Primary TET নিয়ে হাইকোর্টের রাজ্যের পরই, স্কুল ছুটির মধ্যেই ভয়ে স্কুল ছাড়লেন প্রচুর শিক্ষক শিক্ষাকর্মী।

স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করলেন শিক্ষাকর্মীরা, নেপথ্যে কী কারণ? Primary TET নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জেলায় জেলায় স্কুলগুলিতে শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা আসা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন। পুজোর ছুটি শুরু হওয়ার আগে থেকেই এই সমস্ত শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীরা স্কুলগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না। নিয়মিত স্কুলে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছেন পুজোর ছুটির আগে থেকেই।

ফলে তখন থেকেই একটা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, যে সমস্ত শিক্ষাকর্মীরা স্কুলে আসা বন্ধ করে দিলেন তারা কি Primary TET দিয়ে অবৈধভাবেই চাকরিতে নিযুক্ত হয়েছিলেন? তার কারণ, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় 28 সেপ্টেম্বর একটি নির্দেশ দেন, যেখানে আগামী 7ই নভেম্বরের মধ্যে সমস্ত অবৈধ চাকরিপ্রাপকদের পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

যদি কোনো চাকরি প্রাপক এই সময়ের মধ্যে আগাম পদত্যাগ না করেন তাহলে তাকে বরখাস্ত করা হবে। এমনকি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দেন, ভবিষ্যতে কোনো সরকারি চাকরির সুযোগ তাকে দেওয়া হবে না।
হাইকোর্টের এই নির্দেশের পর থেকেই দেখা যাচ্ছে, প্রতিটি জেলায় শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীদের একাংশ স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। অভিজ্ঞ মহলের ধারণা, পুজোর ছুটি শেষ হলেই আগাম পদত্যাগের যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাইকোর্ট থেকে তার জন্য পদত্যাগের ঢল নামতে পারে।

Primary TET পাশ করা বহু শিক্ষকদের পদত্যাগের সম্ভাবনা।

973 জন গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের অবৈধভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়। পূজোর ছুটি পড়ার আগেই তারা স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে এখনো পর্যন্ত আগাম পদত্যাগের পথে তারা হাঁটেন নি বলেই জানা গিয়েছে। SSC Primary TET-র রিপোর্ট পেশের পর দেখা যায়, 3481 জন গ্রুপ সি এবং 2823 জন গ্রুপ ডি কর্মীর অবৈধভাবে নিয়োগের বিষয়টি সামনে এসেছিল।

প্রাইমারি টেট শিশুবিকাশ ও পেডাগজি প্র্যাকটিস সেট PDF Download

এছাড়াও একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর 907 জন শিক্ষক এবং নবম এবং দশম শ্রেণীর 952 জন শিক্ষককে বেআইনিভাবে নিয়োগ করার বিষয়টি অভিযোগ আকারে উঠে এসেছিল। এই ঘটনার পরেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সমস্ত অবৈধ চাকরি প্রাপকদের আগাম পদত্যাগের নির্দেশ দেন।

পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষা সমিতির রাজ্য সভাপতি জানান, প্রতিটি জেলা থেকেই খবর আসছে শিক্ষা কর্মীদের একাংশ স্কুলে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে এখনো পর্যন্ত শিক্ষকদের পদত্যাগের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। মনে করা হচ্ছে, পুজোর ছুটি পড়ে যাওয়ার কারণেই অনেকেই পদত্যাগ করতে পারেননি। কারণ নিয়ম অনুযায়ী প্রধান শিক্ষককে এড়িয়ে পদত্যাগ করা সম্ভব নয়।

Mobile Recharge এর দারুণ অফার! এই দীপাবলিতে 1 মাসের রিচার্জে পান 2 মাস ফ্রি। দেখে নিন।

তাই ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে পুজোর ছুটির কারণে হয়তো অনেকেই পদত্যাগ করতে পারেনি। ছুটি শেষ হলেই শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের একাংশ পদত্যাগ করতে পারেন।
এদিকে গতকাল Primary TET টেট মামলার আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্জ্য জানান, একজন ভুয়ো শিক্ষক ও ছাড় পাবেন না। তাদের নির্ণয় করা গেলেই যোগ্য প্রার্থীদের উপর সুবিচার হবে। সেই যায়গায় যোগ্য দের চাকরি দেওয়া যাবে।
Written by Rajib Ghosh.

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment