সরকারি কর্মীদের মোবাইলে আসছে Whatsapp এ জরুরী নির্দেশ। রেগে আগুন মুখ্যমন্ত্রী? কি নির্দেশ এলো?

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে পশ্চিমবঙ্গের (Government of West Bengal) জেলাস্তরের সরকারি কর্মীদের (Government Employees) কাছে সরাসরি নির্দেশ পাঠানোর গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এই নির্দেশগুলি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বা মুখ্যসচিবের কাছে না পৌঁছিয়ে সরাসরি জেলার কর্মী ও আধিকারিকদের কাছে যাচ্ছে। কেন্দ্রের এই নির্দেশে রাজ্যের শীর্ষ আধিকারিকদের উপেক্ষা করার ঘটনার অভিযোগে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

রাজ্যকে উপেক্ষা করেই সরকারি কর্মীদের Whatsapp এ কেন্দ্রের নির্দেশ

রাজ্যের কৃষি দফতরের তরফে এই অভিযোগ সামনে আসার পর রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই পদক্ষেপকে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর লঙ্ঘন বলে মনে করছেন রাজ্যের মন্ত্রী ও আধিকারিকরা। শুধু তাই নয় জরুরিভিত্তিতে এই খবর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banejee) এর কাছে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার জেলাস্তরের সরকারি কর্মী ও ডিরেক্টরদের বিশেষ WhatsApp গ্রুপে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই গ্রুপে প্রতিদিনের কাজের হিসাব এবং রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে রাজ্যের কৃষি দফতর (Agricultural department) বা নবান্নকে কোনও আনুষ্ঠানিক তথ্য দেওয়া হয়নি। এই ঘটনায় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং এটিকে রাজ্যের স্বায়ত্তশাসনের উপর হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। কৃষি দফতরের কর্মীদের মধ্যেও এই নির্দেশ নিয়ে বিভ্রান্তি ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন, সরকারি কর্মীদের ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত দিচ্ছে। ৬মাস পুরনো স্যালারি একাউন্ট থাকলেই পাবেন।

মন্ত্রীর ক্ষোভ: মমতা ব্যানার্জির কানে পৌঁছবে অভিযোগ

রাজ্যের প্রবীণ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে তিনি এই বিষয়টি অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নজরে আনবেন। তিনি এই পদক্ষেপকে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর লঙ্ঘন এবং রাজ্যের প্রশাসনিক স্বাধীনতার উপর আঘাত হিসেবে বিবেচনা করছেন। মন্ত্রীর অভিযোগ, কেন্দ্রের এই আচরণ রাজ্যের প্রশাসনিক কাঠামোকে অবমাননা করছে এবং এটি অগ্রহণযোগ্য। তিনি এই নির্দেশের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এই ঘটনা রাজ্য-কেন্দ্র সম্পর্কে নতুন টানাপোড়েন সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর লঙ্ঘন ও প্রশাসনিক নিয়মের অবমাননা

যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো অনুযায়ী, কেন্দ্রের তরফে কোনও নির্দেশ বা রিপোর্ট চাওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা মুখ্যসচিবের কাছে চিঠি পাঠানোর নিয়ম। এছাড়াও, সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিবের মাধ্যমে যোগাযোগ করা উচিত। কিন্তু এই ক্ষেত্রে কোনও আনুষ্ঠানিক চিঠি বা যোগাযোগ ছাড়াই জেলাস্তরের কর্মীদের কাছে নির্দেশ পাঠানো হচ্ছে। এই পদক্ষেপকে রাজ্যের মন্ত্রী ও আধিকারিকরা কেন্দ্রের অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। এই ঘটনা রাজ্যের প্রশাসনিক কাঠামোর উপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন, মাত্র ৯৯৯৯ টাকায় দুর্দান্ত স্মার্টফোন Vivo T4 Lite 5G লঞ্চ হলো। পাবেন 50MP ক্যামেরা, 128GB স্টোরেজ, 6000mAh ব্যাটারি!

রাজ্য-কেন্দ্র সম্পর্কে নতুন উত্তেজনা

এই ঘটনা রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে সম্পর্কের নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। রাজ্যের মন্ত্রী ও আধিকারিকরা এই নির্দেশকে কেন্দ্রের একতরফা পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। এই ধরনের ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক স্বাধীনতার উপর প্রশ্ন তুলছে। রাজ্য সরকার এই বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানাতে পারে। এই বিতর্কের ফলে রাজ্যের প্রশাসনিক কাঠামোর স্বচ্ছতা ও স্বায়ত্তশাসন নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন, ঘরে বসে মাসে 50,000 টাকা আয় করুন। সবাই এই কাজ পারবে।

উপসংহার

একদিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বার বার রাজ্যের পাওনা টাকা না দেওয়ার অভিযোগ করেছে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে কেন্দ্র সরকার থেকে পরিদর্শক টিম পাঠালে তাদের কে সাহায্য না করা বা হিসাব নিকাশ না দেখানো বা অসহযোগিতা করার উল্টো অভিযোগ করেছে কেন্দ্র সরকার। যার জেরে নাকি ১০০ দিনের টাকা, আবাস যোজনার টাকা সহ একাধিক প্রকল্পের টাকা বন্ধ রাখা হয়েছে। আর এবার রাজ্য কে উপেক্ষা করে এবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের নিয়ন্ত্রণ করার গুরুতর অভিযোগ উঠলো কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। যদিও এই বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে কোনও অফিসিয়াল বিবৃতি মেলেনি।

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!