয় তাহলে পিওর সাইন্স নিয়ে না এগোনোই উচিত। আবার যদি কেউ রসায়ন নিয়ে কম্ফোর্টেবল না হয় তাহলেও পিওর সাইন্স এড়িয়ে চলা উচিত। এতে পরবর্তী সফলতায় বাধা আসতে পারে।

বায়োসাইন্স বিষয়টি ঠিক কি ?

যেসমস্ত ছাত্রছাত্রীরা গণিতে দক্ষ নয় তাদের ক্ষেত্রে বায়োসাইন্স বিষয়টি সঠিক। অনেকেই রয়েছেন যারা বিজ্ঞান বিভাগে পড়তে চায় অথচ গণিতে দক্ষ নয়। সেই ক্ষেত্রে পিওর সাইন্স নিয়ে পড়া বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। সম্প্রতি অনেক ছাত্র-ছাত্রী পছন্দের তালিকায় রয়েছে এই বায়ো সাইন্স বিভাগটি। কোন ছাত্র-ছাত্রী যদি বায়োলজি ও রসায়ন বিষয়ে দক্ষ এবং গণিত ও পদার্থবিদ্যা বিষয়ে একটু কাঁচা সেই ক্ষেত্রে অসুবিধাজনক নয় বায়ো সাইন্স এর ক্ষেত্রে। Higher Education

বায়োলজি এবং রসায়নে সুদক্ষ হলেই ভবিষ্যতে সফলতা অর্জন করা যেতে পারে এই বিষয়ের মাধ্যমে। তবুও চতুর্থ বিষয় হিসেবে গণিত রাখা উপযোগী। বায়ো সাইন্স এর ক্ষেত্রে নিউট্রিশন একটি বিষয় রয়েছে যেটি বেশিসংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীদের বেশ পছন্দের। Higher Education

বায়োলজির বিকল্প বিষয় কি হতে পারে?

বায়োলজি বিষয়টি আবার অনেক ছাত্র ছাত্রীদের আবার পছন্দের তালিকায় থাকে না। সেই ক্ষেত্রে পিওর সাইন্স বিভাগের বিষয় নির্বাচনের সময় বায়োলজির পরিবর্তে স্ট্যাটিস্টিক অথবা কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন অথবা ইকোনমিক্স নেওয়া যেতে পারে। Higher Education

তাই সায়েন্স নিয়েই যে পড়তে হবে এমনটা কিন্তু নয়। আর্টস এর বিষয়গুলোতে ও কিন্তু ভালো নম্বর পাওয়া যায়। আর সঠিক প্রস্তুতি নিলে গ্রাজুয়েশনের পর মাত্র ২১ বছরেই চাকরী পাওয়া যায়। উচ্চমাধ্যমিকের বিভাগ নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানান এবং বিষয় নির্বাচন সম্পর্কে আপনার কোন নির্দিষ্ট সাজেশন ও বক্তব্য থাকলে নিচে কমেন্ট বক্সে মন্তব্য করুন (Higher Education)।

Jio Recharge Plan : জিও নিয়ে এলো দেশের সবচেয়ে সেরা সব প্লান!

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment