রাজ্যের সিভিক ভলেন্টিয়ারদের পার্মানেন্ট পুলিশ কর্মী হওয়ার সুযোগ, বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।

ভালো কাজ করলে পাকাপাকি চাকরি হবে পুলিশে, কিভাবে হবে রাজ্যের সিভিক ভলেন্টিয়ারদের (Civic Volunteer) স্থায়ী নিয়োগ, মুখ‍্যমন্ত্রীর নির্দেশ বিস্তারিত জানুন।

কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যাননিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে মেলা, খেলা, মিটিং, মিছিল সহ পুলিশকে বিভিন্ন কাজে সাহায্য করা, টহলদারির কাজ করে থাকেন সিভিক ভলেন্টিয়াররা (Civic Volunteer) বিরোধী রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগকে ঘিরে একাধিকবার অভিযোগ তোলা হয়েছে। শাসক তৃণমূলের দিকেই সেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিরোধী দলগুলো।

তবে পাশাপাশি সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ বারে বারে উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী সেই বিষয়ে কড়া নির্দেশ জারি করেছেন। আর এবার সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছেন। যেটা সিভিক ভলেন্টিয়ার দের কাজে আরও উৎসাহ দেবে।
কি সেই ঘোষণা?

সিভিক ভলেন্টিয়ারদের স্থায়ীকরনঃ

নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, সোমবার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্তাব দিয়ে বলেছেন, কোনো সিভিক ভলেন্টিয়ার ভালো কাজ করলে, তাকে পুলিশের কনস্টেবল (Police Constable) পদে স্থায়ী চাকরির সুযোগ দেওয়া হবে। তবে সে ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত আরোপের কথা বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নিজের হাতেই রয়েছে স্বরাষ্ট্র দপ্তর। দপ্তরের আধিকারিকদের এই বিষয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

নবান্নর বৈঠকে মূল যে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা হলো, সিভিক ভলেন্টিয়ারদের কাজ ভালো হলে বা দক্ষতার পরিচয় দিলে, তাদের পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ হতে পারে। কারন এই মুহূর্তে রাজ্যের বহু থানায় কনস্টেবল পদ খালি রয়েছে। প্রচুর কনস্টেবল এর পদোন্নতি হয়েছে। আগামী দিনে আরো কনস্টেবলের প্রয়োজন হবে। সেক্ষেত্রে দক্ষ সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করা যায় কিনা, সেই বিষয়ে স্বরাষ্ট্র দপ্তরকে ভাবনা চিন্তা করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন মমতা।

আপন বাংলা কার্ড আমার বাংলা কার্ড (Apon Bangla Card, Amar Bangla Card)

সিভিক ভলান্টিয়ারদের পুলিশ কনস্টেবল পদে পাকাপাকি চাকরি দেওয়ার জন্য যে সমস্ত দিকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে তা হলো,
প্রথমত, কাজের ক্ষেত্রে সিভিক ভলান্টিয়ারকে যোগ্য হতে হবে। প্রতিটি কাজ দায়িত্বের সঙ্গে তিনি পালন করছেন কিনা, তার উপরেই মূল্যায়ন করা হবে।
দ্বিতীয়তঃ যে সমস্ত থানায় কনস্টেবল পদ প্রচুর খালি রয়েছে, সেখানেই এই ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে।
তৃতীয়ত, যাদের নাম ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সুপারিশ করবেন, তারাই এই সুযোগ পাবেন।

স্টেট ব্যাংক গ্রাহকদের সতর্কবাণী, মেসেজ খুললেই একাউন্ট ফাঁকা, এই মেসেজ দেখলেই ডিলিট করুন।

মূলত দায়িত্ব থাকবে জেলার পুলিশ সুপারের উপরে। তিনি আবার যে থানায় ওই সিভিক ভলান্টিয়ার কাজ করছেন, সেখানকার ওসি এবং এসডিপিওর রিপোর্ট এর উপরেই নির্ভর করবেন।
তবে প্রশাসনিক আধিকারিকদের ধারণা, পদোন্নতির প্রস্তাব দেওয়া হলে সিভিক ভলান্টিয়াররা নিজেদের কাজে অনেকেই মন দেবেন। আর তার প্রভাব রাজ্যের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলাতেও পড়বে।
Written by Rajib Ghosh.

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment