বহু বছর পর রাজ্যের শিল্প উন্নয়নে (Government Projects) নজর। নিজেকে করে তুলুন রাজ্যের উন্নয়নের অংশিদার।
সম্প্রতি নতুন ঘোষণা করলো নবান্ন। রাজ্যে তৈরী হতে চলেছে একগুচ্ছ কর্মসংস্থান। তার সাথে সুযোগ তৈরী হয়েছে নিজেকে সরকারি প্রকল্পের (Government Projects) সাথে জুড়ে দেবার। গন্তব্য সেই সিঙ্গুরই, তালভোমরা মৌজায় শিল্পতালুক করবে সরকার। যেখানে আপনিও অংশগ্রহন করতে পারেন। কিভাবে অংশ নেবেন, রইলো বিস্তারিত বিবরণ।
রাজ্যের সব জেলা গুলিতে না হলেও অন্তত ১৩টি জেলার বিভিন্ন স্থানে তৈরী হবে এই কাজ। মোট ৩২ টি প্লটে এই সরকারি জমি রয়েছে। এই জমিগুলিকে কেন্দ্র করেই তৈরি হবে নয়া শিল্প তালুক (Government Projects), জানিয়েছে নবান্ন। ফলে বাড়বে কর্মসংস্থান।
রাজ্য শিল্প বিনিয়োগের গন্তব্য অবশেষে সেই সিঙ্গুর। সিঙ্গুরে এবার শিল্পতালুক (Government Projects) করার পরিকল্পনা নিয়েই ফেলল নবান্ন। সিঙ্গুরের তালভোমরা মৌজায় শিল্পতালুক করবে সরকার। এখানে ক্ষুদ্র মাঝারি ও কুটির শিল্প দপ্তরের অধীনে কাজ এগোবে। আর এই প্রজেক্টে সাধারিন মানুষ ও বিনিয়োগ করতে পারবেন।
সব মিলিয়ে মোট সাড়ে ছয় একর জমি চিহ্নিত করল রাজ্যের ক্ষুদ্র মাঝারি ও কুটির শিল্প দপ্তর। যদিও আরও বেশি জায়গা পেলে ভালো হত। বিনিয়োগকারীদের উৎসাহ বুঝতে জেলাকে বিশেষভাবে প্রচার অভিযান করার নির্দেশ। ফলে বিনিয়োগকারীর সংখ্যাও বাড়বে বলে খবর। আর শুধু ব্যাবসায়ী বা উদ্যোগপতিরাই নয়, সাধারন মানুষ কেও আহবান জানানো হয়েছে।
সারা পশ্চিমবঙ্গেই প্রায় গড়ে উঠবে এই শিল্পের উন্নয়ন। শুধু সিঙ্গুরেই নয়, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে উৎসাহিত করে শিল্প তালুক গড়তে বেসরকারি বিনিয়োগ (Government Projects) আনার দিকে নজর দিয়েছে রাজ্য। ফলে রাজ্যের বেশ কয়েকটি সুবিধাজনক জায়গা পছন্দ করেছে রাজ্য।
এই সুবিধা আনতে সারা রাজ্যে মোট ৪৫৬ একর সরকারি জমি চিহ্নিত করল রাজ্য। ১৩ টি জেলার ৩২ টি প্লটে ছড়িয়ে রয়েছে এই জমিগুলি। জেলাগুলিকে ইতিমধ্যেই এই বিনিয়োগ নিয়ে স্থানীয় শিল্প মহল, বণিক সভাগুলির মধ্যে প্রচারাভিযানের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
নতুনভাবে প্রস্তাবিত এই শিল্পতালুক নিয়ে বৃহস্পতিবারই রাজ্যের ক্ষুদ্র ,মাঝারি ও কুঠির শিল্প দপ্তরের সচিব জেলাশাসকদের নিয়ে ভারচুয়াল বৈঠক ডাকা হয়। এই বৈঠকে জেলা শিল্প কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার ও আধিকারিকদের উপস্থিত থাকতেও বলা হয়েছে। জেলার বণিক সভা, শিল্প সংগঠন ও শিল্প সংস্থাগুলিকেও আমন্ত্রণ জানাতে বলা হয়েছে জেলাশাসকদের উদ্দেশ্যে।
ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্প দফতর থেকে জানতে চাওয়া হয়, সব জেলাগুলিতে বেসরকারি উদ্যোগে শিল্প তালুক গড়তে মোট কত সংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে। সেই আবেদনগুলি বর্তমানে কী অবস্থায় রয়েছে।
গোটা বিষয়টি নিয়েই পর্যালচনা হয়। সরকারি তালিকায় হুগলির সিঙ্গুর ব্লকের তালভোমরা মৌজার ৬.৩২ একর জমি রয়েছে। এছাড়া উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলাতেই ১৭ টি প্লটে ২২৮.০৬ একর চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে ৭ টি করে শিল্প তালুক গড়ার প্রস্তাব (Government Projects) দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও শিলিগুড়ির ফাঁসিদাওয়ার,আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট-বীরপাড়া ডিমডিমা চা বাগানের ৫ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর কালিয়াগঞ্জের ৮ একর জমি রয়েছে। বাকি সাত জেলা হল,পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, হুগলি, পুর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান।
লটারি জেতার মোক্ষম দাওয়াই, এই নম্বরের টিকিটটি কাটুন, তাহলেই জিতবেন কোটি টাকার
প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর রাজ্যে শিল্প তালুক গড়তে বিশেষ কিছু নিয়ম পরিবর্তন করেন। তিনি রাজ্যে বেসরকারি বিনিয়োগকে (Government Projects) উৎসাহিত করার জন্য উদ্যোগ নেন। তিনি ন্যূনতম জমির পরিমান কুড়ি একরের বদলে পাঁচ একর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এজন্য জমির ওপর স্টাম্প ডিউটি ছাড় সহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। একাধিক জেলা সফরে গিয়েও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিল্প তালুক গড়ার বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের এই শিল্প তালুকগুলিতে বিনিয়োগ করার জন্য বিশেষ ভাবে আহ্বানও জানিয়েছেন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রতি বছরই বিভিন্ন শিল্প মেলার আয়োজন করেন। সেখানে দেশ তথা বিশ্বের নানান জায়গা থেকেই শিল্পপতি বা ব্যবসায়ীরা অংশ নেন। বিশ্ব বাণিজ্য শিল্প সম্মেলনের (Government Projects) মঞ্চ থেকেও বিনিয়োগ আনার জন্য শিল্প তালুকের প্রসঙ্গ বারবারই উল্লেখ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার সেই শিল্পতালুকই বাস্তব রূপ পেতে চলেছে এই সরকারি জমিগুলি চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে। সুতরাং এটা নিশ্চিত যে রাজ্যে বেশ কিছু কর্মসংস্থান (Government Projects) হতে চলেছে খুব তাড়াতাড়ি। এমন গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি চটজলদি পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে যুক্ত হতেই পারেন। ধন্যবাদ।
Written by Mukta Barai.
আবারও বাড়লো সুদের হার, এই কোম্পানিতে FD করলে মিলবে 8.75% সুদ।