রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার বা LPG Gas Cylinder থেকে গ্যাস চুরি বা পরিমানে কম দেওয়ার অভিযোগ আকছার শোনা যায়। গ্রাহকেরা বহুবার এই ধরনের অভিযোগ করেছেন। কিন্তু গ্যাস চুরির অভিযোগ করার পরেও সেই অর্থে কোনো রকম পদক্ষেপ করতে দেখা যায়নি। গ্যাসের ডিলার থেকে শুরু করে সরকারের এমন কোনো ব্যবস্থাও ছিল না, যেখানে সঠিকভাবে এই গ্যাস চুরিকে বন্ধ করা যায়।
তবে অভিযোগ পাওয়ার পরে যে ডিলার বা যে ডেলিভারিম্যান এর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেত। কিন্তু সেই বিষয়টিও এতদিন দেখা যায়নি। তবে এবার গ্যাস চুরি রোধ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার নতুন পদ্ধতি নিয়ে এসেছে। যার ফলে একজনের গ্যাস আরেকজনকে দিয়ে দেওয়া কিম্বা পরিমানে কম দেওয়া অনেকটাই কমানো যাবে। তবে গ্রাহকের ও সতর্কতা প্রয়োজন।
LPG Gas গ্যাস চুরি বন্ধ করতে কড়া পদক্ষেপ, সিলিন্ডারে থাকবে QR Code.
এবার থেকে সমস্ত এলপিজি সিলিন্ডারে QR Code দেওয়া থাকবে। এই কিউআর কোড ইন্সটল করার ফলে সেই গ্যাস সিলিন্ডারকে সহজে ট্র্যাক করা সম্ভব হবে। কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি জানান, খুব শীঘ্রই এলপিজি সিলিন্ডারে QR Code ইন্সটল করা হবে। এই প্রয়োগ করতে চলেছে সরকার। এর ফলে গ্যাস চুরি ঠেকানো সম্ভব হবে। কারণ গ্যাস সিলিন্ডারকে Track করা সহজ হবে। আর গ্যাস রিফিলের সময় ও কম দেওয়া যাবে না। এক জনের গ্যাস আরেকজন কেও দেওয়া যাবে না।
বিশ্ব এলপিজি সপ্তাহ 2022 এর অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী বলেন, LPG Gas কম পাওয়ার অভিযোগ থাকলেও এতদিন সেইভাবে কিছু বোঝা যেত না। এখন থেকে কিউআর কোড ইনস্টল হয়ে গেলে গ্যাস সিলিন্ডার ট্র্যাক করা যাবে। ফলে গ্যাস চুরিও রোধ করা যাবে। এই কাজের জন্য সরকার তিন মাস সময়সীমার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে। খুব শীঘ্রই গ্যাস সিলিন্ডারগুলিতে কিউআর কোডের ধাতব স্টিকার সাটিয়ে দেওয়া হবে।
রাজ্যের সমস্ত মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সুযোগ করে দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার, কিভাবে আবেদন করবেন?
একটি রিপোর্ট অনুসারে জানা যাচ্ছে, LPG Gas Cyinder এ QR Code লাগানো হয়ে গেলে সেই সিলিন্ডারটিকে ট্র্যাক করা সহজ হবে। যদি কেউ সেই সিলিন্ডার থেকে গ্যাস চুরি করেন, তাহলে যেমন বিষয়টি জানা যাবে, ঠিক তেমনি কোন ডিলার বা ডিস্ট্রিবিউটরের কাছে থেকে কোন ডেলিভারি ম্যান গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে কোথায় পৌঁছে দিচ্ছেন, সমস্ত বিষয়টি সহজে ট্র্যাক করা যাবে। এবং একজনের গ্যাস আরেকজন কে দেওয়া যাবে না। কারন LPG Gas সিলিন্ডার বুকের সময় কোন নাম্বারের গ্যাস কাজে দেওয়া হচ্ছে তা ঠিক হয়ে যাবে।
রেশন সামগ্রী নিয়ে আর ডুপ্লিসিটি নয়, ওজনে কম কিংবা নিম্নমানের রেশন দেওয়া চলবে না।
এর পাশাপাশি গ্রাহকেরাও জানতে পারবেন, তার গ্যাস সিলিন্ডারে কতবার রিফলিং করা হয়েছে, কোথা থেকে রিফিলিং করা হয়েছে, গ্যাস সিলিন্ডারে রিফিলিংয়ের পর তার কাছে সেই সিলিন্ডার পৌঁছুতে কতক্ষণ সময় লাগবে। সেই বিষয়টিও সহজে জানতে পারবেন গ্রাহকরা। ফলে ডমেস্টিক গ্যাস অটো বা খাবারের দোকানে বিক্রয় করার যে অভিযোগ, তা সহজেই রোধ করা যাবে।
এই যোজনায় পরিবারে সকলে পাবে ৬ হাজার টাকা, কিভাবে আবেদন করবেন জানুন।
শুধু তাই নয়, ডোমেস্টিক এলপিজি সিলিন্ডারকে কেউ যদি কমার্শিয়াল কাজে ব্যবহারের জন্য লাগাতে চান, তাহলে খুব সহজেই ট্র্যাক করা যাবে। ফলে কেউই বাণিজ্যিক কাজে আর ডোমেস্টিক সিলিন্ডার ব্যবহার করতে পারবেন না। যার ফলে LPG Gas সিলিন্ডার শর্ট পড়বে না। গ্রাহক বুক করার পরদিনই গ্যাস পেয়ে যাবেন।
আপনি ও কি পরিমানে কম গ্যাস পাচ্ছেন? নাকি আপনার সিলিন্ডার অন্য কাউকে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে, নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
Written by Rajib Ghosh.