প্রতারকদের ফাঁদে পড়ে বহু মানুষের ব্যাংক (Bank Fraud) থেকে উধাও হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। টাকা সুরক্ষিত রাখার জন্য মানুষ ব্যাংকে টাকা গচ্ছিত রাখে। তবে বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে ব্যাংকে টাকা রাখাও বিপদজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন অবস্থায় মানুষের মনে ব্যাংকে টাকা রাখা নিয়ে ভয়ের সৃষ্টি হয়েছে। কীভাবে প্রতারণার ফাঁদে ফেলা হয় মানুষকে? কীভাবেই বা এই প্রতারণা জাল থেকে রেহাই পাওয়া যাবে? প্রশ্ন জেগেছে মানুষের মনে। আজ সেই সব প্রশ্নেরই উত্তর নিয়ে আজকের এই প্রতিবেদনটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
কীভাবে প্রতারকরা প্রতারণার ফাঁদে ফেলে মানুষকে?
১)ফোন কলের মাধমে: অনেক সময় অজানা নম্বর থেকে মানুষের ফোনে কল আসে। মানুষের ব্যস্ততার সুযোগ নিয়ে অজানা নম্বর থেকে অনেক ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয়া হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে লটারি জেতার টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ডেবিট কার্ড নম্বর চাওয়া হয়। আবার অনেক সময় মোবাইলে একটি ওটিপি পাটিয়ে সেটিও চাওয়া হয়। আর এভাবেই ব্যাংক থেকে টাকা হাতিয়ে নেয় (Bank Fraud) প্রতারকরা।
২)কাস্টমার কেয়ার নম্বর: আমরা অনেক সময় গুগল থেকে ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ার নম্বর নিয়ে, সেখানে কল কর থাকি এবং নিজেদের ব্যাক্তিগত তথ্য শেয়ার করি। যেটা একদমই ঠিক নয়। কারণ কাস্টমার। কেয়ার কখনো গ্রাহকদের ব্যাক্তিগত তথ্য চায় না। তাই কোনো কাস্টমার কেয়ার থেকে ব্যাক্তিগত তথ্য চাওয়া হলে, সেটি ভুয়ো।
৩) সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতারণার ফাঁদ: সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে নানা সময় কম দামে বিভিন্ন জিনিস বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। এই ধরণের বিজ্ঞাপনের মাঝেও লুখিয়ে থাকে ফাঁদ। এই ধরণের লিঙ্কে একবার ক্লিক করলে, মোবাইল হ্যাক হয়ে যায়। সেখান থেকে ব্যাক্তিগত তথ্য হাতিয়ে টাকা লুট করা হয়।
ব্যাংক জালিয়াতি বা Bank Fraud থেকে নিজেকে কীভাবে রক্ষা করবেন?
এ বিষয়ে প্রথমেই বলে রাখি, কাউকে কখনো নিজের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করবেন না। UPI Pin শুধু মাত্র টাকা তোলার কাজে লাগে। তাই অচেনা কাউকে এই নম্বর শেয়ার করবেন না। এরই সাথে বলে রাখি, ব্যাংক কখনো ফোন করে OTP চায় না। তাই আপনার ফোনে যদি কল করে কোনো প্রকার OTP চাওয়া হয়, তাহলে তা কখনোই দেবেন না। যদি ব্যাংকের নাম করে এ ধরণের কোনো জিনিস চাওয়া হয়, তাহলে অতিসত্ত্বর আপনি ব্যাংকের যোগাযোগ করুন।
আরোও পড়ুন » RBI Guidelines না মানায় SBI ও PNB সহ 4 টি ব্যাংক কে জরিমানা করলো রিজার্ভ ব্যাংক। মহা চিন্তায় 40 কোটি গ্রাহক।
এছাড়াও গুগল থেকে কোনো সংস্থার কাস্টমার কেয়ার নম্বর নিলেও, তা যাচাই করে নেবেন। এছাড়া কম দামী জিনিসের লোভে পরে কখনোই নিজের ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করবেন না। মনে রাখবেন, অচেনা কোথাও নিজের ব্যক্তিগত শেয়ার করা মানে, ধূপ ধুনো দিয়ে প্রতারকদের ঘরে তোলা। এছাড়া কোনো প্রকার ব্যাংক জালিয়াতি ঘটলে ৮৫৮৫০৬৩১০৪ নম্বরে ফোন করে জানাতে পারেন। এটি লালবাজারের অ্যান্টি ব্যাংক ফ্রড সেকশনের নম্বর। সর্বদা সজাগ থাকুন ও সুরক্ষিত থাকুন।