কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সাবলম্বী হতে নানাবিধ প্রকল্পের মধ্যে বর্তমানে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে শ্রমিক কার্ড বা E Shram Card. এই কার্ডের মাধ্যমে সরকারি একাধিক সুবিধা পাওয়া যায়।
E Shram Cards Benefits in Bengali
আপনি কি ভারতের নাগরিক? বয়স ১৬ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে? তাহলে আর চিন্তা নেই, প্রতি ৩০০০ টাকা ঢুকবে অ্যাকাউন্টে। কেন্দ্রীয় সরকার দেশের দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষদের জন্য চালু করেছে নতুন যোজনা। নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলে আবেদন করে মাসিক ভাতা পেতে পারেন এখানে। কি এই প্রকল্প? আবেদন করতে কি যোগ্যতা দরকার? আবেদন প্রক্রিয়া কি? সব জেনে নেব আজকের প্রতিবেদনে।
ই শ্রম কার্ড আপডেট
দেশের সাধারণ মানুষের জন্য এখনো পর্যন্ত অনেক জনমুখী প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যার মধ্যে অন্যতম হলো ই শ্রম কার্ড যোজনা। সমাজের দুর্বল ও মধ্যবিত্ত অংশের মানুষদের বিশেষত যারা অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মী, তাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতেই এই প্রকল্পের সূচনা। এই সকল মানুষের কোন স্থায়ী আয় থাকেনা। তাই তাদেরকে বৃদ্ধ বয়সে প্রতি মাসে নিশ্চিত পেনশন প্রদান করে কেন্দ্র এই প্রকল্পে। প্রকল্পটি ইতিমধ্যে ভারতের প্রায় প্রতিটি রাজ্যে চালু হয়েছে এবং বহু মানুষ এর সুবিধা পাচ্ছেন।
ই শ্রম কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা
ই শ্রম কার্ডের সুবিধাঃ
১. এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে আপনার কাছে একটি ই-শ্রম কার্ড থাকতে হবে।
২. ই-শ্রম কার্ডের মাধ্যমে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ মাসে ৩০০০ টাকা করে পাবেন।
৩. ই শ্রম যোজনায় নাম নথিভুক্ত থাকলে সামাজিক নিরাপত্তা যেমন বয়সভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রসবকালীন মাতৃত্ব ভাতা, এবং বিমা সুবিধা যেমন দুর্ঘটনা বীমা, জীবন বীমা ইত্যাদির সুযোগও মেলে।
৪. ইতিমধ্যে ২০ কোটি মানুষ এই কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন এবং ২ কোটি মানুষ এই সুবিধা উপভোগ করছেন।
ই শ্রম কার্ড কারা করতে পারবে?
প্রকল্পের আওতায় সুবিধাভোগী কারা?
১. এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য ১৬ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে থাকতে হবে
২. অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।
৩. এখানে আবেদন করার জন্য কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ, কোনো পড়াশোনার মানদণ্ড ছাড়াই যে কেউ এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন।
E shram Card online apply
আবেদন প্রক্রিয়াঃ
ই-শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করার ধাপগুলি নিম্নরূপ,
- কেন্দ্রীয় সরকারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান
- মোবাইল নম্বর ও ইমেইল আইডি দিয়ে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন।
- আবেদন ফর্মটি সঠিকভাবে পূরণ করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করুন।
- আবেদন ফর্মটি সাবমিট করে প্রিন্ট আউট নিয়ে রাখুন।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টঃ
১. বার্থ সার্টিফিকেট,
২. যেকোনো ফটো আইডেন্টিটি প্রমাণ
৩. ব্যাংক একাউন্ট ডিটেইলস
৪. আধার কার্ড
৫. পারিবারিক আয়ের প্রমান
আরও পড়ুন, বিনামূল্যে মাদার ডেয়ারি ফ্রাঞ্চাইজি নিয়ে মাসে লাখ টাকা আয় করার সুযোগ
ই-শ্রম কার্ডের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার আরও কিছু নতুন সুবিধা প্রদান করছেন। এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৪০ কোটি নাগরিক আর্থিক সুরক্ষা পাবেন। পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দারা এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন। যারা এখনো আবেদন করেননি, তারা অবিলম্বে ই-শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করুন এবং এই সুবিধা গ্রহণ করুন।
Written by Nabadip Saha.