LPG রান্নার গ্যাসের দাম ও লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের কোনোরকম তৎপরতা চোখে পড়ছে না। তার উপরে যুক্ত হয়েছে দিনের পর দিন LPG সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধি। দেশজুড়ে প্রতিদিন গ্যাস সিলিন্ডারের যে পরিমাণে বর্তমানে সরবরাহ রয়েছে, ভবিষ্যতে আদৌ এই ধরনের সরবরাহ গ্যাস সিলিন্ডারের থাকবে কিনা তা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে।
তার কারণ যে হারে চড়চড় করে দাম বাড়ছে LPG Gas এর, তাতে করে মানুষের দমবন্ধ করার মত অবস্থা। সংসার চালাতে হিমশিম কাচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষ। কিন্তু সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই কোনো সরকারের। এর মধ্যেই বিভিন্ন সূত্রে ইতি-উতি খবর শোনা যাচ্ছিল যে, এলপিজি সিলিন্ডার বা রান্নার গ্যাসের দাম হয়তো কমতে পারে। মানুষ এরকম কোনো খবর শুনে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছিলেন। কিন্তু তার মধ্যে বর্তমানে জানা গিয়েছে এরকম কোনো সম্ভাবনাই নেই।
পেট্রোলিয়াম সংস্থাগুলি প্রায় প্রতি মাসেই রান্নার গ্যাসের দাম মূল্যায়ন করে। সেক্ষেত্রে মূল্যায়ন বলতে দাম যে কমে যায় তা নয়, হয় একই থাকে, না হলে দাম বৃদ্ধি হয়। কিন্তু কখনো সখনো যদিও বা দাম কমে সেটি দেশের মানুষের পক্ষে অনেকটাই স্বস্তিদায়ক হতে পারে। এখন দেখে নেওয়া যাক, এই মাসে গ্যাস সিলিন্ডার বুক করতে গেলে কত টাকা খরচ করতে হবে।
গ্যাস সিলিন্ডার বুক করার আগে দেখে নিন এবার রান্নার গ্যাসের দাম কত দিতে হবে।
এই মাসে সেরকম কোনো দাম কমার নতুন খবর নেই। এই মুহূর্তে দেশজুড়ে যে সমস্ত বড় বড় শহরে LPG রান্নার গ্যাসের দাম রয়েছে, তা অনেকটা এইরকম– Domestic রান্নার গ্যাসের দাম দিল্লিতে ১০৫৩ টাকা, মুম্বইতে ১০৫২ টাকা ৫০ পয়সা, চেন্নাইতে ১০৬৮ টাকা ৫০ পয়সা, আবার কলকাতায় এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১০৭৯ টাকা।
দেশের চারটি বড় শহরের মধ্যে কলকাতাতেই LPG Cylinder-এর দাম সবচেয়ে বেশি। এবার Commercial LPG সিলিন্ডারের দামের দিকে একটু লক্ষ্য করা যাক। দিল্লিতে কমার্শিয়াল এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১৭৪৪ টাকা, চেন্নাইতে ১৮৯১ টাকা ৫০ পয়সা, মুম্বইতে ১৬৯৬ টাকা এবং কলকাতায় এলপিজি সিলিন্ডার যেগুলি বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় তার দাম ১৮৪৫ টাকা ৫০ পয়সা।
কারেন্ট বিল কমাতে বাংলার ঘরে ঘরে বসতে চলেছে স্মার্ট ইলেকট্রিক মিটার
গত মাসে অবশ্য কমার্শিয়াল এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১১৫ টাকা ৫০ পয়সা কম হয়েছিল। কিন্তু বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমলেও তার সরাসরি প্রভাব মানুষের মধ্যে কখনোই পড়তে দেখা যায়নি। তার কারণ কমার্শিয়াল ক্ষেত্রে সিলিন্ডারের দাম কমালেও ব্যবসায়ীরা কখনোই তাদের নির্ধারিত বিক্রিত দ্রব্যের দাম কমান না। ফলে মানুষ সেখানে কোনো সুরাহা পায় না।
রবিবারেও খোলা থাকবে স্টেট ব্যাংক, ছুটির দিনেও পরিষেবা পাবেন SBI গ্রাহকেরা।
যদি ডোমেস্টিক সিলিন্ডারের দাম কমে তবেই মানুষ একটু স্বস্তি পেতে পারেন। তবে দাম কমানো নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার গলা ফাটালেও নিজেরদের ট্যাক্স এর টাকা কেউ ছাড় দিচ্ছে না। অন্যদিকে রেশনের কেরোসিনের দাম ও আকাশ ছোঁয়া। তাহলে গরীব মানুষ বাঁচবে কি করে? সাধারন মানুষ খাবে কি। আপনাদের মন্তব্য নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।
Written by Rajib Ghosh.