পশ্চিমবঙ্গে CAA নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু হলো। কারা সার্টিফিকেট পেলেন জেনে নিন। কিভাবে আবেদন করেছিলেন?

লোকসভা ভোটের শেষ দফার ভোট বাকি। আর এর মধ্যেই CAA তথা নগরিকত্ব নিয়ে বড় খবর। CAA Bill থেকে Act বা আইন হওয়া পর্যন্ত প্রথম থেকেই বিরোধিতআ করে এসেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। যদিও নির্বাচন চলাকালীন তিনি জানান, বিনা শর্তে নাগরিকত্ব দিলে কোনও সমস্যা নেই, তবে কাউকে বঞ্চিত করলে তিনি সেটা হতে দেবেন না। আর এদিকে পশ্চিমবঙ্গেও নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু হয়ে গেল। আজ প্রথমবারের মতো পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারা নাগরিকত্ব শংসাপত্র হাতে পেলেন। তিনি কিভাবে পেলেন, জেনে নিন।

আগামী শনিবার রয়েছে শেষ দফার নির্বাচন। আর এরই মধ্যে CAA বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বড় ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Ministry of Home Affairs). বিভিন্ন রাজ্যে অবশেষে লাগু হয়ে এবার শংসাপত্র দেওয়া শুরু হয়ে গেল। যার মধ্যে নাম রয়েছে পশ্চিমবঙ্গেরও। আসলে CAA তথা Citizenship Amendment Act চালু করা নিয়ে কেন্দ্রের তরফ থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বহুদিন ধরেই। আর একাধিক রাজ্যের সাড়া না মিললেও ভারতীয় পোস্ট অফিস অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসেই ভেরিফিকেশন করে নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু হলো।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা Citizenship Amendment Act

২০১৯ সালে ভারতীয় সংসদ (Indian Parliament) নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল CAA পাস করেছিল। এই বিলের প্রধান লক্ষ্য ছিল পড়শী দেশ গুলো থেকে আসা উপযুক্ত ব্যক্তিদের ভারতের নাগরিকত্ব প্রদান করা। অর্থাৎ এই আইনে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর বা তার আগে ভারতে পালিয়ে আসা অমুসলিম উদ্বাস্তুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। আর ভোট ঘোষণার কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় পোর্টাল খুলে নাগরিকত্বের আবেদন শুরু করা হয়। আর প্রথমে অনেকেই আবেদন করতে দ্বিধাবোধ করলেও ইতিমধ্যেই যারা আবেদন করেছেন তাদের ভেরিফিকেশনের জন্য ডাকা হচ্ছে।

CAA আইনে কি বলা হয়েছে?

এই বিলের মাধ্যমে ২০১৪ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় উৎপীড়নের জন্য ভারতে আসা বৌদ্ধ, জৈন, খৃষ্টান, শিখ ও অন্যান্য ধর্মের রিফিউজিদের নাগরিকত্ব দেওয়া হওয়ার কথা ছিল। যাই হোক, ২০১৯ এ প্রথমে রাজ্য সভায় এবং তারপর লোকসভায় এই বিল যথেষ্ট সমর্থন পেয়ে পাশ করেছিল। শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের অনুমতি লাভ করে এই CAA বিল পাস হয় এবং আইনে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

CAA এর মাধ্যমে নাগরিকত্ব পেতে কিভাবে আবেদন করবেন?

শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে প্রতিটি রাজ্যের জন্য নির্দিষ্ট পোর্টাল চালু করেছে কেন্দ্র। জেলাভিত্তিকভাবে বিভিন্ন ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটদের হাতে এই আইন বলবৎ করার ক্ষমতা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। অর্থাৎ কোনও আবেদনকারী আবেদন করার পর তাকে ভেরিফিকেসনের জন্য ডাকা হবে। তিনি যে ২০১৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বরের আগে এসেছেন, সেটা জানাতে হবে। প্রয়োজনে যাচাই করতে পারে সংশ্লিষ্ট অধিকারিক। এরপর বিবেচিত হলে তিনি নাগরিকত্ব পাবেন।

আমুল দুধের ডিলারশিপ বা Amul Franchise, আমূল ফ্রাঞ্চাইজি

পশ্চিমবঙ্গে নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু হলো

১৫ই মে ২০২৪ সর্বপ্রথম ১৪ জন কে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয়কুমার ভাল্লা স্বয়ং দিল্লিতে ভারতীয় নাগরিকত্বের শংসাপত্র প্রদান করেন। দ্বিতীয় দফায় আরও ৩০০ জন কে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। তার মধ্যে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার আসাননগরের বাসিন্দা বিকাশ মণ্ডল। এছাড়া আরও পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক রয়েছে, যাদের তথ্য আমাদের কাছে নেই।

গত ১৭ই মে বিকাশ মণ্ডল কেন্দ্রীয় পোর্টালে আবেদন করেন। এরপর ২৭ই মে তাকে  কৃষ্ণনগর পোস্টাল সুপারিনটেনডেন্ট অফিসে ভেরিফিকেশনের জন্য ডাকা হয়। এরপর সকল নথি বিবেচনার পর তিনি আজ অর্থাৎ ৩০ই মে ভারতের নাগরিকত্ব পেলেন। প্রসঙ্গত, তিনি জানান গত ২০১২ সালে বাংলাদেশের ঝিনাইদহ থেকে পুরো পরিবার নিয়ে আসাননগরে চলে আসেন। আর দীর্ঘ ১২ বছর পর তিনি এই শংসাপত্র পেয়ে কার্যত আপ্লুত।

LIC পলিসি থাকলেই, টাকা দিচ্ছে। LIC Personal Loan এ কিভাবে আবেদন করবেন? কত টাকা পাওয়া যায়?

অর্থাৎ নির্বাচন পর্ব মিটে যাওয়ার পর হয়তো পুরো দমে আবেদন শুরু হবে। এই বিধয়ে আপডেট আসছে। আপনাদের কোনও প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করুন। কি কি ডকুমেন্টস লাগবে বা কিভাবে আবেদন করবেন, এই বিষয়ে প্রশ্ন থাকলেও নিচে কমেন্ট করুন। আরও আপডেট পেতে EK24 News ফলো করুন।
Written by Nabadip Saha.

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment