আপনি কি একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী? প্রতিমাসে পেনশন পান? তাহলে নিজের লাইফ সার্টিফিকেট বা Digital Life Certificate জমা করা তো আবশ্যক প্রতিবছর। না হলে একাউন্টে ঢুকবে না পেনশন পরের মাস থেকে। এতদিন লাইভ সার্টিফিকেট বা জীবন প্রমানপত্র জমা দিতে হলে সাধারণত ব্যাংকে বা পোস্ট অফিসে গিয়ে লাইন দিতে হতো। যা বয়স্ক এবং অক্ষম ব্যক্তিদের পক্ষে অত্যন্ত কষ্টকর হত। তবে এখন থেকে আর সেই কষ্ট পোহাতে হবে না। কেন্দ্রীয় পেনশন নিয়ামক সংস্থা তথা EPFO এর তরফ থেকে নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। এখন ঘরে বসেই দিতে পারবেন নিজের লাইফ সার্টিফিকেট অনলাইনে জমা।
Digital Life Certificate through face authentication
Jeevan Pramaan Patra ভারত সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রাম যা ১০ নভেম্বর ২০১৪-তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চালু করেছিলেন। অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা এই সার্টিফিকেটের মাধ্যমে প্রতি বছর তাদের পেনশন পেয়ে থাকেন। পেনশনভোগীদের সুবিধার্থে, EPFO এবার ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করেছে, যার মাধ্যমে তারা ঘরে বসেই তাদের জীবন প্রমাণপত্র জমা দিতে পারবেন। এই পদ্ধতিটি “Jeevan Pramaan Face App” এবং “Aadhaar Face RD” নামক দুটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে কার্যকর করা হয়েছে।
ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট কিভাবে জমা দেবেন?
এই নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করার জন্য, পেনশনভোগীদের নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে:
১. তাদের মোবাইল ফোনে “Jeevan Pramaan Face App” এবং “Aadhaar Face RD” অ্যাপ্লিকেশনগুলি ডাউনলোড করতে হবে।
২. অ্যাপ্লিকেশনগুলিতে, তাদের নিজ নিজ আধার নম্বর এবং মোবাইল নম্বর সহ প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে হবে।
আরও পড়ুন, সরকারি কর্মীদের পেনশনের নিয়ম বদল! অবসরকালে কত টাকা পেনশন পাবেন?
৩. অ্যাপ্লিকেশনগুলি তাদের মুখ স্ক্যান করবে এবং তাদের পরিচয় যাচাই করবে।
৪. সফলভাবে যাচাই করার পরে, পেনশনভোগীরা তাদের সামনের ক্যামেরা ব্যবহার করে একটি ছবি তুলতে পারবেন।
৫. ছবিটি সহ সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দিলে তাদের জীবন প্রমাণপত্র তৈরি হবে।
এই পদ্ধতির সুবিধা
১. সুবিধাজনকঃ
পেনশনভোগীরা ঘরে বসেই তাদের জীবন প্রমাণপত্র জমা দিতে পারবেন, যার ফলে তাদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হবে না বা ব্যাংক/পোস্ট অফিসে যেতে হবে না।
আরও পড়ুন, পশ্চিমবঙ্গের পেনশন ভোগীদের বকেয়া ২ লাখ টাকা মেটাবে। ঘোষণা রাজ্য সরকারের।
২. দ্রুতঃ
এই পদ্ধতিটি চিরাচরিত পদ্ধতির তুলনায় অনেক দ্রুত।
৩. নিরাপদঃ
“Jeevan Pramaan Face App” এবং “Aadhaar Face RD” অ্যাপ্লিকেশনগুলি উচ্চ স্তরের নিরাপত্তা প্রদান করে যা পেনশনভোগীদের ডেটা সুরক্ষিত রাখে।
ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেটের জনপ্রিয়তা
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রায় ৭৮ লাখ পেনশনভোগী রয়েছেন। এর মধ্যে ৬.৬ লক্ষেরও বেশি পেনশনভোগী ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে ডিজিটাল জীবন শংসাপত্র জমা দিয়েছেন। ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে এই সংখ্যা ছিল ২.১ লক্ষ। এই প্রযুক্তি আসার আগে পেনশনভোগীদের ব্যাংকে যেতে হতো। এখনও কমন সার্ভিস সেন্টার এবং সরকারি অফিসে এই শংসাপত্র জমা দেওয়ার বিকল্প রয়েছে।
Written by Nabadip Saha.