দিনকে দিন তাপমাত্রার পারদ চড়েই চলেছে রাজ্যে। আর গরম যত বাড়ছে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে Load Shedding এর হারও। বেশিরভাগ দিন রাত হলেই কারেন্ট (Electric) চলে যাচ্ছে রাজ্যের অধিকাংশ এলাকায়। ফলে নাজেহাল হতে হচ্ছে বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ সকলকে। কিন্তু এই লোডশেডিং এর আসল কারণ কি? কেন ভুগতে হচ্ছে সকলকে? জানলে অবাক হবেন।
Load Shedding Causes in West Bengal.
রাজ্যের বিদ্যুৎ দপ্তর (WBSEDCL) সম্প্রতি জানিয়েছে রাতভর Load Shedding এর জন্য প্রধানত দায়ী টোটো গুলো। রাত্রি বেলায় বেশিরভাগ টোটো (Toto) চার্জে বসাচ্ছেন টোটো চালকরা। এই দিকে বেশি লোড টানতে গিয়ে বিদ্যুৎ ঘাটতি হচ্ছে। তার ফলেই লোডশেডিং। এই কারণে টোটো গুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভেবেছে রাজ্য। তবে এবার কি হবে টোটো চালকদের? কোন শাস্তির মুখে পড়তে চলেছেন তারা?
ব্রেকিং নিউজ
এদিকে আজ ও কাল ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারনে দক্ষিন বঙ্গের বিভিন্ন জেলায় টানা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সৃষ্টি হতে পারে। যার কারনে সতর্কতা ও কারেন্ট গেলে কোন নম্বরে ফোন করবেন, জানিয়ে দিলো বিদ্যুৎ সংস্থা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, কারেন্ট চলে গেলেও একাধিক জায়গায় জেনারেটর এর ব্যাবস্থা করা হবে। তবে সারাতে সময় দিতে হবে। এদিকে বিদ্যুৎ না থাকলে বা ঝড়ে বিদ্যুৎ এর তার ও পোল ভেঙ্গে গেলে ১৯১২১ নম্বরে ফোন করতে বলা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে লোডশেডিং এর মূল কারণ টোটো?
প্রতিবছর গরমের সময় Load Shedding বাড়ে সর্বত্র। আমরা ভাবি সাধারণত গরমকালে প্রতিটি ঘরে রাত্রে AC, কুলার ইত্যাদি চলে বলে লোড টানতে অসুবিধা হয় এবং তার ফলেই হয়তো লোডশেডিং হয়ে থাকে। কিন্তু এর পেছনে আসল কারণ যে টোটো তা এতদিন অনেকেই জানতেন না। সম্প্রতি বিষয়টিকে স্পষ্ট করে রাজ্যের বিদ্যুৎ পর্ষদের চিফ ইঞ্জিনিয়ার সুমিত মুখোপাধ্যায় বলেছেন, “রাজ্যে টোটোর চলাচল হয়েছে লাগাম ছাড়া।
আরও পড়ুন, পশ্চিমবঙ্গে নতুন OBC List 2024 প্রকাশ! কাদের নাম বাতিল হলো? কারা তালিকায় আছে?
টোটো কিভাবে লোডশেডিং এর মূল কারণ?
বেশিরভাগ টোটো চালকরা রাতে টোটোর ব্যাটারি চার্জে বসান। সারা রাত চলে চার্জিং। প্রায় কয়েক লাখ টোটো এইভাবে প্রত্যেক রাতে এত চার্জ হয় না। যার জেরে চাপ বাড়ছে। ফলে ভোল্টেজ ডাউন হচ্ছে এবং লোডশেডিং হচ্ছে। তবে টোটো প্রধান কারণ হলেও একমাত্র কারণ নয় Load Shedding. বিদ্যুৎ দপ্তর একথাও স্বীকার করেছে যে গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি ঘরে যখন এসি, কুলার ইত্যাদির ব্যবহার বেড়েছে।
আরও পড়ুন, বাতিল করা হল শিয়ালদহ ও হাওড়া লাইনের একাধিক ট্রেন, ভোগান্তি সমস্ত যাত্রীদের।
রাতের বেলা এই গুলো ছাড়া ঘুমাতে পারে না মানুষ। তার ফলেও কখনো সখোনো ভোল্টেজ ডাউন হয়ে বিদ্যুৎ ঘাটতি হয়ে থাকে। এই দিকে টোটো গাড়ি গুলি যে কেবল বিদ্যুতের ওপরেই প্রভাব ফেলছে তা নয়। রাজ্যে টোটোর হার লাগাম ছাড়া হওয়ার ফলে যানজট সমস্যাও দিনকে দিন বেড়ে চলেছে (Load Shedding). গ্রাম থেকে অবৈধভাবে বহু টোটো এসে শহরের রাস্তায় ঢুকে ট্রাফিক বাড়াচ্ছে। অন্য দিকে সরকারি রেজিস্ট্রেশন ছাড়াও বহু টোটো চলাচল করছে।
What is the Solution of Load Shedding?
এত টোটোর চাপ বাড়ায় রাস্তায় অন্য গাড়ি এমনকি যাত্রী চলাচল করতেও অসুবিধা হচ্ছে। এই বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় রয়েছে রাজ্যের পরিবহন দপ্তর। যদিও এর আগেই অনেকবার নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে টোটোর চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য। সমস্ত টোটো চালকদের তাদের টোটোর কড়াভাবে সরকারি রেজিস্ট্রেশন করতে বলা হয়েছে। এমনকি কিউ আর কোডও চালু করা হয়েছে বৈধ টোটো গুলোকে (Load Shedding) শনাক্ত করার জন্য।
পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ হওয়ার মুখে বিড়ি বিক্রয়। বিড়ি শ্রমিক ও ধূমপায়ীদের দুঃসংবাদ!
রাজ্যের কিছু কিছু এলাকার মিউনিসিপ্যালিটি এই বিষয়ে উদ্যোগ নিলেও বেশিরভাগ জায়গায় এখনো টোটোর চলাচল বাধাহীন। তবে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভোট মিটলেই পুলিশ গিয়ে রেইড করবে সেই সব এলাকায়। আর তারপরেই টোটো এবং টোটো চালকদের ওপর কি নিষেধাজ্ঞা আসে সেটা দেখা যাবে। এই কাজ করলেই কি Load Shedding কমবে? সেই নিয়ে এখন প্রশ্ন রয়েই গেল।
Written by Nabadip Saha.