Chandrayaan 4: চন্দ্রযান ৪ কবে উৎক্ষেপণ হবে? চন্দ্রযান ৪ এর লক্ষ্য, মিশন ও উদ্দেশ্য কি? বিস্তারিত জানালো ISRO

গত বছরেই চন্দ্রযান ৩ চাঁদে পাঠিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO. আর এবার Chandrayaan 4 কে চাঁদের মাটিতে নামানো নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। সম্প্রতি চীনের চ্যাঙ্গি-৬ মহাকাশযান সফলভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফিরে এসেছে।

Advertisement

Chandrayaan 4 Launching date and Missions

আর এই মুহূর্তে ইসরো ও চিন্তা ভাবনা করছে যত শীঘ্র তাদের Chandrayaan 4 মিশন শুরু করা যায়। কারণ এই অভিযান যদি সফল হয় তবে আমেরিকার অ্যাপোলো, সোভিয়েত ইউনিয়নের লুনা এবং চিনের চ্যাং এর পর ভারতই চাঁদ থেকে নমুনা সংগ্রহকারী চতুর্থ দেশ হবে। যা দেশের জন্য বড় সাফল্য। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO জানিয়েছে ইতিমধ্যেই চন্দ্রযান ৪ গঠন করা হয়ে গিয়েছে এবং শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে এখন। এই বছরের শেষেই একটি স্পেস ডকিং লঞ্চ করতে পারে ইসরো।

Advertisement

চন্দ্রযান ৪ এর স্পেস ডকিং কি?

চন্দ্রযান-৪ মিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল স্পেস ডকিং প্রযুক্তির ব্যবহার। স্পেস ডকিং হল যখন দুটি মহাকাশযান মহাকাশে একে অপরের সাথে সংযুক্ত হয়। চন্দ্রযান ৪ মিশনের ক্ষেত্রে, রিটার্ন মডিউল চাঁদের কক্ষপথে অবস্থিত অরবিটারের সাথে ডক করবে। এরপর, চাঁদের মাটির নমুনা রিটার্ন মডিউলে স্থানান্তরিত করা হবে এবং পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে। ১৯৬৬ সালে প্রথম, আমেরিকার জেমিনি প্রজেক্টে এই স্পেস ডকিং হয়েছিল। মহাকাশচারী নীল আর্মস্ট্রং এবং ডেভিড স্কট ছিলেন জেমিনি ৮ মহাকাশযানে। মানববিহীন এজেনা টার্গেট যানের সঙ্গে ডক করেছিল জেমিনি।

চন্দ্রযান ৪ এর কনফিগারেশন

চন্দ্রযান-৪ মিশন পাঁচটি আলাদা আলাদা মডিউল নিয়ে গঠিত হবে, যার প্রত্যেকটি নির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের জন্য নকশা করা হয়েছে:
১. ল্যান্ডার: চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করবে এবং মাটির নমুনা সংগ্রহ করবে।
২. অরবিটার: চাঁদের চারপাশে ঘুরবে এবং ল্যান্ডারের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখবে।
৩. রিটার্ন মডিউল: চাঁদের মাটির নমুনা নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসবে।
৪. দুটি মিনি-স্যাটেলাইট: চন্দ্রযান ৪ এর জন্য যোগাযোগ এবং নেভিগেশন সরবরাহ করবে। এটি চাঁদের বায়ুমণ্ডল ও পৃষ্ঠতল সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবে।

মহাকাশযান উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়া:

চন্দ্রযান-৪ মিশন দুটি ধাপে উৎক্ষেপণ করা হবে,

Advertisement
  • প্রথম ধাপে: এলভিএম-৩ ব্যবহার করে দুটি মিনি-স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানো হবে। এই স্যাটেলাইটগুলি চাঁদের দক্ষিণ মেরুর অবস্থান এবং নমুনা সংগ্রহের জন্য উপযুক্ত স্থান চিহ্নিত করতে সহায়তা করবে।
  • দ্বিতীয় ধাপে: PSLV ব্যবহার করে চন্দ্রযান-৪ কে মহাকাশে পাঠানো হবে।
    এই বছর নভেম্বর ডিসেম্বর করেই চন্দ্রযান ৪ এর মিশন শুরু করবে বলে জানিয়েছে সংস্থা।

আরও পড়ুন, মহিলাদের ২ লাখ টাকা পর্যন্ত দিচ্ছে সরকার। এই প্রকল্পে কিভাবে আবেদন করবেন?

চন্দ্রযান-৪ মিশনের উদ্দেশ্য

চন্দ্রযান-৪ মিশনের মূল লক্ষ্য হল চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে মাটি ও পাথরের নমুনা সংগ্রহ করা এবং পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা। এছাড়াও, এই মিশন চাঁদের ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস, বরফের বিতরণ এবং বায়ুমণ্ডল সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করবে। ইসরো জানিয়েছে, এই চন্দ্রযান-৪ মিশন ভারতের মহাকাশ গবেষণা কর্মসূচির জন্য একটি যুগান্তকারী অগ্রগতি হবে। চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর চিন্তা ভাবনা চলছে। কিন্তু সেই মতো পরিকাঠামো এখনোও তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছে সংস্থা। ততদিন পর্যন্ত একের পর এক চন্দ্রযান সিরিজের মাধ্যমেই কাজ চালাতে হবে।
Written by Nabadip Saha.

আরও পড়ন, স্টেট ব্যাংকের এই স্কীমে প্রতিমাসে ৫০০০ টাকা পাবেন। সুদের হার ও হিসাব।

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment