Hawkers Scheme – হকার উচ্ছেদ আবহে পশ্চিমবঙ্গের হকারদের ৮০ হাজার টাকা করে দিচ্ছে! হকার স্কিমের সুবিধা ও আবেদন প্রক্রিয়া

হকার উচ্ছেদ (Hwaker Eviction) নিয়ে তুমুল বিতর্কের মাঝেই রাজ্য সরকার হকারদের জন্য Hawkers Scheme চালু করে আশার আলো দেখালো। রাজ্য জুড়ে শুরু হওয়া হকার উচ্ছেদ অভিযানের জেরে বৃহস্পতিবার রাজ্যজুড়ে হকারদের তীব্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতির জটিলতা বিবেচনা করে মুখ্যমন্ত্রী এক মাসের জন্য উচ্ছেদ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেন।

Hawkers Scheme in West Bengal

এই প্রেক্ষাপটেই আলোচনায় এসেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হকারদের জন্য চালু করা ‘হকার স্কিম’। রাজ্যের পৌরসভা এলাকায় ব্যবসা করা হকারদের ৮০ হাজার টাকা ঋণ দেওয়ার এই Hawkers Scheme প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে হকারদের সাহায্য করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্প আসলে কোন প্রকল্প, কি কি সুবিধা, কারা আবেদন করতে পারবেন, জেনে নিন বিস্তারিত।

হকার স্কিম কি?

দুর্গা পুজো বা অন্যান্য বড়ো উৎসবের সময় জামাকাপড় কেনার চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। বড় ব্যবসায়ীরা তাদের সঞ্চিত অর্থ থেকে প্রচুর পরিমাণে জিনিসপত্র কিনতে পারেন। কিন্তু ছোট ব্যবসায়ী, বিশেষ করে হকারদের, টাকার অভাবে তাদের ব্যবসা বাড়ানো কঠিন হয়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য, রাজ্য সরকার ২০২৩ সালের দুর্গা পুজোর আগে হকারদের জন্য একটি ঋণ প্রকল্প চালু করেছিল। এই প্রকল্পের আওতায় হাজার হাজার হকার তাদের ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তা পেয়েছিলেন।

আশা করা হচ্ছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে হকারদের উন্নতির জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবারও একই ধরনের ঋণ প্রকল্পের ঘোষণা করতে পারেন অথবা পূর্বের প্রকল্পের সুবিধা আরও বাড়িয়ে দিতে পারেন। কি কি সুবিধা এই প্রকল্পে? কিভাবে এখানে টাকা পান হকাররা?

এই প্রকল্পের সুবিধা

১. হকারদের মূলধন বৃদ্ধিঃ এই ঋণ হকারদের তাদের ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন অর্জন করতে সাহায্য করবে।
২. ব্যবসা প্রসারের সুযোগঃ ঋণের মাধ্যমে হকাররা তাদের ব্যবসা প্রসারিত করতে এবং আরও বেশি আয় করতে পারবেন।

আরও পড়ুন, উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পে টাকা পেতে আবেদন করুন।

৩. কর্মসংস্থান বৃদ্ধিঃ ব্যবসা প্রসারের ফলে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
৪. অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিঃ এই প্রকল্পটি রাজ্যের অর্থনীতির সামগ্রিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।

কারা পাবেন এই ঋণ?

১. পৌরসভা এলাকার এবং পৌরসভা এলাকায় ব্যবসা করা সকল হকার।
২. গ্রামীণ এলাকার হলেও যদি পৌরসভা এলাকায় হকারি করে থাকেন তাহলেও তারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।

সতর্কতাঃ
এই প্রকল্পটি আগেই পশ্চিমবঙ্গে চালু হয়েছে। এটি কোনও অনুদান বা ভাতা প্রকল্প নয়। যারা স্থায়ী ব্যবসা না থাকার জন্য ঋণ পান না, তাদের জন্য এই প্রকল্প আনা হয়েছে। এই প্রকল্পে আবেদন করলে আবেদনকারী সহজ শর্তে ঋণ পেতে পারেন, তবে সেই টাকা সুদ সহ ফেরত দিতে হবে। অনেক নিউজ পোর্টাল এটিকে প্রকল্প বলে পরিবেষণ করছেন, তবে এই টাকা যে ফেরত দিতে হবে সেটা উল্লেখ করছেন না। যার জেরে অনেকেই বিভ্রান্ত হচ্ছেন।

আরও পড়ুন, লক্ষ্মীর ভান্ডার অতীত, পশ্চিমবঙ্গে ৫০,০০০ জনকে প্রতিমাসে ১০০০ টাকা করে ভাতা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। 

হকার ঋণ পেতে কিভাবে আবেদন করবেন?

১. গত বছরের নিয়ম অনুযায়ী পৌরসভায় আবেদন করতে হবে।
২. ঋণের টাকা তিন দফায় দেওয়া হবে।
৩. প্রথমে ১০ হাজার টাকা, তারপর ২০ হাজার টাকা এবং শেষে ৫০ হাজার টাকা।
৪. প্রতিটি দফার টাকা শোধ করার জন্য নির্ধারিত সময়সীমা থাকবে।
Written by Nabadip Saha.

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment