100 Days Work Scheme কবে চালু হচ্ছে?
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই রাজ্যের কর্মসংস্থান নিয়ে বড় ঘোষণা। বিশেষ করে গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্প 100 Days Work Scheme (১০০ দিনের কাজ) এ আরো বেশি করে গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজ এ একাধিক অনিয়মের অভিযোগ করছিল। ভুয়ো নামে এই প্রকল্পের টাকা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে, নিয়ম বহির্ভূত এমন বহু কাজ করা হয়েছে যেখানে 100 দিনের কাজের মাধ্যমে কোনো সম্পদ সৃষ্টি হয়নি, রাজ্যে এই গ্রামীন কর্মসংস্থান প্রকল্পে (MGNREGA) দুর্নীতি হয়েছে, এমনটাই অভিযোগ কেন্দ্রীয় সরকারের। যদিও এই অভিযোগের সারবত্তা নিয়ে বহু প্রশ্ন রয়েছে।
অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে 100 দিনের কাজের গতি যথেষ্টই ভালো। পাশাপাশি 100 দিনের কাজে বহু রাজ্য এখনো পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইন মেনে নেয়নি। তার মধ্যে বর্তমানে বিজেপি শাসিত অনেক রাজ্য রয়েছে। কিন্তু তারপরেও পশ্চিমবঙ্গেই বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের অনুদান (Central Govt Grant) দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
যে জায়গায় দাঁড়িয়ে দেশের অন্যান্য রাজ্যে নিয়ম মানা না হলেও পশ্চিমবঙ্গের মত এত বেশি পরিমাণে অনুদান বন্ধ করা হয়নি। সেখানে নিয়মিত কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও এটাকে রাজনৈতিক অভিসন্ধি বলেছে তৃণমূল। তবে বর্তমানে 100 Days Work Scheme এ স্বচ্ছতার সঙ্গে গতি বাড়াতে চাইছে নবান্ন। এই লক্ষ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে পুজোর আগে ডিএ ঘোষণার শেষ সুযোগ, সমস্ত অফিসারদের ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী
রাজ্যের পঞ্চায়েত কমিশনার সমস্ত জেলাশাসকদের জানিয়ে দিয়েছেন, জেলায় তৃতীয় ব্যক্তিকে প্রভিশনাল অ্যাপয়েন্টমেন্ট (Provisional Appointment) দিতে হবে। নজরদারির জন্য যে ব্যক্তিকে এই দায়িত্ব দেওয়া হবে, তার মূল কাজ হবে 100 Days Work Scheme এর অভিযোগ শোনা এবং পরবর্তীতে সেই বিষয়ে সত্যতা যাচাই করে পদক্ষেপ নেওয়া।
30 দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো রকম অভিযোগ জমা না পড়লে তাকে স্থায়ী নিয়োগ পত্র (Permanent Appointment) দিয়ে দিতে হবে। ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের ওয়েবসাইটে তুলে দিতে হবে। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ শুধু জমা করলেই হবে না, তার তদন্ত করে দেখতে হবে, সত্যতা যাচাই করতে হবে।
2017 সালে কেন্দ্রীয় সরকার 100 দিনের কাজ প্রকল্পে স্বচ্ছতা আনার জন্য থার্ড পার্টি (Third Party) নজরদারির কথা বলেছে। পশ্চিমবঙ্গের 23 টি জেলার মধ্যে 4 টি জেলায় এই থার্ড পার্টি নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। দেশের বহু রাজ্যে 100 দিনের কাজ প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইন (Guideline) অনুযায়ী থার্ড পার্টি নজরদারির কোনো ব্যবস্থাই এখনো পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের সমস্ত জেলাতেই এবার 100 Days Work Scheme এর কাজে নজরদারির জন্য Ombudsperson বা থার্ড পার্টি নিয়োগের ব্যবস্থা করতে চলেছে। শুধু ১০০ দিনের প্রকল্পই অয়, এবার সমস্ত নিয়োগে মুখ্যমন্ত্রর অনুমোদনের কথা বলা হয়েছে। আর এবার বাস্তবেই বেকার সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী সরকার।
WB Food Supply Department এ কেমিস্ট নিয়োগ, বেতন ২৫,০০০ টাকা
এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের অনুদান দেওয়া প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই জায়গায় রাজ্য সরকার বারবার আবেদন করলেও কর্ণপাত করেনি কেন্দ্র। কিন্তু পাশাপাশি বহু রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইন মানা না হলেও অনুদান দেওয়া বন্ধ হয়নি। বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে সরকারি গাইডলাইন মেনে কেন্দ্রীয় প্রকল্প বাস্তবায়িত করার সিদ্ধান্ত না নেওয়া হলেও সেখানে নিয়মিত অনুদানের টাকা পৌঁছে গিয়েছে।
এই বিষয়টিকে রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট বলে মনে করে অভিজ্ঞ মহল। তবে বর্তমানে গাইডলাইন অনুযায়ী 100 Days Work Scheme এর কাজে স্বচ্ছতার সঙ্গে গতি আনার জন্য থার্ড পার্টি নজরদারির ব্যবস্থা পুরোপুরি করতে চাইছে নবান্ন।
এই সংক্রান্ত অন্যান্য খবরের আপডেট সবার আগে পেতে হলে এই ওয়েব পোর্টালটি ফল করতে ভুল্বেন না।
Written by Rajib Ghosh.
ডিএ মামলার শুনানিতে বিপাকে রাজ্য, পুজোর আগেই দেওয়ার নির্দেশ, কেন্দ্রের পাওনা টাকা পেয়েছে রাজ্য