Biometric Attendance বা বায়োমেট্রিক উপস্থিতি নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ খবর সকলের জন্য। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে (Education System) উন্নত করতে এবার আরো এক সিদ্ধান্ত নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার (West Bengal Government). রাজ্যের স্কুল গুলিতে চালু করা হচ্ছে ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স (Digital Biometric Attendance) প্রক্রিয়া। ছাত্র ছাত্রীরা কখন স্কুলে ঢুকছে আর কখন স্কুল থেকে বেরোচ্ছে, সেই সব তথ্য এবার এক নিমেষে জমা পড়বে তাদের অভিভাবকদের কাছে।
Biometric Attendance System Start In West Bengal.
ফলে আর দেরি করে স্কুলে ঢোকার বা স্কুল পালিয়ে অন্য কোথাও যাবার উপায় নেই এখন। সরকারের এই কর্মসূচিকে প্রশংসার নজরে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এই পদ্ধতি চালু হবার ফলে ছাত্র ছাত্রীরা আরো কড়া নিয়মে বাধা থাকবে। যাতে তাদের পড়াশোনায় উন্নতি হবে। আজকাল সব কিছুই ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনলাইনে হয়ে যায়, সে ট্রেনের টিকিট বুক করা হোক বা শপিং করা বা টাকা পয়সা লেনদেন যা কিছু (Biometric Attendance).
ইন্টারনেটের এই রেয়াজ এবার দেখা দিল স্কুল প্রাঙ্গণের মধ্যেও। উল্লেখ্য, এতদিন পর্যন্ত কেবল সরকারি এবং বেসরকারি অফিস গুলিতে ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স (Biometric Attendance) পরিষেবা চালু করা হয়েছিল। স্কুলগুলিতে যথারীতি খাতায় নাম ডেকেই ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিতি নিতেন শিক্ষকরা। কিন্তু ছাত্র ছাত্রীদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে এবারে স্কুল শিক্ষা দপ্তর (WB Education Department) চালু করল সেই নিয়ম।
কিভাবে নেওয়া হবে Biometric Attendance?
এক্ষেত্রে ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স (Digital Attendance) কিন্তু বায়োমেট্রিক দ্বারা নেওয়া হবে না। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীকে একটি করে ডিজিটাল আইডেন্টিটি (Biometric Attendance) কার্ড দেওয়া হবে। যে গুলিকে স্কুলে (School) ঢোকা এবং স্কুল থেকে বেরোনোর সময় তাদের গলায় ঝুলিয়ে রাখতে হবে। সেই কার্ডের মধ্যে লাগানো থাকবে একটি ইলেকট্রনিক চিপ। এই চিপের মধ্যে লিংক থাকবে ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকদের মোবাইল নম্বর।
প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীকে স্কুলে ঢোকা এবং স্কুল থেকে বেরোনোর সময় ক্লাস রুমের দরজার বাইরে লাগানো একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্রের কাছে এসে দাঁড়াতে হবে। তাহলে সেই চিপ ওই যন্ত্রের মাধ্যমে স্ক্যান হয়ে সঙ্গে সঙ্গে অভিভাবকদের মোবাইলে SMS চলে যাবে তাদের ছেলে মেয়েরা কখন স্কুলে ঢুকেছে আর বেরোচ্ছে। যার ফলে অভিভাবকরাও অনেকটা চিন্তামুক্ত হতে পারবেন। আর সেই সঙ্গে ছেলে মেয়েরাও কোনো বেনিয়ম করার সুযোগ পাবে না স্কুলে।
রাজ্যের মধ্যে এই অভিনব উদ্যোগ সর্বপ্রথম নিতে চলেছে নদিয়ার নবদ্বীপ ব্লকের মায়াপুর পূর্ব মোল্লাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। শুক্রবার কৃষ্ণনগরের সদর মহকুমা শাসক নিজে স্কুলে এসে এই নতুন কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন। আর সেই সঙ্গে তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষকে অভিবাদনও জানিয়েছেন এই ধরনের একটি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। এই পদ্ধতি সম্পর্কে সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক (Head Teacher) হিরন শেখ জানিয়েছেন (Biometric Attendance).
বর্তমানে স্কুলে ১৮৮ জন ছাত্র ছাত্রী রয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছেন ৬ জন শিক্ষক শিক্ষিকা। ছাত্র ছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই আমরা এই পরিষেবা চালু করেছি। এতে যেমন ছাত্র ছাত্রীদের হাজিরা নথিভুক্ত হবে, ঠিক তেমনই ছাত্র ছাত্রীদের বিদ্যালয় উপস্থিতির হারও বৃদ্ধি পাবে। যে সমস্ত ছাত্র ছাত্রী বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত (Biometric Attendance) থাকবে, তাদের মোবাইলে পৌঁছে যাবে এসএমএস অ্যালার্ট!
এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য নতুন ঘোষণা। পরীক্ষা দিতে সবার সুবিধা হবে।
সব মিলিয়ে পড়ুয়াদের স্কুলে ঢোকা এবং বেরোনোর ওপর নজরদারি থাকবে অভিভাবকদেরও। বিদ্যালয়ে এই ডিজিটাল হাজিরা পরিষেবা চালু হওয়ায় খুশি অভিভাবকেরা। আর এবারে এই ব্যবস্থা ধীরে ধীরে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) সকল বিদ্যালয়ে শুরু করলে সকলের অনেক সুবিধা হতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন। এবারে দেখার অপেক্ষা যে আগামীদিনে কি হতে চলেছে (Biometric Attendance).
Written by Nabadip Saha.
স্কুলে স্কুলে মিড ডে মিলে শুরু হল ব্রেকফাস্ট প্রকল্প। পড়ুয়াদের সুখবর।