টেট মামলার বড় আপডেট।
শিক্ষক আমাদের সমাজের মেরুদণ্ড। সেই চাকরিতে লাগে অন্যরকম যোগ্যতা। অযোগ্য কোনও ব্যাক্তি যদি সেই জায়গায় বসে তাহলেই হয় সমস্যা। এমনই দুর্নীতির শিকার হয়েছেন বহু শিক্ষক। চাকরির তালিকায় নাম না থাকা সত্তেও চাকরি করছেন বহুজন। আর যোগ্য ব্যক্তিরা নিজেরদের অধিকারের, যোগ্যতার চাকরীর জন্য ধন্যায় বসে রয়েছেন পথের ধারে।
চাকরি যাবে সকলের এইবার কপালে হাত, টেট মামলায় বাদের তালিকায় বহু জনের নাম।
তেমনি বেআইনিভাবে শিক্ষকতার চাকরিতে নিয়োগ হয়েছিলেন এরকম ১৮৩ জনকে চিহ্নিত করেছে এসএসসি। তার মধ্যে ২০ জনকে ছাঁটাই করা হয়েছে। বাকিদের বরখাস্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। কলকাতা হাইকোর্টে এমনটাই জানানো হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) পক্ষ থেকে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই রাজ্য তোলপাড়। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করছে।
টেট মামলা নিয়ে হাইকোর্ট একের পর এক নির্দেশ দিয়ে চলেছে। প্রায় প্রতিদিনই নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত টেট মামলায় নতুন নতুন ঘটনা সামনে আসছে। এর মধ্যেই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, চেয়ারম্যান, সভাপতি, উপদেষ্টা থেকে শুরু করে অনেকেই জেলবন্দি। নবম দশম শ্রেণীতে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই এবং এসএসসির কাছে বিস্তারিত তথ্য তলব করেছিলেন।
WB Primary TET Practice Set – প্রাইমারি টেট শিশুবিকাশ ও পেডাগজি প্র্যাকটিস সেট PDF Download
২১ সেপ্টেম্বর সেই তথ্য তলব করে বিচারপতি নির্দেশ দেন, টেট মামলাকারী আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠকে বসে যাচাই করে দেখতে হবে নবম দশমে কতজন শিক্ষক বেআইনিভাবে নিয়োগ হয়েছিলেন। সেইমতো ২২ সেপ্টেম্বর কমিশনের চেয়ারম্যান, মামলাকারীদের আইনজীবী এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবীরা বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকে সমস্ত কিছু যাচাই করে SSC-র পক্ষ থেকে ১৮৩ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
যারা বেআইনিভাবে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছিলেন। তার মধ্যে ২০ জনকে বরখাস্ত করা হয়। তাদের মধ্যে অধিকাংশই মুর্শিদাবাদ, মালদা, দুই দিনাজপুর এবং হাওড়া জেলার বাসিন্দা। বাকি যে সংখ্যাটা রয়েছে, তার মধ্যে রাজ্যের প্রায় সমস্ত জেলা থেকেই কম বেশি বেআইনিভাবে শিক্ষক পদে নিয়োগ হয়েছিলেন।
জেলাওয়াড়ি দেখলে দেখা যাবে, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২৯ জন, দক্ষিণ দিনাজপুরে ১৭ জন, উত্তর দিনাজপুরে ১৩ জন, মালদহে ২৫ জন, কলকাতায় ৭ জন, পূর্ব মেদিনীপুরে ১০ জন, কোচবিহারে ১২ জন, জলপাইগুড়িতে ৮ জন, বর্ধমানের ৬ জন, বীরভূমে ৫ জন, বাঁকুড়ায় ২ জন এবং উত্তর ২৪ পরগনা, আলিপুরদুয়ার এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩ জন করে শিক্ষককে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বদলে গেল প্রাইমারি টেট এর নিয়ম, ফর্ম ফিলাপের আগে না জানলে, পরে পস্তাবেন।
১৬ ই নভেম্বর কলকাতা হাইকোর্টে এসএসসির পক্ষ থেকে পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। SSC-র তরফে আরো জানানো হয়েছে, নবম দশমে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ তথ্য যাচাই করে দেখা হচ্ছে। অবৈধভাবে আরো কারা চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন সেই বিষয়টি। ফলে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি যে আরো কতদূর ছরিয়েছে সেটা এখনই সম্পূর্ণভাবে বলা যাচ্ছে না।
Written by Rajib Ghosh.